কাঁধ

লেখক : গৌতম চট্টোপাধ্যায়

কিছু আগে কিছু কাঁধে ভর করে কিছু লোককে চলে যেতে দেখলাম…..,
কিছু কাঁধের ওপর কিছু মানুষের মুণ্ডুর মতো
কিছু একটা, কেউ কেউ আবার মুণ্ডহীন,
তমস্বিনী! স্বপ্নগর্ভনম্রতা!  কবন্ধ!  না কী সবাই কনিষ্কের  ভাস্কর্য হয়ে গেল  কে জানে!
কিছু কাঁধের ওপর বন্দুক, কিছু কাঁধ বেয়ে ঝরছে লাল লাল রক্ত,  কিছু কাঁধের ওপর লাল,নীল,সবুজ,গোলাপি পতাকা,
কিন্তু কোন কাঁধের ওপর কোন লাল,নীল,সবুজ পাখি বসে নেই! কিছু কাঁধ তো এক্কেবারে খালি! কাঁধের দু’পাশে অনেকেরই কোনো হাত নেই,
কিছু কাঁধের পাশে পক্ষাঘাতে জর্জরিত দুটো হাতে আঙুল সচল করতে একটি করে কাঁটাবল কোনমতে ধরা, পাশের কিছু হাতওয়ালা মানুষ ওদের ওই কাঁটাবলটি ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে আঙ্গুল সচল করতে কালঘাম ছোটাচ্ছে! আশ্চর্যের বিষয় কিছু পরেই গাদা গাদা কাঁধওয়ালা, মুণ্ডুসহ মানুষের লাশ নিয়ে চলেছে একটি ট্রাক, থেমে থেমে চলেছে। লাল,নীল,সবুজ, গোলাপি পতাকায় বেষ্টিত সব মানুষের মত কিছু!  অবাক ব্যাপার ট্রাকটিকে চালানোর জন্য চালকের দুটো হাত আছে কিন্তু কোন মুণ্ডু নেই।।কণিষ্ক  ঠিক কী যেন বলেছিল যে “ভারতবর্ষ শাসন করার জন্য কোন মুণ্ডুর প্রয়োজন নেই! ” আদৌ বলেছিল কী না কে জানে! কিন্তু
এতগুলো লাশকে ট্রাকটি কেন যে নিয়ে যাচ্ছে বোধগম্য হোল না! হয়তো তাদেরকে কাঁধ  দেওয়ার মতো আজ আর কোন কাঁধ নেই!হতে পারে, যদিও আজ অনেক কাঁধের প্রয়োজন ছিল!
এবং অনেক মু্ণ্ডুরও!
কবে যেন লিখেছিলাম “One who doesn’t understand anything understand politics better than anyone else!”

লেখক পরিচিতি : গৌতম চট্টোপাধ্যায়
কবিতা লেখা শুরু সেই ১৯৮৫ সাল থেকে। কলেজ পত্রিকায়। পরে দেশ বিদেশের বহু বিখ্যাত পত্র পত্রিকায় লেখা। পত্রিকা সম্পাদনা দীর্ঘ এগারো বছর। এরই মাঝে কোলকাতা বইমেলায় বের হয় পরপর দুটি কবিতা সংকলন। ঊনবিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ কবিতায় দু' দু'বার বিখ্যাত মনীষীদের মাঝে ওনারও লেখা স্থান গ্রহণ করে নেয় নিজ দক্ষতায়। তৃতীয় কবিতা সংকলন, "সময়, ভালোবাসায় নেই নীলাঞ্জনা" যন্ত্রস্থ।

শেয়ার করে বন্ধুদেরও পড়ার সুযোগ করে দিন

2 Comments

    • গৌতম চট্টোপাধ্যায়

      ব্যস্ কাঁধওয়ালা লোকই খুঁজছি! এই যে এইমাত্র৷ একটা পেলাম।। ভালোথেকোখুব

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to Top
error: লেখা নয়, লিঙ্কটি কপি করে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।