নির্লজ্জ

লেখক: ইচ্ছেমৃত্যু

লজ্জা – ১

সকল লোকের মাঝে বসে/ আমার নিজের মুদ্রাদোষে/ আমি একা হতেছি আলাদা?” উত্তরটা জানা নেই। তবে আমার বয়সী বন্ধুরা বিয়ে-থা করে দু-এক পিস বাচ্চা সমেত ঘোরতর সংসারী। আর আমি আমার এক কামরার একলা ঘরে বেশ সুখেই, অন্তত নির্ঝঞ্ঝাট তো আছিই। সমবয়সী বন্ধুদের গলদ্‌ঘর্ম অবস্থা দেখে বা তাদের ‘একা আছিস বিন্দাস আছিস’ টাইপের কথা শুনে নিজেই নিজেকে বাহবা দিই, যদিও বাহবাটা আমার যাবতীয় দোষগুলিরই (এই কী মুদ্রাদোষ?) পাওনা।
খাওয়া দাওয়া নিয়ে আমার বেশি হ্যানা ত্যানা নেই, তাই দিনের বেলা অফিস ক্যান্টিন বা ঝুপস্‌ আর রাতের বেলা ভাতে ভাতে ফোটানো! আর তাতে ল্যাদ লাগলে অফিস ফেরতা বড় রাস্তার পাশের ঝুপ্‌স থেকে গোটা চার রুটি – কিনে বা গিলে নিজের ডেরায় ফিরি। আর এই সূত্রেই বছর উনিশ-কুড়ির ছেলেটার সাথে পরিচয়। পরিচয় বলতে মুখ চেনা, রোজ এক দোকানে গেলে যেমন হয়। মিশুকে নই বলে নামটাও জেনে নিইনি কোনদিন। দোকানটার দেওয়ালগুলো কাঠের, মাঝে একটা কাঠের পার্টিশন তুলে পুরো ঘরটাকে দুটো করে নেওয়ার চেষ্টা যার ভিতরের দিকটায় রান্না হয় আর অনুমান করে নেওয়া যায় বাকি অংশে সংসারের বাকি জিনিস। হ্যাঁ, এই দোকান ঘরটাতেই ও, ওর মা আর বোনকে নিয়ে থাকে। মাকে, বা বোনকে খুব বেশি সামনে আসতে দেখিনি। যে দুয়েকবার ওর বোনকে দেখেছি বেশ ভাল লেগেছে গড়ন ধরন, বয়সের তুলনায় শরীরে একটু বড়ও মনে হয়। কোনকোনও দিন খদ্দেরের চাপ বেড়ে গেলে টুকিটাকি তরকারি বা রুটি দিতে বোন এগিয়ে এলে ছেলেটা রাগ মিশ্রিত চাপা গলায় বলে, “তোকে বাইরে আসতে বারণ করেছি না!”
ছেলেটা খুব ক্রিকেট প্রিয়, প্রায়ই রেডিওতে ধারাভাষ্য শুনতে দেখি (বলা বাহুল্য টিভি নেই), এমনকি ইংরাজি ধারাভাষ্যও – মনে হয়েছে নিশ্চয় স্কোরটুকু শোনে, বাকি কিছু বোঝে না। এরকমই একদিন রুটি কিনছি, ওদের দোকানগুলোর কোন তাগাদাদার টাইপের কেউ খাতা নিয়ে ওকে দিল, ও কিছু টাকা দিল আর খাতায় ইংরাজিতে দু তিন লাইন কিছু লিখে দিচ্ছিল – অসম্ভব সুন্দর হাতের লেখা। মুক্তোর মত হাতের লেখা অনেক শুনেছি – দেখলাম প্রথম, যে শিক্ষকের কাছে ইংরাজি পড়তাম তাঁর হাতের লেখাকে আদর্শ মানতাম কিন্তু সেই লেখাও যেন হার মেনে যাবে। মুখ দিয়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে বেড়িয়ে এল – “বা: তোমার হাতের লেখা দারুণ তো!”
ছেলেটা কিছু বলেনি, শুধু খাতাটা সেই তাগাদাদারকে ফেরত দিতে দিতে আমার মুখের দিকে চেয়েছিল। লজ্জায় মুখ নামিয়ে নিয়েছিলাম – জানি না কেন! কর্পোরেট সেক্টরে বড় মাইনে পাওয়া আমার হাতের লেখা ওর ধারেকাছেও আসবে না ভেবে নাকি ওর সরল চোখের চাহনির সরল প্রশ্নটা পড়ে ফেলেছিলাম অবচেতনে – “কেন বাবু, দোকানে কাজ করি বলে কি হাতের লেখা ভাল হতে পারে না?”

লজ্জা – ২

সেই সেদিন থেকেই মনের মধ্যে একটা সম্ভ্রম তৈরি হয়ে গিয়েছিল ছেলেটার উপর। দোকানে যাওয়া না যাওয়ার দোটানায় ভুগতাম। ইচ্ছে করত – যেতে, গল্প করতে। কিন্তু মিশুকে নই বলে দোকানে গেলেও কথা বলতে পারতাম না। অথচ, অন্যান্য খদ্দের যাদের বেশির ভাগই অটোওলা, ট্যাক্সি ড্রাইভার তারা কী অনায়াসে ছেলেটার সাথে গল্প করত! আমি যোগ দিতে পারিনি কোনদিন। তাই বেশিরভাগ এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টাই শুরু হল, পাশের দোকান থেকেও খাবার কেনা যায় না, ছেলেটা দেখলে কি ভাববে! ফলে চাপ বাড়ল আমার, বাড়ি ফিরে রান্না করা। চলছিল এভাবেই, সৌজন্যে – দুমিনিটের নুড্‌ল্‌স কোম্পানি! সেদিন আমেরিকার স্বাধীনতা দিবস বলে আমাদের কাজ ছিল না (নিজের দেশের স্বাধীনতা দিবসটা যদিও বিদেশির গোলামি করেই কাটাই), বিকেল বিকেল বেরিয়ে বারে গিয়ে হাজির হলাম কয়েকজন কলিগ; বলা বাহুল্য এদের বেশির ভাগই বিবাহিত – জলদি বাড়ি ফেরার তাড়া। তাই সন্ধ্যে সন্ধ্যে দু’পাত্তর চড়িয়ে ঝিম্‌ঝিমে মাথা আর ফুরফুরে মন নিয়ে বাড়ির পথে ফেরা। সেদিন আর বাড়ি ফিরে রান্না করার ইচ্ছে হল না, দোকানে গিয়ে দাঁড়াতেই ছেলেটা জিজ্ঞাসা করল, “চারটে? খাবেন না প্যাক করে দেব?” “চারটা… প্যাক করে দাও।” রুটি, আলুভাজা অভ্যস্ত হাতে প্যাক করে নিয়ে এল, আমি টাকা দিতে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম “কত?” প্রায় গেলেও মনে থাকে না দাম, অথচ ছেলেটার মনে থাকে চারটে রুটি আমি খাই। ছেলেটা হঠাৎ কোন বাজে গন্ধ পেয়েছে এমন ভাবে নাকের কাছে হাত দিয়ে বলল “সতেরো।”
ও কি আমার মুখে মদের গন্ধ পেয়ে নাকে হাত চাপা দিল! অথচ ওর দোকানেই তো রোজ রাতে সস্তার দিশি মদ খাওয়া অটোওলারা ওর সাথে রীতিমত গল্প করতে করতে খেয়ে যায়! তাহলে কেন? আমাকে হয়ত আর পাঁচজনের মত মদ্যপায়ী ভাবতে পারেনি ছেলেটা… আরও একবার লজ্জায় মাটিতে মিশে যেতে ইচ্ছে করল!

লজ্জা – ৩

মাস কয়েক পরের কথা। মাঝের সময়টা যতদূর সম্ভব দোকানটা এড়িয়ে চলেছি, হঠাৎ গেলে ছেলেটা শুধিয়েছে, “বাইরে কোথাও গিয়েছিলেন? অনেকদিন আসেননি?”
“ফ্লাইওভারের কাজ শুরু হয়েছে, এদিকটায় জ্যাম-ট্যাম থাকে তাই রোজ এদিক দিয়ে আসা হয় না” নির্মিয়মাণ ফ্লাই-ওভারের অজুহাত দিয়ে কাটিয়েছি। এরকমই এক সময়ে বিদেশ থেকে ফিরল আমার এককালের খুব কাছের বন্ধু। সেও বিয়ে করেনি, তবে তার কারণটা আমার মতো নয়। এতদিন বিদেশে টাকা কামাতে ব্যস্ত ছিল। এখন কলকাতায় ফ্ল্যাট, গাড়ি কিনেছে, শুধু বৌ কেনাটাই বাকি (নারীবাদীরা মাফ করবেন, কিন্তু এই সব লোকেরা যেভাবে দেখে শুনে বাজিয়ে টাজিয়ে নিয়ে বিয়ে করে, শো-রুম থেকে বৌ কেনাই মনে হয়)। ওর গাড়িতেই সেদিন বেড়িয়েছিলাম, ঠিক হয়েছিল সারা রাত উদ্দাম উপভোগ করব – একদম অন্যরকম ভাবে। ভাবনা অনুযায়ী প্রথমেই একটা বারে গিয়ে আকন্ঠ পান – আমাদের মতো আইটি আপিসের কেরাণীদের উদ্দাম উপভোগের শুরু ঐ পান দিয়ে আর শেষও পান দিয়ে। কিন্তু আমার বিদেশ ফেরৎ বন্ধুর উপভোগের সংজ্ঞা কিছুটা পাল্টেছিল। বলল, “এবার একটা মাগী নিয়ে ফ্ল্যাটে যাই চল।”
আমি তীব্র আপত্তি করেছিলাম। “এইটা কিন্তু ঠিক হচ্ছে না বস, আমাদের আজ উদ্দাম ফুর্তির কথা ছিল। তুমি সেই ভেতো বাঙালিই রয়ে গেলে!” বাঙালিত্বে ঠেস নাকি অ্যালকোহলের গুণে জানি না, রাজি হয়ে গেলাম, “তবে একটা শর্তে, ঐ রাস্তা থেকে মেয়ে তুলতে আমি পারব না। তুই যাবি, নিয়ে আসবি।”
“নো প্রবলেম বস! তুমি চুপ্‌টি মেরে বসে থাকো।” পেটে পড়লে আমার বন্ধুর কথায় কথায় শুধু “বস” বের হয়! ড্রাইভ ঐ করছিল (ড্রিংক অ্যান্ড ড্রাইভ ঠিক না জেনেও), আমার ভাড়া বাড়ির কাছাকাছি জায়গা দিয়ে পেরোচ্ছিলাম – ২/৩ কিমি হবে, এ রাস্তা দিয়েই ওর নতুন কেনা ফ্ল্যাটে যাওয়া যায়। ও হঠাৎ গাড়ি দাঁড় করালো, আমি বললাম, “কিরে কী হল?”
“যাই তোর জন্যে নিয়ে আসি!”
“এখানে? এখানে ঐ সব কোথায় পাবি?”
“বস, আমার সব জানা আছে! দেশে অনেকদিন নেই হতে পারে, তবে ভুলে যেও না এই শহরটা আমার, এর শিরা ধমনী আমার হাতের তালুর মতো চেনা!” কিছুক্ষণ পরে ফিরে আসে, পাশে একটা মেয়ে, বেশ কম বয়সী। গাড়ির দরজায় টোকা দিয়ে আমার বন্ধু বলে, “বাইরে এসে ভাল করে দেখ, চলবে তো? একদম কচি। খরচা একটু বেশিই কিন্তু একদিনের জন্যে তো, বেহিসেবি হওয়াই যায়, কি বলিস?” গাড়ির বাইরে এসে মেয়েটাকে দেখে কেমন যেন চেনা লাগে, কোথায় দেখেছি ঠিক মনে করতে পারছি না, অবশ্য পারার কথাও নয়, এরকম রাস্তাঘাটে তার উপর এরকম চড়া মেক আপ করা মেয়ে আমার চেনার কথা না। এমন সময় একটা ছেলে এগিয়ে আসে মেয়েটার দিকে, বলে “কাজ হয়ে গেলে ভোর ভোর চলে আসিস। দেরি করিস না।” ছেলেটার দিকে তাকাতে চোখাচোখি হল আর সঙ্গে সঙ্গে একটা ঝটকা লাগল, আরে এ যে সেই ছেলেটা! এটা কি ওর ঐ বোনটা? ছি:! এক মুহূর্ত সময় না নিয়ে বন্ধুটাকে বললাম, “এখানে নয়, তুই চল। জলদি চল।” বন্ধুটাকে কিছু বলতে না দিয়েই ওর হাত ধরে টানতে টানতে গাড়ির দিকে নিয়ে এলাম, ও বলতে গেল “আরে অ্যাডভান্স দিয়েছি পাঁচশ টাকা”
আমি থামিয়ে দিয়ে বললাম, “থাক। টাকাটা নেওয়ার দরকার নেই, তুই চল।”
গাড়ি ছাড়ল, লজ্জা-ঘেন্না বা অন্যরকম নাম-না-জানা অস্থির অনুভূতিটা ছাড়ল না।

লজ্জা – ৪

আরও মাস কয়েক পরের কথা। ভাড়াবাড়ি পাল্টে অন্য পাড়ায় চলে এসেছি। সেই রাতের পর থেকে ঐ ছেলেটার সাথে আর দেখা হয়নি। এখন মনে হয়, আমার থেকে তো ছেলেটার লজ্জা বেশি পাওয়া উচিত ছিল। খাবারের দোকানটা খুব ভাল না চললেও ওদের তিনজনের চলে যাওয়ার কথা, তবু বোনকে এরকম পথে নামালো কী বলে? ঐ ছেলেটাকেই তো দোকান চালানোর সময় দেখেছি বোনকে আগলে আগলে রাখতে, আমাদের সামনেই আসতে দিত না; তখন ভেবেছি দাদা হিসেবে কত বড় দায়িত্ব পালন করছে। কিন্তু সে যে উজ্জ্বল আলোয় আমাদের চোখের থেকে দূরে রাখত, আর রাতের আঁধারে রাস্তায় রং মাখিয়ে দাঁড় করিয়ে দিত – আগে বুঝিনি। যাই হোক, সময়ের সাথে সাথে সবই মিলিয়ে যায় – সেই রাত, সেই ছেলে, সেই বোন মিলিয়ে যাবে এ আর কঠিন কী!
সেদিন রোজকার অভ্যাস মতোই খবরের কাগজ পড়ছিলাম। গতকাল উচ্চ মাধ্যমিকের রেজাল্ট বেড়িয়েছে, গত কয়েক বছরের মতোই জেলার স্কুলগুলির রমরমা। “মহানগর কলিকাতার হইল কী” এরকম ভাবতে ভাবতে পাতা ওল্টাচ্ছিলাম। মাঝের পাতাতেও ঐ রেজাল্টের কচকচি, কে কোথায় কত পেল। এর মধ্যেই একটা খবর, বলা ভাল ছবিতে আটকে গেল চোখ। খুব চেনা লাগছে, মাঝের পাতায় সাদা কালোয় ছাপা একটা পরিবারের ছবি – মাঝে একটা ছেলে, দু পাশে বোন আর মা। সারা শরীরে একটা শিহরণ বয়ে গেল, খবরটায় দ্রুত চোখ বোলাতে লাগলাম যার শিরোনাম – দারিদ্রের সাথে লড়েও শহরে প্রথম সুজিত। এক দমে লেখাটা পড়লাম, যার মূল – “পিতৃহীন সুজিত শহরের এক ব্যস্ত রাস্তার পাশে ভাত রুটির দোকান চালাত আর এর ফাঁকে পড়াশোনা। মা দোকানের রান্না বান্না করত, আর সুজিত খদ্দেরদের খাবার পরিবেশন করত, হিসাব সামলাতো। পাশাপাশি রাত জেগে পড়াশোনা। কিন্তু তাতেই শেষ নয়, শহর সাজানো, রাস্তা সম্প্রসারণ ও ফ্লাইওভার তৈরির জন্য রাস্তার ধারের তাদের দোকানটি অন্যান্য দোকানগুলির মতোই বন্ধ হয়ে যায় টেস্ট পরীক্ষার পরে পরেই, উঠে যেতে হয় এক বস্তিতে। পরীক্ষার আগের যে তিনমাস সবাই পুরোদমে পরীক্ষার প্রস্তুতি নেয় সে সময় সুজিত এ দোকানে, সে দোকানে কাজের সন্ধানে ঘুরেছে। কোনদিন না খেয়ে কোনদিন একবেলা খেয়ে কাটিয়েছে। আর এভাবেই সব বাধাকে তুচ্ছ করে আজ শহরের মধ্যে প্রথম আর রাজ্যে সপ্তম স্থান অধিকার করেছে সুজিত।”
অনেকগুলো প্রশ্ন মাথায় এল, “ওর দোকানটা উঠে গেছে?”
“ওর বোনকে নিয়ে ঐ জন্যেই রাস্তায় দাঁড়াতে হয়েছিল?”
“বোনের অবদানের কথা তো কোথাও লেখেনি, ওর কি লজ্জা লেগেছে সত্যি বলতে?”
শেষ প্রশ্নটা মাথায় আসতেই ছেলেটার সেই রাতের চোখদুটো ভেসে উঠল চোখের সামনে, সেদিন যেন ছেলেটা বলতে চেয়েছিল “বাবু, আপনি এত নিচে নামতে পেরেছেন… এতটা নির্লজ্জ আপনি?”


লেখকের কথা: ইচ্ছেমৃত্যু
জন্ম বর্ধমানের বর্ধিষ্ণু গ্রামে। পেশায় নরম তারের কারিগর আর নেশায় – রীতিমত নেশাড়ু, কী যে নেই তাতে – টুকটাক পড়াশোনা, ইচ্ছে হলে লেখা – সে কবিতা, গল্প, রম্যরচনা, নিবন্ধ যা কিছু হতে পারে, ছবি তোলা, বাগান করা এবং ইত্যাদি। তবে সব পরিচয় এসে শেষ হয় সৃষ্টিতে – পাঠক যেভাবে চিনবেন চিনে নেবেন।

শেয়ার করে বন্ধুদেরও পড়ার সুযোগ করে দিন

7 Comments

  1. অজ্ঞাতনামা কেউ একজন

    দারুণ। পরিমিত। শেষের জার্কটা লেখকের মুন্সিয়ানার পরিচয়।

  2. রাজীব চক্রবর্ত্তী

    দারুণ। পরিমিত। শেষের জার্কটা লেখকের মুন্সিয়ানার পরিচয়।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to Top
error: লেখা নয়, লিঙ্কটি কপি করে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।