জলসভ্যতা

লেখক : আলী ইব্রাহিম

হেলিকপ্টার থেকে নেমেই জলসভ্যতা
তপ্ত দুপুরে মেঘের বিশ্রাম
মিরাদের বাড়ি ওই উত্তরের উপত্যকায়
সেখানে জানালার ফাঁক দিয়ে ঈশ্বরের আর্দ্রতা দেখা যায়।

তখনো সন্ধ্যা ঘুমোয়নি
হিমালয় থেকে নেমে আসে দেবী
মিরাদের বাড়ি সাদা বরফে ঢেকে যায়।
বালিকা মেঘ হয়
আমি কী তবে মেঘের অপেক্ষায় দাঁড়িয়েছিলাম?
নাকি বালিকা আমার প্রতীক্ষায় মেঘ হয়েছিল?

দরজা খুলেই দেখি সেই মেঘবালিকা
বালিকার বাড়ি আর আমার বাড়ি এখন খুব কাছাকাছি
হাত বাড়ালেই মিরাদের বাড়ির বৃষ্টি ছোঁয়া যায়
আমি বৃষ্টি খুব ভালোবাসি।

মিরা ও আমি এখন মেঘ হয়েছি
তবে কী আমরা এই অধরে বৃষ্টি হয়ে জন্মেছিলাম
নাকি ঈশ্বরের আর্দ্রতায় এখন আমরা মেঘ হয়েছি।
তবে কেনো পৃথিবীতে এতো জলপিপাসা!
তবে কেনো বালিকার এতো আঁধার আলো খেলা!
তবুও তো মেঘের শীতলে জেগে ওঠে স্তব্ধ নগরী!

তখনো মেঘ ছিল
আমি জলের শীতলে স্নান করেছি
সেখানে নেমেছিল রাত।
আমি পিরামিডের অন্ধকার ছুঁয়ে দেখেছি
আমি বালিকার পৃথিবী উল্টে দেখেছি
আমি মেঘের অনুভূতি খুঁজতে গিয়ে দেখেছি
ঈশ্বরের কৃপায় কোনো ভুল ছিল কিনা!


লেখক পরিচিতি : আলী ইব্রাহিম
সহকারী সম্পাদক, দৈনিক করতোয়া, চকযাদু রোড, বগুড়া, বাংলাদেশ।

One comment

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to Top
error: লেখা নয়, লিঙ্কটি কপি করে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।

রুচিশীল ও বিষয়ভিত্তিক আলোচনার জন্য ক্লিক করুন এখানে

sobbanglay forum