না প্রেমি, না ঈশ্বর
লেখক : আলী ইব্রাহিম
একসঙ্গে দশজন মনু তোমার পেছনে ঘোরে
তুমি যাদুকরের মতো তাদের নজরবন্দী করো।
কী মহাশিল্পী তুমি!
কাউকেই হ্যা-ও বলো না, না-ও বলো না
সবাই সাধক হয়ে তোমাকে অনুসরণ করে।
চঞ্চলতায় সবার যাত্রা একদিন শেষ হয়
যে যার …
একসঙ্গে দশজন মনু তোমার পেছনে ঘোরে
তুমি যাদুকরের মতো তাদের নজরবন্দী করো।
কী মহাশিল্পী তুমি!
কাউকেই হ্যা-ও বলো না, না-ও বলো না
সবাই সাধক হয়ে তোমাকে অনুসরণ করে।
চঞ্চলতায় সবার যাত্রা একদিন শেষ হয়
যে যার …
১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধে জয়লাভের ভিতর দিয়ে ইংরেজরা বাংলার শাসন ক্ষমতা লাভ করে। ইংরেজরা তাদের নতুন শাসনব্যবস্থা ও ভূমিব্যবস্থা প্রবর্তন করে বাংলার গ্রাম্য সমাজের পুরনো কাঠামোকে ভেঙে ফেলল। ব্রিটিশরা বাংলার ক্ষমতা লাভের পর ক্রমাগত করের চাপে, …
ফুচকার দিকে না ঝুঁকে
ঘটিগরম আর চুরমুরের দিকে
বেশি ঝুঁকতো ছেলেটি,
ব্যাটবলের দিকে না ঝুঁকে
ক্যারাম্ আর কাটাকুটির দিকে
ঝুঁকতো বেশি,
লাটাই ধ’রে সারাদিন
ঘুড়ি ওড়াতো, আর
লাকির ল্যাজ মুঠিয়ে
ঘুরপাক খেলতো, অরণি।
টি ভি-র পর্দায় …
ফিরিলাম রিক্ত হস্তে
আসিলাম আশাহীন,
আশারত মন বিফলে
যাইবে ভাবিনি কোনোদিন।
ভাবিতাম আমি
আছে মোর স্বামী,
পড়িল যখন জল
রইল না অভীবল।
মোর পিতা সহ মাতা
রয়েছে উপোস ঘরে,
ক্ষুদার জ্বালায় মরিছে হিয়া
অপমানে ভরিছে চিত্ত,…
অজস্র লোকের ভিড়ের মাঝে সেই লোকটা
যার মায়াবী চোখদুটি কোটরগ্রস্থ বিরাজে,
শত বঞ্চনার মাঝে লাবন্যেময় মুখের হাসি
আর হাতের মোহন বাঁশিটা তার সুর ভাঁজে৷
তার ঘরে আজও জমাট ঘুটঘুটে অন্ধকার
সন্তানের শিক্ষার ঝুলিটাও ভরে চলে বাঁশে,…
লাটিমে এখনো লেপ্টি জড়ায় ছেলে
পড়ার বাইরে অবসর খুঁজে নেয়
এখনো উদাস শৈশব ছুঁতে পেলে
মন কেমনের দিন অবসান হয়।
অলীক বিকেল গোধূলি রাঙানো পথ
ধুলো মাখা আজো হাত পা সারা গা’য়
এমন দিনেও কিশোরীর চোখে চোখ…
১৯৭১ সালের ডিসেম্বর মাস। আমার তখন সাত বছর বয়স। বাংলাদেশ গঠনকে কেন্দ্র করে ভারত আর পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ তখন সবে লেগেছে। সারা ভারত মহাদ্বীপ জুড়ে উত্তেজনা। বয়স্কদের আলোচনায় তখন একমাত্র বিষয় বস্তু ছিল এটি।
তখন যুদ্ধের …
একবার এক জলপাখি এসেছিলো আমার বাগানে
গন্ধব ছড়িয়ে বলেছিলো, এই কবি! এখনও ঘুমোওনি!
কী আঁকো সন্ন্যাসী চোখে
কী লেখো উদাস মনে
এমন শীতের রাতে কেউ একাকী জেগে থাকে!
এসো জলসভ্যতায়। এসো এই উপত্যকায়।
বরফ আগুনে তীব্র …
যে যেভাবে পারছে
সাবড়ে দিচ্ছে
ব্যাঘ্রের গলায় মালা পরাতে গিয়ে
কেউবা হ’চ্ছে শহিদ!
গাড়ির টেঙ্কি ফুটিয়ে
ডিজেল বের ক’রে নিচ্ছে,
দপ্তরের নথি ঘুলিয়ে
হড়কে নিচ্ছে টু-পাইস্।
এত যে সব্জির বাহার দেখছো
সবই ফর্মালিনের সুকৃতি।
যে যেভাবে …
ফুলগাছে জল দাও রোজ?
ভেজা চুল আজো নেয় খোঁজ।
জানলায় রোদ পড়ে থাকে,
ওষ্ঠ কি ছোঁয়‘একলা’কে?
ব্যালকনি চিরে আসা আলো,
দুপুরের গায়ে পৌঁছালো।
স্মৃতি ক্রমে গড়ে তোলে কায়া,
বোঝা যায়? নাকি আবছায়া?
গল্পেরা আলো হয়ে ভাসে,…
মাসিক দীপায়ন প্রতিযোগিতা
