এক আকাশ দূরে

লেখক : অর্দ্ধেন্দু গায়েন

অন্ধকার রাত্রির পিচ্ছিল পথ পেরিয়ে,
জীবনের তরী ভিড়েছে লাল-হলুদে মাখামাখি
রঙ্গনের; শ্রান্ত শরীরের তলায়।
অসুস্থ, অসহায় মানসিকতা এখনও অপেক্ষা করে,
নবযৌবনা কমলিকার মুখ চেয়ে।
অমরত্বের জলে ডুব দেওয়ার শপথ নিয়েও
তুই আজও অন্তর্হিত। অস্তিত্বহীনতার গন্ধে–
ভরে গেছে নিরন্ন, চার্ট্রুজ মেঠো পথ।

তুই বলেছিলি, নীল-সাদা প্রজাপতির মত
সূর্যমুখীর পরাগ মেখে; ঝিমঝিম রৌদ্রের ঢেউ ভেঙে–
অপরিচিত পথে মনের সুখে উড়বো দু’জনে।
মেঘ ছুঁয়েছে পাহাড়চূড়া আর বরফ গলা নদী।
ঝিরঝির বয়ে চলেছে ঝর্ণার ধবল জলরাশি।
আলতো পায়ে তোর চোখ নেমেছে মাটির খুব কাছে।
আয়নাতে ভেসে ওঠা মুখটা বড্ড মায়াবী, সুন্দর।
শরীর ছোঁয়ার ডাক পাঠায় সৌন্দর্যের স্রোত।

আমার অনুভূতিগুলো একবুক জলে দাঁড়িয়ে, মনের ক্যানভাসে নতুন দীপিকা’র ছবি আঁকে। কল্পনায়
তাকে জড়িয়ে থাকাটাও অসম্ভব নয়। অবহেলায়
মানুষ বেঁচে থাকলেও ভালোবাসা মরে যায়। অভিমান জ’মে তৈরি হয় মস্ত এক পাহাড়। নীল ডানা মেলে আকাশে ওড়ার স্বপ্ন মিইয়ে যায় মন থেকে। হৃদয় ছুঁয়ে যে প্রেম তোকে স্পর্শ করতে চেয়েছিল, অপ্রাপ্তির বেদনায় সে আজও এক আকাশ দূরত্বে দাঁড়িয়ে।


লেখক পরিচিতি : অর্দ্ধেন্দু গায়েন
জন্ম উত্তর চব্বিশ পরগনার যোগেশগঞ্জের মাধবকাটী গ্রামে। পেশায় সরকারী চাকুরী হলেও নেশা পড়াশোনা , ইচ্ছে হলেই লেখা-সে কবিতা, ছোটগল্প, অণুগল্প, প্রবন্ধ যা কিছু হতে পারে, অবসরে বাগান করা, ছোট্ট ছোট্ট বাচ্চাদের সঙ্গে খেলা ইত্যাদি।তবে সব পরিচয়ের সমাপ্তি ঘটে সৃষ্টিতে - পাঠক যেভাবে চিনবেন আমি সেভাবেই থেকে যাবো।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to Top
error: লেখা নয়, লিঙ্কটি কপি করে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।