যখন কবীর ডাকল সবারে… (পর্ব – ১)

লেখক: সম্বিত শুক্লা


যখন কবীর ডাকল সবারে…
 বিশ্বব্যাপী জরূরী অবস্থায় স্থানীয় পদক্ষেপের ডাক
মূল রচনাঃ
Kabira Khada bazaar Mein
A Call for Local Action in the
Wake of Global Emergency
Written by T. Vijayendra

কবীর দাঁড়িয়ে বাজারে
নিয়ে যষ্টি হাতে –
যে ঘর জ্বালিয়েছ নিজের
চলো আমার সাথে।।


Kabira Khada Bazaar Mein,
Liye lukathi haath.
Jo ghar phunke aapanou,
Chale hamare saath.


বিশ্বব্যাপী জরুরী অবস্থা ও স্থানীয় প্রতিক্রিয়া

প্রথম ভাগ
বিশ্বব্যাপী জরুরী অবস্থা

ইংল্যান্ডের শিল্পবিপ্লব (১৭৬০-১৮৩০) প্রযুক্তির আবিষ্কার ও মানব সম্প্রদায়ের স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ জীবনযাত্রার ক্ষেত্রে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছিল। প্রাথমিক পর্যায়ে, ধনী ও কিছু মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষ এই স্বাচ্ছন্দ্য ভোগ করবার সুযোগ পেলেও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তীকালে উন্নত পূঁজিবাদী দেশগুলির শ্রমিকশ্রেণীও মোটর সাইকেল, গাড়ি, ফ্রিজ, টিভি ইত্যাদির সুবিধা ভোগ করতে শুরু করে।  শ্রমিক শ্রেণী অবশ্য এই সকল সুযোগ সুবিধা সুদীর্ঘ শ্রমিক আন্দোলনের মাধ্যমে অর্জন করেছিল। ভারতের শ্রমিক শ্রেণী ১৯৭০ সালের পর থেকে কঠিন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে গিয়ে এই ধরণের সুবিধা ভোগ করতে শুরু করে। আর ১৯৯০ পরবর্তী সময়ে গ্রামীণ ভারতেও এই সব সুযোগসুবিধা বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের কাছে পৌঁছে যায় যদিও পাশাপাশি কৃষিকাজে বিভিন্ন সমস্যা, কৃষক আত্মহত্যা চলতেই থাকে।  

উনিশ শতকের মধ্যেই বেশ কিছু বিজ্ঞানী ও চিন্তাবিদ শিল্প বিপ্লবের কুফল নিয়ে ধারণা করতে পেরেছিলেন। যেমন উইলিয়াম ব্লেক (William Blake)  শিল্প বিপ্লবের কুফল নিয়ে প্রচুর লেখালিখি করেন। জন রাস্কিন (John Ruskin) শিল্প বিপ্লবের ফলে মূল্যবোধের অবক্ষয়ের কথা তুলে ধরেন। আরও অন্যান্য দার্শনিক ও লেখক এইসব নিয়ে প্রশ্ন তুললেও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে অব্দি এর ভয়াবহরূপ পরিষ্কার হয়নি। ১৯৬২ খ্রিস্টাব্দে রাচেল কারসন (Rachel Carson) এর লেখা ‘সাইলেন্ট স্প্রিং’ (Silent Spring) শিল্পবিপ্লবের ভয়াবহতা নিয়ে রচিত প্রথম উল্লখযোগ্য বই। ১৯৭১ সালে ক্লাব অফ রোমের রিপোর্ট (The Club of Rome’s Report) ‘লিমিটস টু গ্রোথ’ (Limits to Growth) এ উন্নয়ণ ও বৃদ্ধির মতাদর্শকে প্রথম যুক্তিপূর্ণ ও সুসংবদ্ধ সমালোচনা করে বলা হয় যে মানব সমাজ এবং প্রকৃতির জন্য উন্নয়ণ ও বৃদ্ধির এই মডেল অস্থিতিশীল(unsustainable) ও ক্ষতিকারক।

একবিংশ শতকে বিশ্ব উষ্ণায়ন, কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণ ইত্যাদি পরিবেশ সম্পর্কিত পরিসংখ্যান জনগণের কাছে সহজলভ্য হয়। পাশাপাশি, এর মূল কারণ যে জীবাশ্ম জ্বালানি (কয়লা ও পেট্রোল), সেটাও সকলে বুঝতে পারে। ফলে বিশ্বের বিভিন্ন সরকার আলোচনা করে কিয়োটো প্রোটোকল (The Kyoto Protocol), কোপেনেহেগেন ডিক্লারেশন (The Copenhagen Declaration), প্যারিস এগ্রিমেন্ট (Paris agreement) ইত্যাদি কার্যকর করার মাধ্যমে ক্ষতির পরিমাণ কমানোর চেষ্টা করতে প্রতিশ্রুত হয়। পাশাপাশি জাতিসঙ্ঘ পরিবেশের অবস্থার নিয়মিত প্রতিবেদন পেতে একদল প্রতিষ্ঠিত বিজ্ঞানী নিয়ে ইন্টারগভর্মেন্ট প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (Inter Government Panel on Climate Change, IPCC ) গঠন করে। প্রথম দিকে বিজ্ঞানীরা হালকাভাবে সাবধান করলেও পরবর্তীকালে বিভিন্ন দেশে যখন পরিবেশের প্রতিকূল প্রভাব পড়তে শুরু করে তখন ২০১৮ সালে বিজ্ঞানীরা গুরুতর সতর্কবার্তা জারি করেন। এর ফলে দিকে দিকে পরিবেশ রক্ষায় আন্দোলন শুরু হয় ও বিভিন্ন দেশের পরিবেশ সংগঠনগুলি একে বিশ্বব্যাপী জরুরী অবস্থা হিসেবে ঘোষণা করতে শুরু করে। এই আন্দোলনের সূচনা অদ্ভুতভাবে শিল্প বিপ্লবের আঁতুড়ঘর ইংল্যান্ডেই হয়, তবে কোস্টা রিকা, ইকুয়েডর, কিউবা ইত্যাদি দেশগুলি এই সংকট থেকে রক্ষা পেতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে (https://www.ecologise.in/)।

বিশ্বব্যাপী জরুরী অবস্থার বেশ কতকগুলি প্রভাব আছে – বিশ্ব উষ্ণায়ন, সম্পদ হ্রাস, বাস্তুতন্ত্রের অবনতি এবং সামাজিক বৈষম্য বৃদ্ধি ও অস্থিরতা। আমরা এই বিষয়গুলি নিয়ে একে একে আলোচনা করব।

বিশ্ব উষ্ণায়ন (Global Warming)

IPCC প্রতিবেদনের জন্য সাম্প্রতিককালে সংবাদমাধ্যমে বিশ্ব উষ্ণায়ন বিষয়টি সর্বাধিক গুরুত্ব পেয়েছে এবং ইদানিং প্রায় সকলের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। IPCC প্রতিবেদন অনুযায়ী ‘বিশ্ব উষ্ণায়নকে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে আটকে রাখতে হলে কার্বন নিঃসরণের হার ২০২০ সালের পর আর বাড়তে দেওয়া চলবে না’। মানে এখন থেকে সেটা ৬০০ দিনেরও কম সময়। ‘কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ ২০৩০ সালের মধ্যে অর্ধেক ও ২০৪০ সালের মধ্যে শূন্য করতে হবে। নীতি নির্ধারক, ব্যবসায়ী ও নাগরিক সমাজ ইত্যাদিকে অবিলম্বে জরুরি ব্যবস্থা নিতে হবে যাতে সমাজের সর্বস্তরে অভূতপূর্ব রূপান্তর ঘটানো সম্ভব হয় কারণ ‘কাজ করার এটাই সময়!’ 

জাতিসঙ্ঘের মতে আবহাওয়া পরিবর্তনের জন্য দায়ী গ্রীণ হাউস গ্যাসগুলির পরিমাণ রেকর্ড সীমায় পৌঁছে গেছে ফলে কাজ করার সময় ক্রমেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। ‘CO2 ও অন্যান্য গ্রীণ হাউস গ্যাসগুলি নিঃসরণের পরিমাণ খুব দ্রুত কমাতে না পারলে পরিবেশের উপর প্রভাব ক্রমশই ধ্বংসাত্মক হয়ে উঠবে যার পুনরুদ্ধার সম্ভব নয়’। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৭ সালে বাতাসে CO2 এর পরিমাণ ৪০৫.৫ PPM (Parts per million) যা ২০১৬ সালের ৪০৩.৩ PPM ও ২০১৫ সালের ৪০০.১ PPM এর থেকে বেশি। বাতাসে ৩৫০ PPM বা তার কম পরিমাণ CO2 এর উপস্থিতিকে নিরাপদ মাত্রা বলে মনে করা হয় (পরিবেশ বিজ্ঞানী জেমস হ্যান্সেন)।

“কাজ করার সুযোগ প্রায় শেষ” – এবং এরপরেও গত দু বছর ধরে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ বাড়ছে।  (২০১৮ সালে এর মাত্রা ৪০৭.০৫ PPM ও ২০১৯ সালে ৪০৯.৯২ PPM হয়েছে। )

সম্পদ হ্রাস (Resource Depletion)

মানুষ বেঁচে থাকার জন্য প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহার করে। অন্যান্য প্রাণীরা মূলত উদ্ভিদের উপর নির্ভরশীল যাদেরকে পুনর্ব্যবহারযোগ্য সম্পদও বলা যায়। অন্যদিকে বিভিন্ন খনিজ যেমন সোনা, রুপো, তামা, লোহা, কয়লা, পেট্রোলিয়াম ইত্যাদি পুনর্ব্যবহারযোগ্য নয় কারণ এই সম্পদগুলির পরিমাণ সীমিত এবং আমরা যত বেশি এগুলি ব্যবহার করব অবশিষ্ট সম্পদের পরিমাণ তত কমে আসবে। শিল্পভিত্তিক সভ্যতাগুলিতে শক্তির প্রধান উৎস কয়লা ও পেট্রোলিয়াম তাই এই সম্পদগুলির কমে যাওয়া মানে শিল্প-সভ্যতার পতন সুনিশ্চিত। 

এখন, এই সীমিত সম্পদগুলি নিস্কাশনের একটি সূত্র আছে। ডক্টর এম কিং হাবার্ট (Dr. M. King Hubbert) সূত্রটি প্রথম খনিজ তেলের ক্ষেত্রে আবিষ্কার করেছিলেন – সূত্রটি ‘পীক অয়েল’ (Peak Oil) নামে পরিচিত। এই সূত্র অনুযায়ী কোন খনিজ সম্পদের অর্ধেক পরিমাণ নিষ্কাশন করা হয়ে গেলে সেই সম্পদ উত্তোলনের হার ক্রমশ কমতে থাকে। অন্যভাবে বললে, যে মুহূর্তে কোন খনির মোট জমা থাকা খনিজের অর্ধেক তোলা হয় তখন খনিজ সম্পদ উৎপাদনের হার সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছায়। এই নীতিটি একটি খনি থেকে শুরু করে অঞ্চল, দেশ এমনকি সারা বিশ্বের ক্ষেত্রে খাটে। পরবর্তীকালে দেখা গেছে হাবার্টের এই নিয়মটি তেল ছাড়াও অন্যান্য সমস্ত খনিজ পদার্থের ক্ষেত্রেও খাটে। বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খনিজের ক্ষেত্রে ‘পীক ইয়ার’ (Peak year) নির্ণয় করেছেন (https://www.ecologise.in/2016/)। বললে হয়ত বিশ্বাস করবেন না, বেশিরভাগ গুরুত্বপূর্ণ খনিজের পীক ইয়ার ২০৩০ খ্রিষ্টাব্দের আগেই আর তাদের মধ্যে সবার আগে খনিজ তেল। পরিসংখ্যানগুলো প্রায় ঠিক এবং সামান্য পার্থক্য হলেও এটুকু নিশ্চিতভাবে বলা যায় শিল্পসভ্যতার পতন অবশ্যম্ভাবী সেটা আগামী এক দশকের মধ্যেই হবে বা তার একটু পরে। শিল্পসভ্যতার পতন এক ‘অভূতপূর্ব’ ঘটনা হতে চলেছে কারণ এর ফলে সম্পত্তির ক্রমবৃদ্ধির যে ধারা মানুষ কয়েক হাজার বছর ধরে দেখে এসেছে সেই ধারা শেষ হবে।

এই স্বল্পমেয়াদে, পুনর্ব্যবহারযোগ্য সম্পদগুলিও কোনো কাজের হবে না কারণ মানুষ এই সম্পদগুলি প্রাকৃতিকভাবে পুনরোৎপাদনের থেকে অনেক দ্রুত হারে ব্যবহার করছে – যেমন, আমরা যে পরিমাণ উদ্ভিদ কাটছি সেই পরিমাণে উদ্ভিদের বৃদ্ধি হয় না, যে হারে জল মাটির নিচে জমা হয় তার থেকে দ্রুত হারে জল তুলে নিচ্ছি ইত্যাদি। গোটা পৃথিবী জুড়েই মাটির নিচের জলতল কমছে। আগেকার ‘পুনর্ব্যবহারযোগ্য’ অবস্থায় পৌঁছাতে কয়েক দশক লাগবে। আসলে আমরা এই সমস্ত সম্পদগুলিকেও পুনর্ব্যবহারযোগ্য নয় এরকম খনিজের মতই তুলে নিয়েছি।

বাস্তুতন্ত্রের অবক্ষয় (Ecological Degradation)

উদ্ভিদ, প্রাণী ও মানুষের সম্পর্ক,  পরিবেশ ও তাদের ভারসাম্যই হল বাস্তুতন্ত্র।  গত দুশো বছরে বা আরও নির্দিষ্ট করে বললে গত পঞ্চাশ বছরে মানুষ পরিবেশকে ধ্বংস করে ফেলেছে এবং বায়ু, জল ও মাটিকে বিষাক্ত করে তুলেছে। তারই একটি জলজ্যান্ত ফল  বিশ্ব উষ্ণায়ণ।  পাশাপাশি জলের অভাবও একটি ভয়াবহ সমস্যা। বহু প্রজাতির অবস্থা সংকটাপন্ন এবং অনেক প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। সমুদ্রের জলের স্তর বৃদ্ধি, বনভূমির অবলুপ্তি, হিমবাহ গলে যাওয়া, জলাভূমি শুকিয়ে যাওয়া, স্থলভূমির মরুভূমিতে পরিণত হওয়া ইত্যাদি ঘটনা একই সাথে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ঘটছে। এই মুহূর্তেই যদি না আমরা সংশোধনী ব্যবস্থা না নিতে পারি তাহলে জীবজগতের অবলুপ্তি অবশ্যম্ভাবী।

ক্রমবর্ধমান বৈষম্য এবং সামাজিক অস্থিরতা (Growing Inequality and Social Unrest)

শিল্প সভ্যতার পতন ও শক্তি সম্পদ হ্রাসের সঙ্গে সঙ্গে আমরা এক চরম বিশৃঙ্খলার যুগে প্রবেশ করব।  বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চল এবং আমাদের দেশও এই সমস্যাগুলির সম্মুখীন হবে। অসময়ে বৃষ্টি বা বৃষ্টির অভাব বিপর্যয় সৃষ্টি করছে। পানীয় জলের অভাবে অনেক জায়গার গ্রামবাসীরা তাদের বাড়ি এমনকি দেশ ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হচ্ছে। এই সংকটের সময়ে ক্ষমতাশালী লোকেরা আরও বেশি সম্পদ কুক্ষিগত করে সমস্যাগুলিকে আরও কঠিন  করে তুলছে। কোটিপতির সংখ্যা এই দশকে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।  সরকার সাধারণত ধনীদের পক্ষে ফলত গরীবদের কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই।  বিশ্বের অনেক জায়গায় বিশৃঙ্খলার  সৃষ্টি হচ্ছে। অনাহার, আত্মহত্যা এবং অপরাধ বাড়ছে। কোন কোন জায়গায় গণবিক্ষোভ হচ্ছে। ফলত বর্তমানে গোটা বিশ্ব জুড়েই অশান্তি বিরাজমান।  

সমাজব্যবস্থা ভেঙে পড়লে আমাদের সামনে দুটি পথ খোলা — একটি বিশৃঙ্খলা এবং অন্যটি পরিকল্পিতভাবে অন্যরকম ভবিষ্যৎ গঠন।  প্রথম পথে অর্থাৎ বিশৃঙ্খলা অবস্থার সৃষ্টি হলে বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হবে যার থেকে পুনরুদ্ধার পেতে কয়েক দশক সময় লাগতে পারে। ভারতবর্ষে  এরকমই একটা বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল ১৭০৭ থেকে ১৭৫৭ খ্রীষ্টাব্দ মধ্যবর্তী সময়ে যখন ঔরঙ্গজেব এর মৃত্যু হয় ও মুঘল সম্রাজ্যের পতন হয়।    ৫০ বছর পর ব্রিটিশরা পলাশীর যুদ্ধে জয়লাভ করার পর থেকে আবার সেই অবস্থার থেকে পুনরুদ্ধার শুরু হয়।  একই ঘটনা বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় হয়েছে (তার সাম্প্রতিকতম উদাহরণ ভেনেজুয়েলা )। অপর কঠিনপথটি হল এমন ভাবে পরিকল্পনা করা যাতে করে এই রূপান্তরটি সহজে হতে পারে। পথটি খুব কঠিন সন্দেহ নেই কিন্তু বিশ্বের বিভিন্ন দেশের  মানুষ চেষ্টা করছেন সেই পথে হাঁটার। পরবর্তী অধ্যায়ে আমরা ভারতে কি কি করতে পারি সেই নিয়ে আলোচনা করব।

(পরবর্তী পর্ব পড়ুন এখানে)


লেখক পরিচিতি: সম্বিত শুক্লা
সববাংলায় এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সম্বিত শুক্লা গল্প, কবিতা ইত্যাদি লেখেন ‘ইচ্ছেমৃত্যু’ ছদ্মনামে। প্রবন্ধ, নিবন্ধ ইত্যাদি লেখা সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে যেখানে গল্প, কবিতার রূপকের বাইরে বেরিয়ে যুক্তি ও তথ্যের দায় বেশি। জীবিকার পাশাপাশি সববাংলায় এর কাজেই দিনের বেশিটা সময় অতিবাহিত হয় বাকিটা কাটে বইপত্র ও লেখালিখি নিয়ে।

শেয়ার করে বন্ধুদেরও পড়ার সুযোগ করে দিন

4 Comments

  1. স্বপন নাগ

    অত্যন্ত ভয়াবহ সাম্প্রতিক এই সমস্যা নিয়ে আলোচনাটির গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কোনো প্রশ্নই নেই। প্রশ্ন, মানুষ সাড়া দিচ্ছে কতটা, সেই হতাশাজনক পরিস্থিতির দিকে নির্বাক তাকিয়ে থাকব কি ! অনেক সময় চলে গেছে। এখন দরকার সমস্যার ভয়াবহতায় সঙ্গের প্রতিটি মানুষকে বুঝিয়ে প্রতিরোধী একটি আবহ নির্মাণে ঝাঁপিয়ে পড়ার।
    প্রতিবেদনটির জন্য লেখক এবং পত্রিকার সংশ্লিষ্ট সকলকে আমার অভিনন্দন জানাই।

    • মানুষকে ধীরে ধীরে বোঝানোর উদ্দেশ্যেই এই লেখা। এর পরবর্তী পর্বগুলিতে পাবেন আমাদের কী কর্মসূচী হতে পারে। স্থানীয়ভাবে কাজ খুব প্রয়োজন। বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় শুরুও হয়ে গেছে। আমাদের দেশেও কেরালার কিছু স্থানীয় মানুষ এই বিষয়ে কাজ শুরু করেছেন। আমরাই বা পিছিয়ে থাকব কেন?

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to Top
error: লেখা নয়, লিঙ্কটি কপি করে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।