পৌষের পুরুলিয়া

লেখক : সৌরভ মাহাতো

তোমরা আইস্ হে বাবুরা,
পুরুইলা টা একবার ঘুরে যাও।
গোলা ভর্তি ধান আছে,
থালা ভর্তি ভাত দিব।
শাক ভাজা আর আলু ভৈত্ত্যা,
টুকু টুকু ধারে দিব।
কাদা ক্ষেতে ধান উঠালি,
মরাই কুঁচড়ি সবই বাঁধলি।
ফুর্তি ফুটানি হবেক নাই তো কি!
মহুয়া আর ঝুমুর গীতি।
হামদের এখন দমে পরব,
পৌষ পরবে টুসু পাতেছি।
মেয়াছেলার কলহকচ,
রাত জাগে শুধু টুসুর গীতি।
দমে সুন্দর মজা দিব,
আসর টাকে ঘাঁটে দিব।
বাঁউড়ির দিন লে শুরু হয় ভাই,
পিঠা মুড়ি খাইতে পাবি।
পরের দিনে মকর ঢুব দিয়ে,
ঠিঠরে ঠিঠরে আগুন তাপি।
মকরের ওই পৌষ পিঠাটা,
খাতে খাতে আটটা নটা।
সাজগোজ করে কাঁসাই যাব,
টুসুটাকেও নিয়ে যাব।
টুসু টাকে ভাসাই নিয়ে,
মোরগ লড়াইয়ের আসর যাব।
বেলা ডুবুই আসার সময়,
আখ দাঁড়ি টা নিয়ে লিব।
পরের দিনে ঘোঙ্গার মেলা,
মস্ত একটা বাঁশি লিব।
পুরা মেলাতে বাজাই বাজাই,
ঝুমুর বলে ঘর আইসব।
তার পরে সেই আখ্যান যাত্রা,
প্রসাদ খাব আর ঘুরে বুইলব।
আঘরপুরের ঢুংরি কেনে বাদ,
সেটাও তোকে ঘুরাই দিব।
পৌষ পরবের মজা লিতে ভাই
পুরুইলাটা আসা চাই।


লেখক পরিচিতি : সৌরভ মাহাতো
লেখক পরিচিতি:- জন্ম ১৯৯৯ সালের ১লা জুন পুরুলিয়া জেলার শেষ প্রান্তভূমির 'লালবাজার' গ্রামে। পিতা শ্রীযুক্ত সুধীর মাহাতো, মাতা শ্রীমতী গায়ত্রী মাহাতো। শিক্ষাজীবন জওহর নবোদয় বিদ্যালয় পুরুলিয়া থেকে মাধ্যমিক ও জওহর নবোদয় বিদ্যালয় দুর্গাপুর থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে বর্তমানে রাঁচি ইউনিভার্সিটির ছাত্র। পড়াশোনার পাশাপাশি সাহিত্য চর্চা, খেলাধুলা, গাছ লাগানোর একটা চরম নেশা আছে। এবং সময় পেলেই সমাজ সেবার কাজেও যুক্ত হয়ে যাই। ইতিমধ্যে বহু পত্রিকায় লেখা ছাপানো হয়েছে এবং লেখালেখি মাধ্যমে চরম সুখের অনুভূতি হয়।

One comment

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to Top
error: লেখা নয়, লিঙ্কটি কপি করে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।

রুচিশীল ও বিষয়ভিত্তিক আলোচনার জন্য ক্লিক করুন এখানে

sobbanglay forum