লেখক : সুতপা সোঽহং
এক মুহূর্তে : কষ্টের থইথই জল; নীলাভ কিংবা কৃষ্ণনীল!
ব্রহ্মতালুর রগ যেন কেরোসিনের লন্ঠন; দপদপ দপদপ জ্বলেই যায় লাগাতার।
আটকে থাকা শ্বাস কন্ঠনালী ছোঁয় না।
হাহাকারে ভাসানো দর্শন, তত্ত্বকথা, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম।
চোখ হয়ে ওঠে সমুদ্রের উৎসকথা!
প্লাবনে ভাসতে ভাসতে একসময় মাথা পৌঁছায় ফ্যান অব্দি;
“অমল ধবল পালে লেগেছে মন্দ মধুর হাওয়া
দেখি নাই ওগো দেখি নাই এমন তরণী বাওয়া..”
…গাওয়া গলায় ওড়নার প্যাঁচ লাগে!
পৃথিবী দুলে ওঠে; জগত পলকে ফুসমন্তর!
পরের মুহূর্তে : কিন্তু ওকী!
ওড়না কোথা? গলা জুড়ে সাপ মিশকালো, হিংস্র!
লন্ঠন? নাহ নাহ মনের ভুল রগ ফুঁড়ে দপদপে চাঁদ ;
বিষ বাষ্পে কন্ঠনালী নীল কিংবা কালো।
ইথার তরঙ্গে ওম্-কার, নিরাকার, দর্শনহীন;
দু’দিনের না আঁচড়ানো চুল জটা হয়ে নামে মাথা বেয়ে কোঁকড়ানো মহিমান্বিত!
চোখের নদীর নাম বদলে লবণাক্ত; নাম তাতে ‘গঙ্গা’;
কষ্টের রং লাগে গায়ে; নীলে নীলে নীলময়!
মাথা ফুঁড়ে স্বর্গ, পা খুঁড়ে পাতাল;
সংসার স্বপ্নবৎ, ভ্রমমাত্র!
দেখি নাই দেখি নাই এমন তরণী বাওয়া!
ওহে চেনোনি বুঝি?
আমি নশ্বর জীব; আবার নশ্বরতার ছাইভস্ম মেখে আমিই জটাধারী শিব!
লেখক পরিচিতি : সুতপা সোঽহং
সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতার পেশায় যুক্ত। প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'জলের কোলাজ'রেনেসাঁস শারদ সন্মান ২০২৪ এ মনোনীত। প্রচুর স্বনামধন্য পত্র পত্রিকায় লেখা প্রতিনিয়ত প্রকাশিত হয়। লেখালেখির পাশাপাশি চিত্রশিল্পেও খ্যাতি লাভ করেছেন।