সভ্যতার আর্তনাদ

কবি: সৌরভ চক্রবর্তী

ওহে মানুষ,
তুমি বড়ই তুচ্ছ
প্রকৃতির রোষে
তুমি বড়ই তুচ্ছ।

মাত্র কয়েক ঘন্টা,
মানুষের সাধের সভ্যতা
মাটিতে মিশে গেছে।
শেষ হয়েছে অহংকার।

আজ শুধুই হাহাকার,
মানুষ শুধু কাঁদছে
মানুষ আজ অসহায়।
যেদিকে তাকাও দেখো
ঘূর্ণিঝড়ের প্রলয় নাচন।…

পথ

কবি: তনুশ্রী বাগ

কেউ, এমনও ভাবনায় বহুদূর যাই
হাত ধরি, অপরাধ গ্রহণ করি, হাঁটি

লালধুলা, কাঁকরের পথে কে যেন
রেখে গেছে হাওয়ার দশদিক,
লুকিয়ে ফেলা চিঠির
কবেকার ক্লান্ত মুখ, ধীর, উড়ে যায়
চাঁদের বিশ্রামে

তবু হাঁটি। পথ পড়ে থাকে, গৃহী …

আদর্শ

কবি: ইচ্ছেমৃত্যু

আমি তোমার মতো হতে চেয়েছিলাম
চেয়েছিলাম তোমার আদর্শে বড় হতে
অথচ তখন আদর্শ বোধ আসেনি
তখন আদর্শ কুয়াশার ওপারের শব্দ
শোনা যায়… ঠিক বোঝা যায় না।
তবু আমি আদর্শ গড়েছিলাম  –
অথচ তুমি চাওনি তোমার মত হই
ওরা …

অভিজ্ঞান

কবি: উত্তম চৌধুরী

কোনও পথ চূড়ান্ত নয়।

আলোর উলটো দিকে চোখ
টেনে আনে অযাচিত ভয়।

আঁধিমুখ দেখেছ কখনো?
সুনামির ভয়াবহ শ্বাস?
আমফানের তীব্র বাতাস?

ভারবাহী উটের মতোই
অনেকের পথ ক্লান্তিকর।
অভিজ্ঞানে জেনেছে মানুষ 
কখন ভেঙেছে কার ঘর।


ছবি: প্রণবশ্রী হাজরা…

তিনি

কবি: সন্দীপন ভট্টাচার্য্য

আমি মন পুড়িয়েছি অপেক্ষার অনুভবে
পরিচ্ছদের মতো পাল্টে ফেলেছি নিজেকে।
অনুভূতি আলোচনায় কথা বলে
আগুন ছাড়াও আলো জ্বলে। 
তোমার প্রিয় আধুনিক ছেলেখেলা
আমি তার এক অংশ অবহেলা।
সত্যে অপরূপ রসে সূর্য অস্তগামী
কোন ঘরানার নিবদ্ধ ছিলে তুমি! …

গুচ্ছকবিতা

কবি: প্রীতম বসাক

(১)

দুঃখকে আমরা সর্বসম্মতিক্রমে বেড়ে নিলাম থালায়
একটা নদীতর জীবন বসালাম পিঠে

চলো পৃথিবীর দীর্ঘ অপমান নিয়ে কথা বলি
ফেলে আসা আশ্চর্য আর নীরবতা দিয়ে পিঁড়ি বানাই

গল্পের মাঝে মাঝে বাক্যের গঠন বিষয়ে আলোচনা হবে
জীবনের মলিকুল …

পাগলটা হাসছে

কবি: রাজীব চক্রবর্ত্তী

রাজার অসুখের সেই পাগলটাকে মনে আছে?
সেই পাগলটা! যার কাছে খাওয়াটা ছিল একটা ঝঞ্ঝাটের ব্যাপার।
 খাওয়া নিয়ে তার কোনও মাথা ব্যাথা ছিল না। খাবার পেলে খেত না পেলে নয়।
 
খাবার পাওয়া গেলে তবেই তার খিদে পেত! …

গন্তব্য

কবি: তনুশ্রী বাগ

তোমাকে খোঁজার দরকার ছিল খুব,
তড়িঘড়ি মিশে যাই পথচলতি ভিড়ে

আমার বেশ লাগে মানুষের সান্নিধ্য, ভিড়…
পা ঘষে ঘষে, এ ওর দিকে তাকিয়েও কিছুতেই
এগোনো যায় না যতক্ষন না 
পেছনের মানুষের ধাক্কা খাওয়া যায়, সজোরে

সেই ধাক্কা- …

দ্রোহকাল শেষে

কবি: রাজীব চক্রবর্ত্তী

এই দ্রোহকাল শেষ হয়ে গেলে
ঝরবে রক্ত জানি পলাশ শিমুলে,
ভালবাসা হয়ে।

গোলাপের পাঁপড়িরা দেবশিশু হবে,
রক্তিম কলরবে সুরভি ছড়াবে
রাজপথ ছুঁয়ে।

ঘুমোবে না ঈশ্বর বন্ধ মনের ঘরে,
হাসিমুখে যাবে হেঁটে মেঠোপথ ধরে
বুকে নিয়ে ফসলের ঘ্রাণ।…

সুখ

কবি: পর্ণা সেনগুপ্ত

সুখ ….
আমি তো জানিনা
সুখ
কোন বৃক্ষের ফল;
একটি একটি করে দিন যায়
একটি একটি করে
সোনালী পালক, হাওয়ায়
খসিয়ে দিই আমি,
স্বপ্নের অলিন্দ থেকে
একটি একটি করে
নিভে যায় দীপ,
রাত্রির অবয়বে
নিষ্প্রদীপ সৌধের দিকে …

কলকাতা তুমি ভাল নেই

কবি: ইচ্ছেমৃত্যু

কলকাতা তুমি ভাল নেই।
তোমার কুঁচকে থাকা মুখ, বিগড়ে থাকা মেজাজ
জানান দিচ্ছে  – তুমি ভাল নেই।

বছর পাঁচেক আগেও যে কিশোর
চায়ের গেলাস ধুতে ধুতে শিস দিয়ে গান করত
তার মুখে এখন শুধুই দু’ চার অক্ষর
আর …

এমনও স্বজন

কবি: স্বাগতা আচার্য্য

একটা ঘর খুঁজছি অনেকদিন।
বসতভিটে।
কেউ ফেলে গেছে হয়তো আম জামরুলের ছায়ায়-
অনাবাসে অনাদরে পড়ে আছে স্মৃতি ফলকের মতো।
হলুদ রঙা ফুলে অমলতাস ঘর বেঁধেছে অনেকদিন আগেই উঠোনের ঢেঁকিপাড় কোণে।

শুকনো পাতা মুচড়ে বহুকাল কেউ ও পথে …

দু’খানা মানুষ

কবি: ইচ্ছেমৃত্যু

তুমি চাইলে সারাটা রাত জেগে রইব
অন্ধকারে জেগে রইব, আলোয় আলোয় জেগে রইব
তুমি চাইলেই…
তোমাকে ভীষণ জাপটে ধরে জেগে রইব
তুমি চাইলে ঘুমোতে পারো, কোলের কাছে গুটিসুটি
আমাকে তোমার বালিশ করে, বালিশ ধরে ঘুমোতে পারো…
আমি তোমার …

Back to Top
error: লেখা নয়, লিঙ্কটি কপি করে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।

লেখা আহ্বান - বিস্তারিত জানতে ছবিতে ক্লিক করুন

দীপায়ন