লেখক : প্রভঞ্জন ঘোষ
পুষ্প
নিশ্চুপ-নীরব
শান্ত-সমাহিত প্রকৃতি
বুদ্ধবৎ,
তাকে তুমি যতই ধমক্ দাও
প্রত্যাঘাত নেই,
নেই কোন দ্বিরুক্তি
দন্দ্ব-কোঁদল
বিপরীত, দিয়ে যায় নৃত্যের দোল।
পেলব, চিকন,
নমনীয়,
ফুরফুরে তনু:
তাকে তুমি যত ডলো
কুটি করো অবয়ব সবি’
বিনিময় দিয়ে চলে
সুগন্ধ-সুরভি!
আরুক্ষ অতি
কঙ্কর, প্রস্তর
বালুর বিস্তৃতি-
তাকে তুমি মাঝখানে রাখো
একটি কি দুটি
পরিবেশ হয়ে ওঠে
মুহূর্তে সজীব!
স্নিগ্ধ সে ফুল!
ফুলের ন্যাওটা হওয়া
নয় কিছু ভুল।
সংশয়
বিভৎস রূপ দেখেছি
ড্রাগনের নি:শ্বাসে
পুড়ে যেতে দেখেছি
আস্ত ঘর-সংসার।
অন্তরালের কালো তীর
বিদ্ধ করতে দেখেছি
উপর্যুপরি-
লুটিয়ে পড়তে দেখেছি
সহস্র পক্ষী।
হলাহল ঢালাঢালি
দেখেছি নীরবে
কালকূট বিষ,
নীলচে করেছে দেহ
সদা অহর্নিশ!
আর কিছু নহের
অবিশ্বাস, হিংসা এবং সংশয়ের।
প্রচ্ছন্নে
অন্ধকারের কথা বলব না
আলোর প্রতিটি অতসীর
প্রচ্ছন্নে তুমি।
বিষন্নতার কথা বলব না
আনন্দের প্রতিটি আবর্তের
প্রচ্ছন্নে তুমি।
রিক্ততার কথা বলব না
প্রচুর্যের প্রতিটি কণিকার
প্রচ্ছন্নে তুমি।
শীর্ণতার কথা বলব না
উত্তীর্নের অমোঘ শক্তির
প্রচ্ছন্নে তুমি।
মালঞ্চে দেখি না,
সমীরনের মধুর সৌরভে-
প্রচ্ছন্নে তুমি।।
লেখক পরিচিতি : প্রভঞ্জন ঘোষ
সাহিত্য অনুরাগী
Joss