ভুজুংভাজুং

লেখক : প্রভঞ্জন ঘোষ

আজও চলে বুজরুকি
গোষ্টীপ্রথার গোঁয়ার্তুমি
এখনও হায় গেল কি?

আর কতদিন সময় দেবেন
উদারমূর্তি ভগবান
আজও সমান চৌর্যবৃত্তে
দস্যু-ডাকাত মূর্তিমান- – –

একলা খাবার দিনগুলো
(ফলমুল-দুধ-মাখন-ঘৃত)
আজও কি হায় শেষ হল!

আর কতকাল রশ্মি টেনে
এইভাবেতে …

আষাঢ়ের সন্তান

লেখক : ভট্টাচার্য অম্লান কুসুম

ভেজা আষাঢ়ের মধ্য বিকেল,
সারা পৃথিবী যেন অশ্রু সিক্ত
আষাঢ়,

এক বেদনাবিদ্ধ অস্ফুট ডাক
আমার চারিদিক,

এখন আবছা কালোয় বিষন্ন
আকাশ বাতাস,
কোথা থেকে একটা ডাক
ভেসে আসে থেকে থেকে-
যেন দূরের কোনো শব্দ-
ক্লিষ্ট,দীর্ন …

ধর্মচক্রব্যুহ

লেখক : রাজীব চক্রবর্ত্তী

অজানাকে জয় করে
লিখেছ বিজয়গাথা,
সভ্যতা
তুমি অজাতশত্রু নও।

পদচিহ্ন মাঝে
নিটোল স্বার্থের জাল,
মদির আঁখিতে ধরা দেয়
ধর্মজীবির দল।

নোনা আস্বাদে শ্বাপদের হাসি
রক্ত নদীতে ডাকে বান।
হিংসার গরল স্রোত
রাজপথ, গলিপথ জুড়ে,
দেবালয়, শান্তির …

কল্পনা

লেখক : লাম্মি খাতুন

কল্পনাতে তুমি বটবৃক্ষ।
ফাঁকা মেঠোপথের ধারে
যেখানে গ্রীষ্মের তপ্ত দুপুরে
মেঠো কৃষক, রাখাল, ক্লান্ত রমনী, হাঁটুরের দল
শান্তি খুঁজে পাই।
আমি এর ব্যতিক্রম নয়,
তোমার ছায়াতলে, হাতের নাড়ালে, শুভ্র চরণে
কী শান্তি তা কি বোঝান যায়?…

তিন্নীর ভালোবাসায়

লেখক : আলী ইব্রাহিম

তিন্নী আমার বন্ধু।
তিন্নী সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কবিতা ভালোবাসতো।
‘কেউ কথা রাখেনি, আমি কীরকমভাবে বেঁচে আছি’
আবৃত্তি করে বলতো, আহা! সুনীল কী লিখেছে মাইরি!
তিন্নী আসাদ চৌধুরীর ‘বারবারা বিডলারকে’ পড়ার পর খুব কেঁদেছিল।
আর বলেছিল, এরকম কবিতাও …

চাষাভুষা ও নান্দনিক

লেখক : প্রভঞ্জন ঘোষ

চাষাভুষা

আমরা বাবু চাষাভুষা
মাঠ আমাদের মিতা
কুড়িয়ে বাড়িয়ে যা টুকু পাই
তাই গিলি, শাকপাতা- – –

বিদ্যালয়ের ধার ধারি না
মাড়াই না তার ছায়া
আল আমাদের ঝুল-বারান্দা
জমিন খানি দাওয়া।

খেতখামারের জল ঘুলিয়ে
মাছ টুকু …

বিদায় বেলা

লেখক : দেবজিৎ দত্ত

১০ই ফেব্রুয়ারি বেলা ৪টায় থেমে গেলো বর্ণময় পথচলা,
স্মৃতি হয়ে রইলো লাঠি হাতে শালীনতার লুবধ দৃষ্টির সেই বেলা।
হারিয়ে গেলাম অচিন অনস্তে মেঘ আর কুয়াশার,
সাক্ষাৎ-এর সুযোগটাও পেলাম না একবার।
 
যতদূর চোখ যাচ্ছে চোখের সামনে ভেসে

হামরাও রাজা বঠি (আঞ্চলিক কবিতা)

লেখক : সৌরভ মাহাতো

তখন থেকে বলছি, তুই নাই শুনা পাছিস ন-কি রে! ফোনটা ইবার রাখবি নাকি কাচড়াই ভাঙে দিবো। দশ-দশ বারো হাজার টাকার ফোন লিবেক আর কাজের বেলাই ফাঁকি। বলেছিলি ন বরটাঁড়ে জাঞে এক হাল কাড়া ছেইলা কিনে দিব

চলে যাব

লেখক : লাম্মি খাতুন

আমি চলে যাব কোন এক বিদঘুটে অন্ধকার রাতে।
নিঃশব্দে, নির্বচনে, নিরালায়, চোখে শ্রাবণ ধারা
শ্রাবণের রাত তাই ধুয়ে মুছে যাবে সব।
কোন অভিযোগ আমার নেই, স্বপ্ন তো তুমি দেখাও নি;
আমি ভুল নাকি ঠিক? আমার অজানা…

জলফোঁটা

লেখক : আলী ইব্রাহিম

আদিমতায় তুমি প্রভাবমুক্ত
তোমার ইচ্ছেয় সব হয়
লক্ষণ দেখে তুমি সব বুঝতে পারো।
তোমার ধ্যানে ডুবসাঁতার কাটে ঈশ্বরপুত্র
অথচ তুমি ঈশ্বররূপে ইতিহাস গড়ো।
প্রেমিকরা বেঁচে থাকে তোমার আরাধ্যে
জলভাটা তোমাকে স্পর্শ করে না
কেননা তুমি জলধি।…

দুর্গাপুজোয় প্রেম

লেখক : ইচ্ছেমৃত্যু

দুর্গাপুজোয় কোনোদিনই টান ছিল নাকো
বলা ভুল, শৈশবে মন্ডপে ছোটাছুটি কতো
সে সব প্রাচীনকাল, কৈশোরে সবকিছু ছাড়ি
মন্ডপে কদাচি‌ৎ, তবু অকস্মাৎ যদি কোনো শাড়ি –
চোখে চোখ, মনে মনে অকিঞ্চিৎ কল্পনা
আসছে বছর আবার হোক্, আপাতত একক …

মৃত্যুশেষে

লেখক : সমীর মন্ডল

সায়াহ্ন শেষে ধূলিচ্ছন্ন নগরের পথে,
বিষম লোকের মাঝে অন্তিমের প্রস্তুতি
ক্ষনে ক্ষনে ভেসে উঠে স্বজনহারার আকুতি,
সমাপ্ত, চারকুড়ি-এর খেলা।

ওঠাপড়ার জীবন জুড়ে প্রাপ্তি যত কিছু,
শেষের বেলায় সঙ্গ দিতে কেউ নেয়নি পিছু
দাম্ভিকতা আর হিংস্রতায় কতই …

রক্তিম বসন্ত

লেখক : ইউসুফ জামিল

তুমি এসো এই বসন্তে..
দেখে যাও সমুদ্রের লোহিত বর্ণ,
যেখানে বহমান স্রোত ধারায়-
ক্রমাগত আগত এক বসন্ত।
তুমি এসো এই বসন্তে,
স্থূলতা শুধু বর্ণের বিবর্ণতায়
শব্দের মিছিল, জমকালো বিজলি
ভারি বাতাস আর বিশাল সমুদ্র-
আঁকে এক …

Back to Top
error: লেখা নয়, লিঙ্কটি কপি করে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।

লেখা আহ্বান - বিস্তারিত জানতে ছবিতে ক্লিক করুন

দীপায়ন