লেখক : প্রিয়াংকা রাণী শীল
১.
খুব ভোরে ঘুম ভাঙলো আজ বিনীতার। ঘড়িতে তখন ভোর প্রায় সাড়ে পাঁচটা। বিনীতা বিছানা থেকে নেমে সোজা বারান্দায় গিয়ে দাঁড়ালো। এখান থেকে বাইরের প্রকৃতিটা দারুণ ভালো লাগে তার। ভোর বেলার এই সময়টাতে প্রকৃতি থাকে বড্ড নিঃস্তব্ধ হয়ে। বিনীতার অনেক প্রিয় এই নিঃস্তব্ধতা। এখান থেকে দূরে খুব হালকা করে সমুদ্রটা দেখা যায়।
বিনীতা এই শহরে এসেছে দশ দিন হলো। এত দ্রুত এই শহরে সে দ্বিতীয়বার পা দিবে সেইটা ভেবে অবাকই লাগে তার। কারণ…শহরটা যে অলোকের ছিল ; হতে পারতো… একদিন অলোকের সাথে তারও। ভাবতে ভাবতে বিনীতা রুমের আয়নার সামনে এসে দাঁড়ালো। আয়নায় নিজেকে পর্যবেক্ষণ করলো। বেশ পরিবর্তন হয়েছে তার। এই এক বছরে নিজেকে সে পরিবর্তন করেছে। আজকাল শাড়ি পড়ে ফুলটাইম। চোখে এসেছে চশমা। আর লম্বা চুল… ! এখন প্রায়ই খোঁপায় তা গুঁজে রাখে সে। লম্বা ঘন চুলগুলো যখন সে খোঁপায় গুঁজে, বিনীতার মনে পড়ে যায় তখন অলোক এর কথা।
অলোক বলতো, “খোলা চুলে তোমায় অনেক ভালো লাগে বিনীতা। কখনও চুল বেঁধে রেখো না।” কথাটা মনে পড়তেই বড্ড কষ্ট হয় বিনীতার। আয়নার কাছ থেকে সরে আসে সে। মনে মনে বলে, ” কেন আর চুল খুলে রাখবো? কার জন্য রাখবো?”
হঠাৎ ঘড়িতে সকাল সাতটার অ্যালার্মটা বেজে উঠতেই অতীত থেকে বর্তমানে ফিরে এলো বিনীতা। তাড়াতাড়ি তৈরি হতে হবে। বিনীতা বরাবরই সময়ের মূল্য দেয়। বিশেষত তার কর্তব্যে। পেশায় সে একজন ফিজিওথেরাপিস্ট। সময়মতো তার হাসপাতাল যাওয়াটা বাঞ্ছনীয়।
২.
দুপুর সাড়ে বারোটায় বিনীতা যখন রোগীদের দেখা শেষ করে তার রুমে আসলো তখন সে প্রচুর ক্লান্ত। টেবিলে রাখা এক গ্লাস জল খেয়ে চেয়ারে বসলো বিনীতা। তার পাঁচ মিনিটের মধ্যেই একজন নার্স এসে রুমের দরজায় নক করলো। বিনীতা “come in, please ” বললে নার্স ভেতরে ঢুকে বললো “আপা, রুবা ম্যাডাম ডেকেছেন…।” রুবাইয়াত আক্তার বিনীতার সিনিয়ার। সবাই সংক্ষেপে রুবা ম্যাডাম নামে ডাকে। বিনীতা বললো, “তাই…! আসছি।” নার্স চলে যায়। বিনীতা আবার চেয়ার ছাড়ে।
প্রথমদিন থেকেই রুবা ম্যাডামের সাথে বিনীতার পরিচয়। বয়স প্রায় পঞ্চাশের কাছাকাছি। বেশ রাশভারী আর হাসিখুশি। এই বয়সেও কঠোর পরিশ্রমী। এই কয়দিনে বিনীতার সাথে তার সম্পর্কটা অনেকটা মা মেয়ের সম্পর্কের কাছাকাছি পৌঁছেছে। বিশেষত বিনীতার কর্তব্যের প্রতি নিষ্ঠা অবাক করেছে রুবাইয়াত আক্তারকে।
রুবা ম্যাডামের রুমের দরজায় নক করে হালকা করে খুলে বিনীতা বললো, “আসবো ম্যাডাম?”
রুবা ম্যাডাম বিনীতাকে দেখে মুখে হালকা হাসি এনে বললেন,”এসো বিনীতা, তোমার অপেক্ষাই করছিলাম। বসো…।”
বিনীতা ভেতরে ঢুকে চেয়ার টেনে বসতে বসতে বললো,”আমাকে ডেকেছেন…।”
“হাঁ,ডেকেছি। একটা কাজ করে দিতে হবে তোমায়।”
“জ্বি,বলুন…কি কাজ?”
” আমার এক পেশেন্ট…আসলে পেশেন্ট বললে ভুল হয়, আমার স্কুল জীবনের বান্ধবী — গত এক বছর ধরে প্যারালাইসড। আজ যাওয়ার কথা। কিন্তু হাতে এখনও আজ অনেক রোগী। তাই বলছিলাম তুমি যদি একটু যেতে…।”
“আমার অসুবিধা নেই ম্যাডাম।”
“তুমি আমায় বাঁচালে…আসলে আর কারও উপর ভরসা হয় না।” তারপর “এ হলো আশালতা চৌধুরী মানে আমার বান্ধবীর ফাইল। কি করতে হবে সব দেয়া আছে। আর আমার গাড়ি করে চলে যেও। ” বলতে বলতে ফাইলটা বিনীতার হাতে তুলে দিলেন। বিনীতা ফাইলটা নিল। কিন্তু আশালতা চৌধুরী নামটা শুনে কেমন যেন মনে খটকা লাগলো। “…এ কোন আশালতা …” ভাবতে লাগলো বিনীতা।
বিনীতাকে একটু চুপ থাকতে দেখে রুবা ম্যাডাম জিজ্ঞাসা করলেন,” কোন সমস্যা, বিনীতা?”
বিনীতা আচমকা মাথা নেড়ে বলে,”না,কোন সমস্যা নেই ম্যাডাম।”
রুবা ম্যাডাম হাসি দেয়। যেন একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ছাড়ে। কিন্তু বিনীতার মনে যেন নানা প্রশ্ন ঘুরপাক করতে থাকে।
বিনীতা তাই জিজ্ঞাসা করলো, “ম্যাডাম, আপনার বান্ধবী প্যারালাইসড হলো কি করে?”
রুবা ম্যাডাম তখন বলতে শুরু করলেন, “সে এক করুণ কাহিনী, বিনীতা। এক বছর আগে ওর একমাত্র ছেলেটা সুইসাইড করে। এর পর ও স্ট্রোক করেছিল। তারপর থেকে এই অবস্থা।” এরপর মনটা খারাপ করে বললো, “ওর ছেলেটা বেশ মেধাবী ছিলো।নিউরোলোজিস্ট হিসেবে নাম করতে পারতো একদিন।ভালো ছবিও আঁকতো।” বলতে বলতে আফসোস করতে থাকেন রুবা ম্যাডাম।
কথা শুনে বিনীতার খটকা যেনো আরো বাড়তে লাগলো।
রুবা ম্যাডাম এরপর বললেন, “শুনেছিলাম, একটা আর্ট এক্সিবিশনে ওর পার্টিসিপেট করার কথা ছিল।প্রকৃতিকে ভালোবাসতো অনেক ছেলেটা। তাই বিষয়বস্তু ঠিক করেছিল …’অস্তরাগ’।”
বিনীতা আর কোন কথা বললো না। রুবা ম্যাডামের কাছ থেকে বিদায় নিল খুব সহজভাবে, … নীরবে।
৩.
বিনীতা তাকিয়ে আছে গাড়ির জানালা দিয়ে। চশমার আড়ালে তার চোখ জলে ভিজছে বার বার। অলোকের কথা মনে পড়ছে আজ। মনে পড়ে বিনীতার অলোকের সাথে তার প্রথম সাক্ষাৎ এর কথা। অত্যন্ত ঘরোয়াভাবে দেখা হয়েছিল তাদের। বিনীতা তখন ভার্সিটির ফাইনাল ইয়ারে। আর অলোক তখন ইন্টার্নসিফ শেষ করে একটি সরকারি হাসপাতালে মাত্র জয়েন করেছে।
পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে ঠিক হয়েছিল। এক বিকেলে অলোকের বাবা-মা বিনীতাদের বাসায় এসে তাকে পছন্দ করে যায়। সেদিন অলোক ও এসেছিল। খোলা ছাদে কিছুক্ষণ কথা হয়েছিল সেদিন। এরপর প্রায়ই ফোনে টুকটাক কথাবার্তা চলতো। ধীরে ধীরে একজন আরেকজনের কাছে খুব ঘনিষ্ঠ হতে থাকে।
বিনীতার মনে পড়ে তাদের বিয়েটা বিনীতার পরীক্ষার পরই দেয়ার কথা ছিল। এর মাঝে অলোকের সাথে সে প্রায়ই দেখা করতো কোন রেস্টুরেন্ট কিংবা কোন শপিংমলে। দু ‘জন দু ‘জনকে তখন জানতে পেরেছিল অনেকখানি। ‘অস্তরাগ’ নিয়ে তার আর্ট এক্সিবিশনের কথাও বিনীতা জানতো। অলোক একদিন বলেছিল, “বিনীতা, তুমি জানো কি? কেন ‘অস্তরাগ’ বেছে নিয়েছি?”
“না তো, কেন?” বিনীতার সহজ উত্তর।
“সেদিন তোমাদের বাসার ছাদে তোমার সাথে কথা বলার পর যখন ফিরে আসছিলাম ; দেখি আকাশে তখন অস্তরাগ ; আকাশে বিস্তৃত অস্তরাগের লাল গোলাপী আভায় তোমাকে ঐ মুহূর্তে ভারি ভালো লাগছিল।তখন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম অস্তরাগ নিয়ে কাজ করবো। আমার অস্তরাগে তোমাকে আঁকবো, রাঙাবো।”
বিনীতা কি বলবে ভেবে পাচ্ছিল না ? অলোকের কথাগুলো তার কাছে মনে হচ্ছিল স্বপ্নের মতো !
এভাবে দিনগুলো কেটে যাচ্ছিল খুব সুন্দরভাবেই। কিন্তু হঠাৎ এক ছন্দপতনে এলোমেলো হয়ে যায় সব।তখন সবেমাত্র বিনীতার পরীক্ষা শেষ হয়েছে। বিনীতার বাবা ঠিক করলেন বিনীতাকে নিয়ে কোথাও থেকে ঘুরে আসবেন। বিনীতার ছোটবেলা থেকে পাহাড় পছন্দ। ভাবলেন কোন পাহাড়ি জায়গা থেকে ঘুরে আসলে কেমন হয়? যেই ভাবা সেই কাজ। শহর থেকে দূরে পাহাড়ি এক গ্রামে ঘুরতে যায় তারা। কিন্তু আসার সময় হঠাৎ এক ভয়ংকর রোড এক্সিডেন্টে বিনীতার বাবা মারা যায়। আর বিনীতা পায়ে বড়ো ধরনের আঘাত পেয়ে শয্যাশায়ী হয়। ডাক্তাররা সেরকম কোন আশ্বাস দিতে পারছিলেন না।এদিকে ডাক্তারের পরামর্শে শেষ চেষ্টা করতে বিনীতার মা তাদের বাড়িটি বিক্রি করে বিনীতাকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠানোর ব্যবস্থা করেন এবং ঠিক করেন আপাতত বিনীতার মামা বাড়িতে তিনি থাকবেন।
এই ঘটনার পর অলোকের পরিবার আর চায়নি বিনীতার সাথে অলোকের বিয়ে হোক।একদিকে বিনীতাদের আর্থিক অবস্থা চরম সংকটের মুখে। আর অন্যদিকে বিনীতার ভালো হওয়ার নিশ্চয়তা নিয়ে সন্দেহ। তাই অলোকের আপত্তি থাকা সত্ত্বেও তার বাবা-মা তখন নতুন মেয়ে দেখা নিয়ে ব্যস্ত। এসব ঘটনায় বিনীতা আর তার মাও চায়নি অলোকের সাথে সম্পর্কটা এগিয়ে নিতে। হাসপাতালে অলোক একদিন এসে শেষবারের মতো বিনীতাকে বলেছিল, “বিনীতা,আমি তোমায় হারাতে চাইনা। তুমি যে আমার অস্তরাগের রক্তিম আভা ; আমার অস্তরাগের পূর্ণতা। আমার অস্তরাগ যে আমি শুধু তোমাকেই দিতে চাই। অস্তরাগের নতুন আলো দিয়ে আমরা সব অন্ধকার দূর করবো।” কিন্তু বিনীতা সেদিন কোন উত্তর দেয়নি। শুধু চোখের জলে নিজেকে ভিজিয়ে গিয়েছে।
ভাবতে ভাবতে চশমার আড়ালে চোখে আসা জল মুছে নেয় বিনীতা। আর তখনই ড্রাইভার বলে উঠে,” আপা, এসে গেছে।”
৪.
বিনীতা আশালতা চৌধুরীর বাড়ির ভিতরে ঢুকলে প্রথমে দেখা হয় অলোকের বাবার সাথে।
“তুমি!” অবাক হলেন অলোকের বাবা। ” তুমি… মানে তোমার পা ভালো হয়েছিল…।”
বিনীতা অলোকের বাবার কথাকে এড়িয়ে গেল। “রুবা ম্যাডাম অন্য একটি কাজে ব্যস্ত। তাই আমাকে পাঠালেন।” সহজে বললো বিনীতা।
“হাঁ, বলেছিলেন আমাকে। কিন্তু তুমিই যে…! যাই হোক… এসো আমার সাথে…।”
বিনীতা অলোকের বাবাকে অনুসরণ করলো।
অলোকের মা আশালতা চৌধুরী বিছানায় শুয়ে ছিলেন। বিনীতাকে দেখে মুহূর্তের জন্য হলেও যেন চমকে গেলেন অলোকের মা। শাড়ি পরিহিত বিনীতা নিজ পায়ে তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে — এটা যেন আশালতা চৌধুরীকে চরমভাবে শাস্তি দিচ্ছিল। বিছানা থেকে মাথাটা উঠাতে গেলে বিনীতা হাত দিয়ে ইঙ্গিত দেয় না উঠানোর জন্য। নিজ স্বামীর চোখের দিকে তাকাতেই অলোকের বাবা চোখ সরালেন। আশালতা চৌধুরী বুঝলেন তার স্বামীও আজ বড্ড অনুতপ্ত।
বিনীতা এরপর আশালতা চৌধুরীকে নতুন কিছু ব্যায়াম আর ঔষধ দিয়ে বললো, “এবার তবে আমি আসি।”
হঠাৎ আশালতা চৌধুরী বিনীতার হাত ধরলেন। বিনীতা অলোকের মার চোখের দিকে তাকাতেই চোখের কোণে জল টের পেল সে। বিনীতা কিছু বললো না। আশালতা চৌধুরী আচমকা জোরে জোরে কাঁদতে শুরু করলেন। বিনীতার চোখেও জল চলে এলো। আশালতা চৌধুরী হাত জোর করে ক্ষমা চাইলেন। বিনীতা কোন উত্তর করলো না। শুধু আশালতা চৌধুরীর জোর করা হাতজোড়া নিজের দুই হাত দিয়ে চেপে ধরলো।
হঠাৎ অলোকের বাবা একটা ক্যানভাস এনে বিনীতাকে বললো,” এটা তোমার। অলোকের আর্ট এক্সিভিশনের শেষ ছবি। আমি জানি, ছবিটা দেখলে তুমি না নিয়ে থাকবে না।”
বিনীতা অলোকের মায়ের দিকে তাকালো। আশালতা চৌধুরীও হাঁ সূচক মাথা নাড়লেন।
জলভরা চোখে বিনীতা ক্যানভাসটা দেখলো। অবাক হয়ে সে দেখলো নিজেকে রংতুলির মাঝে, সাথে ছাদের খোলা হাওয়া আর অস্তরাগ। ঠিক যেন অলোকের সাথে প্রথম কথোপকথনের সেই বিনীতা, সেই খোলাচুল। বিস্মিত চোখে বিনীতা তাকিয়ে থাকে ক্যানভাসের দিকে।
… আর চশমার ফাঁক দিয়ে চোখের জল মুছে নিতে থাকে বারবার।
৫.
দেয়ালে রাখা ক্যানভাসটার দিকে তাকিয়ে থাকে বিনীতা। বিনীতার মা অলোকের সুইসাইড করার কথা জানতে পেরে কষ্ট পান।
সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসে। বিনীতার মা সন্ধ্যাপ্রদীপ দেন। বিনীতা খোলা চুলে বারান্দায় দাঁড়ায়। হাসপাতালে দেখা করার পর শেষবার অলোক বিনীতাকে ফোন দিয়েছিল। মনে পড়ে বিনীতার। অঝোরে কাঁদতে কাঁদতে বিনীতাকে অনুনয় করে অলোক সেদিন বলেছিল, ” আমার অস্তরাগের রক্তিম আভা ফেলে চলে যাবে…!!! পারবে …বিনীতা? “
বিনীতা তখনও কোন উত্তর দেয়নি।
শেষে অলোক বলেছিল, ” ঠিক আছে। চলে যাবে তো। তবে যাও, কিন্তু আমার অস্তরাগ যে একলা হয়ে যাবে।আমি যে শুধু তোমাকেই আমার অস্তরাগের আলোয় এঁকেছি ; কল্পনা করেছি… বারবার। দিয়ে যাও বিনিময়ে কিছু আর সুদেআসলেও। হিসেবটা চুকোতে পারবে তুমি…! বলো, বিনীতা…বলো…।” ওপাশ থেকে অলোকের চিৎকার আর এপাশে বিনীতার চাপা কান্না। ধরতে পারেনি তখন কেউ কারো কষ্টটা।
বিনীতার মনে পড়ছে সবটাই। মনে মনে বলছে, “জানি, অনেক কষ্ট পেয়েছো তুমি, অলোক। কিন্তু এত বড় কঠিন সিদ্ধান্তটা তুমি না নিলেও পারতে। আমি তো ভেবেছি তুমি ভালোই আছো। কিন্তু এ কি শুনলাম আজ!!!”
অঝোরে কাঁদতে লাগলো বিনীতা। আকাশে তখন অস্তরাগের রক্তিম আভা। চশমা চোখে বিনীতা তাকালো অস্তরাগের দিকে। মনে মনে বললো, ” তোমার অস্তরাগের বিনিময়ে কিছু চাই …!!! তাই না অলোক। তবে নাও… প্রতি অস্তরাগে তোমার জন্য আমার কষ্টে ভরা বৃথা প্রতীক্ষা…তাই দিলাম বিনিময়ে। আর সুদেআসলে… দিলাম, ঐ অস্তরাগে তোমায় ভেবে ভেবে ঝরে পড়া… আমার চোখের …অশ্রুবারি।”
সীমাহীন আকাশ জুড়ে বিস্তৃত অস্তরাগের লাল-গোলাপি আভা আজ কষ্ট দিচ্ছে বিনীতাকে, পোড়াচ্ছে প্রচন্ডভাবে।
লেখক পরিচিতি : প্রিয়াংকা রাণী শীল
আমি প্রিয়াংকা।জন্ম বাংলাদেশের চট্টগ্রামে। পড়াশোনা করেছি চট্টগ্রামেই। গল্প, উপন্যাস পড়তে ভালবাসি। আর ভালবাসি গল্প লিখতে। পড়াশোনা করা অবস্থায় স্কুল,কলেজ ম্যাগাজিনে তিনবার আমার লেখা গল্প ছাপানো হয়েছিল।বর্তমানে বাস করছি ইতালিতে। আমার লেখা গল্প পড়ে ভালো না খারাপ লাগলো তা জানালে অনেক বেশি ভালো লাগবে।
দারুণ ! দারুণ ! দারুণ !!! অনেক ভালো লিখেছেন।
ধন্যবাদ।
অসম্ভব ভালো লাগলো
ধন্যবাদ।গল্পটি পড়ার জন্য।
এই ভালো ও সাবলীল সুন্দর লেখাগুলো বারবার পড়লেও অপূর্ণ থেকেই যায়, আরও পড়ার শূণ্যতায় ।
এই ভালো ও সাবলীল সুন্দর লেখাগুলো বারবার পড়লেও অপূর্ণ থেকেই যায়, আরও পড়ার শূণ্যতায় ।
ধন্যবাদ, পড়ার জন্য।