লেখক : আলী ইব্রাহিম
আলতা পায়ে আলতাদীঘিতে নেমেছিল সে।
পানি ছুঁয়ে বলেছিল, এই যে আলী!
আমার হাতটা একটু ধরবে!
বালিহাঁসের উড়ে যাওয়া দেখে পুলকিত হই।
এই হাত ধরার মাঝে কী যে শান্তি!
তা জানে না ওই বালিহাঁস।
আলতা পায়ে আলতাদীঘিতে নেমেছিল সে।
চোখ তুলে তাকিয়ে বলেছিল, এই যে আলী!
পানিতে একটু নামবে! দেখো তো চোখে কী পড়েছে!
এখানে না! আর একটু ওপরে! আরে ওইখানে না!
এইদিকে। আহা! কী করছো! কী করছো!
আরও কাছে। দেখো তো! ওদিকে না!
এই দিকে। হ্যা, হ্যা, এখানে। এইখানে!
পানকৌড়ির ডানায় নিয়তির ঘর।
পদ্মপাতায় জলঢোড়ার সচেতন ঘুম।
মিরার চোখের ভেতর থেকে পোকা বের করাটা যে
কত বড় ব্যাপার তা জানে না ওই জলঢোড়া।
সাইবেরিয়ায় এখন খাদ্যাভাব।
তাই অতিথি পাখিরা এসেছে এই আলতাদীঘিতে।
বাঁচার মানেটা ওরাও ভালোভাবে বোঝে।
আলতা পায়ে আলতাদীঘিতে নেমেছিল সে।
পানি ছুঁয়ে বলেছিল, এই যে আলী!
আমার হাতটা একটু ধরবে!
লেখক পরিচিতি : আলী ইব্রাহিম
সহকারী সম্পাদক, দৈনিক করতোয়া, চকযাদু রোড, বগুড়া, বাংলাদেশ।
অসাধারণ।
চমৎকার লেখনীতে অসাধারণ উপমা।
সত্যি খুব ভালো লাগলো। ধন্য হলাম। ধন্যবাদ…
খুব খুশি হলাম। ধন্যবাদ অজস্র…