লেখক : প্রভঞ্জন ঘোষ
প্রাকরণিক
সবকিছুকে বাদ দিয়ে
হাঁটিয়ে, ঝেড়ে
দূরে হটাও,
ঠেল্ দিয়ে আর চাপ্ দিয়ে।
সরিয়ে ঘাটের পানাগুলো
তলতা বাঁশের ঘের দিয়ে
শক্ত দড়ির গিঁট্ দিয়ে
সূর্যেরে রোজ ফুটিয়ে তোল
সূর্যমুখীর ছোপ্ দিয়ে।
হর্ষে খেলুক শালিক-ঘুঘু
সরাও চাঙড় ইঁট, কাঠি
দোয়েল-দামা-ডাহুক-কুবোর
নৃত্যে ভরুক আঙনটি।
হটাও যত অগোছালো
অসার মানের দৃশ্যেরে
মাটির থেকে ঝাপটা দিয়ে
আকাঁড়াকে দূর করে-
ঘুরছে যাহা বনবনিয়ে
কেবল যাহা গোঁত্তা খায়
টট্টরানো লাট্টুগুলো
ঘষটি দিয়ে দাও বিদায়।
সূর্য যাহা তুর্যে থাকুক
ঝুল কালি সব দূর ক’রে
ডালপালাকে ধুর ক’রে
তমস্বী নয়, তারায় উঠুক
চক্ষু দুটি ভর ক’রে।
জলাঞ্জলি
প্রতিটি আঁজলা ঢলিয়ে দিয়েছি
প্রতিটি আঁজলা ভ’রে
যতটুকু জল নিয়েছি তাতে।
প্রতিটি নৌকো ভেসে চলেছে
জলের স্রোতে;
উত্তুঙ্গু হাওয়া বইয়ে
তুমি তাদের গতি তরান্বিত করছো,
প্রতিটি খেয়া অকস্মাৎ অন্তর্হিত হচ্ছে!
তুমি, জলের কিণারে
সুচার বৃক্ষ সাজিয়ে রেখেছো
অবিরাম নৌকো গড়বে বলে।
প্রতিটি আঁজলা ঢলিয়ে দিচ্ছি
প্রতিটি জড় নিয়ে তুমি প্রকট হচ্ছো
ঔষধীয় গুল্মে।
প্রতিটি পলে বাঁশি বেজে উঠছে
আমি তার ধ্বনি সাইরেন্ ভেবে
প্রতিটি মুহূর্ত কম্পিত হচ্ছি,
আসলে, বজ্র-বিদ্যুৎ ভরিয়ে
প্রতিটি দিগন্ত সাজিয়ে রেখেছো তুমি
আরো অগন্য জল জোগাবার প্রত্যাশে।
লেখক পরিচিতি : প্রভঞ্জন ঘোষ
সাহিত্য অনুরাগী
কবিতা ভালো লাগলো।
তবে কবিতার গঠন রীতি কেমন অগোছালো। বারবার হোঁচট খেতে হচ্ছে।
আমার মনে হয় কবিতার শব্দ গুলো নতুন করে পরিবেশন করলে মনোগ্রাহী হবে ।
শুভেচ্ছান্তে আবদুস সালাম
ধন্যবাদ।
চেষ্টা করবো।
ভালো লাগলো। বিশেষত প্রথম কবিতাটি। খুব সুন্দর ছন্দ ব্যবহার…