অম্লানজী অমর রহে
লেখক : অম্লান ভট্টাচার্য
আমার চোখের পিছনে সে দাঁড়িয়ে ছিল,
বুঝতে পারলাম না কেন সেই দিন আমায়
উল্টো করে দাঁড় করিয়ে পিছনে লাথি মারা হ’ল,
আমি কিছুমাত্র জিজ্ঞেস করতে পারিনি
কারণ আমি ছিলাম একটা মৃতদেহ
তাছাড়া আর কিছুই নয়,
যে …
আমার চোখের পিছনে সে দাঁড়িয়ে ছিল,
বুঝতে পারলাম না কেন সেই দিন আমায়
উল্টো করে দাঁড় করিয়ে পিছনে লাথি মারা হ’ল,
আমি কিছুমাত্র জিজ্ঞেস করতে পারিনি
কারণ আমি ছিলাম একটা মৃতদেহ
তাছাড়া আর কিছুই নয়,
যে …
সকাল থেকে আকাশ জুড়ে রয়েছে মেঘ
তবুও ঝরছেনা বৃষ্টি মাটির ওপরে।
সকলে রয়েছি তারই অপেক্ষায়
তাই হয়ত খেলছে লুকোচুরি আমাদের সাথেই
চাষীরা মুখ চেয়ে তাকিয়ে আছে আকাশের দিকেই-
তাও কেন দেখা দিচ্ছে না বৃষ্টি তাদেরকে ?
ভাবলে …
নিঙাড়িয়া নীল শাড়ি আর আসে না কেউ
ভাসিয়ে নিয়েছে তারে সময়ের ঢেউ
বকের পাখায় আলো আজও কি লুকায়
কোনও আঁখি তার তরে তৃষিত কি হয়
হেলে পড়া বট সে কি কোনও নদী কূলে
কারও পথ চেয়ে …
পথিকের তাড়া থাকে,
সাগরের তাড়া থাকে,
শুধু তাড়া নেই আমার।
মুঠো ভরা সময় নিয়ে বসে আছি
তুমি আসবে বলে-
আমার অবরুদ্ধ প্রতীক্ষার প্রহরগুলো, বুড়িয়ে যায় না হতাশায়,
খুঁড়িয়ে চলে না, না পাওয়ায়।
তোমার জন্য প্রতীক্ষা …
চোখে রেখে চোখ, মনে যাকে ধরে,
সে তো শুধু ভাল লাগা,
কলি থেকে ফোটা ফুলের কাছে
অলির গান গাওয়া!
পাতার ওপর ঝুঁকে প’ড়ে ফুল
অথবা সূর্যের আদর-
আকাশের বুকে রবির আলো-
জড়িয়ে সুখের চাদর,
প্রেম নয়, …
১.
রোদ থেকে নিজেকে ফেলে দিই ছায়া
বাতিল প্রহরার নীচে আশাহত।
কাঠের পাখির মতো জাড্য বেহায়া
যেন সেই স্থির চেয়ে থাকি অবিরত।
স্খলিত কাঠামোয় উঠে আসে জল
নদীর বালিতে লেখা সেই নাম।
তোমায় দেবীজ্ঞানে চেয়েছি …
অস্পষ্ট শাঁখের শব্দ
ঠিকানা বিভ্রান্তির
আর বিলুপ্ত শীতের সকালের বিশুদ্ধ গাঁদাফুলের গন্ধ
রথের আবিষ্কার তবু অস্পষ্ট একটা পাদানি…
অবশেষে টগরফুলের পরিচয়ে
ক্লান্ত শঙ্খের নিজস্ব কবিতা
সমস্ত সোনালি ডানার শব্দ তোর জন্য, রঞ্জন।
লেখক পরিচিতি : পার্থ …
আজও সুমনা’র জন্য অপেক্ষা করে তমাল।
দীর্ঘশ্বাস আর হতাশা ওকে ঘুমোতে দেয় না। আকাশের সমস্ত ঘন কালো মেঘ জড়ো হয়েছে যেন কোনও এক গভীর চক্রান্তের অভিপ্রায়ে, তমালের ব্যথাতুর হৃদয়ের এক কোণে।
একাকিত্বের কুহেলিকাময় নিঃসঙ্গ দ্বীপের মতোই …
তোমাকে দেখা কিংবা কথা বলার জন্য
প্রতিনিয়ত ছুতো খুঁজে বেড়াই।
হাজারো টালবাহানা আর অজুহাত
জড়ো করে বেড়াই প্রতিনিয়ত।
আমার ভাবনা আর চিন্তার বিশাল জগতে
যখন তুমি এসে বিরাজ কর।
তখন একাকিত্বের নির্মম যন্ত্রণাগুলো ক্রমশ
ফিকে …
এমনিতে তো আমরা জীবনসঙ্গী আসলেই কি তাই?
সবার চোখে আমরা সেরা জুটি
রেহাই পেতাম যদি একে অন্যকে দিতে পারতাম ছুটি
সবাই আমাদের পারফেক্ট কাপল বলে
তারা কি জানে আমাদের মাঝে কী চলে
জানি না সেই কবে …
এ হ’ল আমার কর্ম, যে আমাকে ভোগায়,
আর আমার ভেতরের পশুটাকে একটু একটু করে জাগায়।
প্রত্যেক অশ্রুবিন্দু পরিণত হয় বিষবাষ্পে যেন সে উত্তেজিত করে কোন কালসাপের বিষদাঁতকে।
কখনও মস্তিষ্কে ওঠে রক্তের উন্মাদনা
যেন কোন নরপিশাচ উঠছে …
চাঁদের বিমূর্ত আলোয় ধৌত স্রোতের অন্তর্গত স্তব্ধতা,
স্রোতের কণ্ঠে বাজে চন্দ্রাবিষ্ট প্রার্থনার ঝিলিক,
অন্ধকারে আলো ফুটপাথের অবিনাশী চুম্বন,
জল হয়ে ওঠে ভাষা অনুভবে দ্রবীভূত আত্মা,
নীরব বর্ণমালা স্রোতের বুকে চঞ্চল।
দিগন্তের নিবিড় স্তব্ধতায় কণ্ঠ নাভিমূল থেকে …