লিপস্টিকের দাগ

লেখক : মধু মঙ্গল সিনহা

      পর্দাটা সরিয়ে ঘরে ঢোকার আগেই চোখে পড়ল- সে দুটো ঠোঁট টানটান করে লিপস্টিক লাগাচ্ছে । ডাক্তার ছাত্রের চতুর্থ মাঙ্গ্লিক অনুষ্ঠান- তারা দুই সই ননদ বৌদি আমন্ত্রিত সেখানে। অনুষ্ঠানে যাওয়ার যে ব্যপার সেপার

বাঁশিওয়ালা

লেখক : বিশ্বেশ্বর মহাপাত্র

অজস্র লোকের ভিড়ের মাঝে সেই লোকটা
যার মায়াবী চোখদুটি কোটরগ্রস্থ বিরাজে,
শত বঞ্চনার মাঝে লাবন্যেময় মুখের হাসি
আর হাতের মোহন বাঁশিটা তার সুর ভাঁজে৷
তার ঘরে আজও জমাট ঘুটঘুটে অন্ধকার
সন্তানের শিক্ষার ঝুলিটাও ভরে চলে বাঁশে,…

লুপ্তপ্রায়

লেখক : ইচ্ছেমৃত্যু

লাটিমে এখনো লেপ্টি জড়ায় ছেলে
পড়ার বাইরে অবসর খুঁজে নেয়
এখনো উদাস শৈশব ছুঁতে পেলে
মন কেমনের দিন অবসান হয়।

অলীক বিকেল গোধূলি রাঙানো পথ
ধুলো মাখা আজো হাত পা সারা গা’য়
এমন দিনেও কিশোরীর চোখে চোখ…

যৌথ পরিবারের ইতিকথা – ১

লেখক : দেবাশিস চৌধুরী

১৯৭১ সালের ডিসেম্বর মাস। আমার তখন সাত বছর বয়স। বাংলাদেশ গঠনকে কেন্দ্র করে ভারত আর পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ তখন সবে লেগেছে। সারা ভারত মহাদ্বীপ জুড়ে উত্তেজনা। বয়স্কদের আলোচনায় তখন একমাত্র বিষয় বস্তু ছিল এটি।

তখন যুদ্ধের

সবুজ সিগনাল

লেখক : ইলা সূত্রধর

          হঠাৎ হাত ধরে টানতেই সম্বিত ফিরে এলো নিরুপমার। তাকিয়ে দেখল সামনে দিয়ে একটা গাড়ি হুস করে চলে গেল। নিরু আজকাল এমনই আনমনা হয়ে থাকে ‌‌। নেহা শাসনের সুরে বলল — “আর

সে এসেছিলো

লেখক : আলী ইব্রাহিম

একবার এক জলপাখি এসেছিলো আমার বাগানে
গন্ধব ছড়িয়ে বলেছিলো, এই কবি! এখনও ঘুমোওনি!
কী আঁকো সন্ন্যাসী চোখে
কী লেখো উদাস মনে
এমন শীতের রাতে কেউ একাকী জেগে থাকে!
এসো জলসভ্যতায়। এসো এই উপত্যকায়।
বরফ আগুনে তীব্র …

কেত্তন

লেখক : প্রভঞ্জন ঘোষ

যে যেভাবে পারছে
সাবড়ে দিচ্ছে
ব্যাঘ্রের গলায় মালা পরাতে গিয়ে
কেউবা হ’চ্ছে শহিদ!
গাড়ির টেঙ্কি ফুটিয়ে
ডিজেল বের ক’রে নিচ্ছে,
দপ্তরের নথি ঘুলিয়ে
হড়কে নিচ্ছে টু-পাইস্।
এত যে সব্জির বাহার দেখছো
সবই ফর্মালিনের সুকৃতি।
যে যেভাবে …

রোদেজলে

লেখক : ইন্দ্রনীল কাঞ্জিলাল

ফুলগাছে জল দাও রোজ?
ভেজা চুল আজো নেয় খোঁজ।
জানলায় রোদ পড়ে থাকে,
ওষ্ঠ কি ছোঁয়‘একলা’কে?

ব্যালকনি চিরে আসা আলো,
দুপুরের গায়ে পৌঁছালো।
স্মৃতি ক্রমে গড়ে তোলে কায়া,
বোঝা যায়? নাকি আবছায়া?

গল্পেরা আলো হয়ে ভাসে,…

গ্রিক পুরাণ ও প্রাচীন গ্রিসের দেবদেবী

লেখক : রানা চক্রবর্তী

জিউস ছিলেন প্রাচীন গ্রিসের দেবদেবীর মধ্যে প্রধান। অলিম্পিয়ার জিউসের মূর্তি টি ছিল পৃথিবীর প্রাচীন সপ্তাশ্চর্যের মধ্যে একটি। গ্রিক স্থপতি ফিডিয়াস খ্রিস্টপূর্ব ৪৩৫ অব্দে মূর্তিটির নক্সা করেছিলেন। যে দ্বীপের উপর মূর্তিটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তার পুরোটা জুড়ে এর

যে ঋণগুলো শোধ না করেই চলে যাবো

লেখক : তনিমা হাজরা

কেন তুমি আমার সঙ্গে থাকো
কেন আমি তোমার সঙ্গে থাকি
কেন তুমি একবার ডাক দিলে
ছাতিমের ডালে বসে মন
শিশিরে ছড়িয়ে দিয়ে যায়
শর্তহীন নিঝুম সম্মতি।।

কেন তুমি আমার সঙ্গে থাকো,
কেন আমি তোমার সঙ্গে থাকি,…

তুই পরিপূর্ণ

লেখক : সৌরভ মাহাতো

তুই পরিপূর্ণ।
খামতি তো আমার মধ্যে।
তা না হলে একটু দেখার জন্য বার বার বনগাঁ যেতাম না পাগলের মতো।
আমি বুঝি না তোর প্রবলেম, তাই খামতি আমার।
খামতি আমার তাই কল না এলে রাগ করে বসে …

গুরু সের তো চেলা সওয়া সের

লেখক : দেবাশিস চৌধুরী

বিহারের মোকামা ঘাট। আকারে বেশ বড়। সামনেই বয়ে চলেছে গঙ্গা নদী। গঙ্গা এখানে বেশ চওড়া। পারাপারের জন্য আগে নৌকাই ছিল একমাত্র মাধ্যম। তখন ইংরেজদের শাসনকাল। সেই সময় সারা ইউরোপে শিল্প বিপ্লব ছড়িয়ে পড়ে। তার ছোঁয়া ভারতবর্ষেও …

Back to Top
error: লেখা নয়, লিঙ্কটি কপি করে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।

মাসিক দীপায়ন প্রতিযোগিতা

মাসিক দীপায়ন পুরস্কার pop up