শিল্পীর লড়াই

লেখক : সমীর মন্ডল

তাদের মধ্যে কেউবা তাড়া খাওয়া উদ্ধাস্তু, আবার কারো বা পিঠে এখনও দগদগে, কাঁটা তারের সেই দাগ। ঢাকা বিক্রমপুরের প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে উঠে এসেছিল যারা আপনার উঠোনে একটু খুব বাংলা এনে দিতে, হ্যাঁ তাদের মধ্যেই কেউ কেউ বর্তমানের কুমোরটুলির খ্যাতনামা শিল্পী। অবশ্য আপনাদের চোখে এই তো সেদিন তারা শিল্পীর সম্মান পেল। এই তো কিছুদিন আগে অবধি পর্যন্ত পটো বলেই আপনাদের কাছে পরিচিত ছিলেন তারা। বছরে দু’বার সুসজ্জিত পোশাকে পিকনিকের মেজাজ ছাড়া আর কখনও পৌঁছেছিলেন তাদের কাছে! কখনো বুঝি স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করেছিলেন তাদের কাদামাটির সংসার। কখন জেনেছেন বুঝি তাদের শিল্পী হওয়ার পেছনের, অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ের কথা? এককালে যেখানে তাদের তৈরী প্রতিমাকে ঘিরে জমে উঠত সমাজপতিদের বাবুয়ানা, সেখানেও তারা থেকে গেছে বঞ্চিত। সামান্য কিছু উপকরণ দিয়ে তারা যেখানে তৈরী করত মনোমুগ্ধকর শিল্পকলা, সেখানে ন্যূনতম শিল্পীর পরিচিতিটুকুও তাদের জোটেনি।তবে মেঘের পেছনে যে সূর্য হাসে। হাজারো বঞ্চনার মাঝেও আজ তারা নিজ স্বতন্ত্র পরিচয়ে আসীন।দেশ ছাড়িয়ে বিদেশের মাটিতেও আজ তাদের জয়জয়কার। এককালে তাদের তৈরী; মধ্যবিত্ত পরিবারের মতো ঘেঁষাঘেঁষি, ঠাসাঠাসি করে থাকা একচালার প্রতিমা আজ তিন পেরিয়ে পাঁচ চালায় পরিণত হলেও তার খ্যাতি বিশ্বজোড়া।


লেখক পরিচিতি : সমীর মন্ডল
আমি সমীর মন্ডল, আমি আশুতোষ কলেজের প্রানীবিদ্যা বিভাগের একজন ছাত্র। আমি লিখতে খুবই ভালবাসি। আমি ছোটোগল্প ও কবিতা লিখি। আমার বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে। আমার লেখা নিয়মিত "অল্পস্বল্পগল্প" ইনস্টাগ্ৰাম পেজে প্রকাশিত হয়। এখন আমি আপনাদের মাধ্যমে আমার লেখা তুলে ধরতে চাইছি। সত্যি যদি এরকম কিছু সম্ভব হয় তাহলে আমি আপনাদের কাছে অত্যন্ত কৃতজ্ঞ থাকবো।

শেয়ার করে বন্ধুদেরও পড়ার সুযোগ করে দিন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to Top
error: লেখা নয়, লিঙ্কটি কপি করে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।