টেররিস্ট
লেখক : অভীক সিংহ
রবিবারের সকালটায় হাতে একটা ব্যাগ ঝুলিয়ে বাজারে এসে দরাদরি না করলে, বেগুনের পেটটা টিপেটাপে না দেখলে, নারকোলটা ঝাঁকিয়ে ভিতরে জলের আওয়াজ না পেলে, কাঁচালঙ্কার কোণা ভেঙে একটু চিবিয়ে উহ-আহ না করলে প্রাণটা কেমন যেন আইঢাই করতে …
sinha.avik@gmail.com
রবিবারের সকালটায় হাতে একটা ব্যাগ ঝুলিয়ে বাজারে এসে দরাদরি না করলে, বেগুনের পেটটা টিপেটাপে না দেখলে, নারকোলটা ঝাঁকিয়ে ভিতরে জলের আওয়াজ না পেলে, কাঁচালঙ্কার কোণা ভেঙে একটু চিবিয়ে উহ-আহ না করলে প্রাণটা কেমন যেন আইঢাই করতে …
আজ সকাল থেকে আকাশটা একটু মেঘলা, ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা হাওয়া দিচ্ছে, রোদটাও তেমন ওঠেনি। এই রকম পরিবেশে কি আর কেবিনে মন বসে? টুক করে চেয়ার থেকে উঠে কেবিনের দরজাটা খুলে সিঁড়ি দিয়ে নেমে সোজা লাউঞ্জের বাইরে সোফাতে …
“দুত্তোর, সক্কাল সক্কাল জ্বালিয়ে দিল একেবারে।” বলে বিরক্তির সাথে সান্যালদা মোবাইল ফোনটা টেবিলে খবরের কাগজের উপরে একরকম ছুঁড়েই ফেলল।
“কী হয়েছে সান্যালদা?” আমি জিজ্ঞাসা করলাম, “ভর সক্কালবেলা এত মাথা গরম কেন?”
সান্যালদা কপালের দু’পাশে রগদুটো বুড়ো …
“হে হে হে, জবরদস্ত দিয়েছে গুরু,” আমি ফোনের দিকে তাকিয়ে হেসে উঠলাম।
সান্যালদা চায়ের কাপে প্রথম চুমুকটা দিতে দিতে জিজ্ঞাসা করল, “কী কেস, অভীক?”
“আরে তুমি নিজেই দেখো গুরু,” বলে হাসতে হাসতে ফোনটা সান্যালদার দিকে এগিয়ে …
“হ্যালো, হ্যালো… আরে বলছি তো পরশু দিয়ে দেব, এনইএফটিটা ফেল করেছে… আপনাদেরই তো সার্ভার ডাউন, সেটা কি আমি গিয়ে তুলে দিয়ে আসব?… আগের সতেরোটা ইনস্টলমেণ্ট তো সময়মতই পেয়ে গিয়েছিলেন, কোন গাফিলতি হয়েছিল কি?… আরে বাবা, বলছি …
ছোট হোক, কি বড় – পরীক্ষার সময়টা আসলেই দেখেছি মাথাটা হয়ে ওঠে হরেক রকমের বিদকুটে আইডিয়া আর তিতকুটে প্রার্থনার কারখানা। ভয়, হতাশা, উত্তেজনা, আশঙ্কা মিশে সে এক আজব মানসিক জগাখিচুড়ি। বয়েসের সাথে উপকরণগুলোর অনুপাতটাই শুধু পাল্টায়। …
সবে গরমাগরম চায়ের কাপে একটা চুমুক দিয়েছি, সামনে রাখা চেয়ারটায় এসে ধপাস করে বসে পড়ল সান্যালদা। মুখে-চোখে একরাশ চিন্তামিশ্রিত বিরক্তি। এসেই বেয়ারাকে তেতো মুখে একটা চায়ের অর্ডার দিয়েই একটা সিগারেট ধরাল। সান্যালদাকে সচরাচর সিগারেট খেতে দেখিনি, …
সকাল থেকেই মাথায় ঘুরছে, “জীবনে কী নিয়ে এসেছিস, আর কী নিয়ে যাবি।” না, আমি একেবারেই আধ্যাত্মিক প্রকৃতির নই। আর ঈশ্বর তো মনে হয় আমার মত জ্ঞানপাপীকে সামনে দেখলে হয় আমায় ভিজে বস্তায় পুরে বেদম পেটাবেন, নচেৎ …
প্রথম দৃশ্য:
“আর ড্রিঙ্ক করো না প্রবীর, শরীর খারাপ করবে।” শ্বেতা কাতর কণ্ঠে বলল।
“আজ আমায় প্লিজ আটকিও না,” মদের বোতলটা হাতে ধরে দেওয়ালে ঠেস দিয়ে মাথা নিচু করে ধীরকণ্ঠে প্রবীর বলল, “মনের মধ্যে অনেকগুলো কথা …
“আহহ,” ধূমায়িত চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে সান্যালদা একটা তৃপ্তির নিঃশ্বাস ছেড়ে বলল, “সক্কাল সক্কাল পেটে একটু গরম চা না পড়লে মগজ খোলে না মাইরি।” বলে সান্যালদা চায়ে আরেকটা চুমুক দিল।
“সেটা কিন্তু খাঁটি কথা বলেছ সান্যালদা,” …
প্রথমেই সববাংলায় এবং লেখালিখির সাথে যুক্ত সকল পাঠকবৃন্দ, লেখক-লেখিকা, শুভানুধ্যায়ী, এবং কুশীলবদের জানাই শুভ নববর্ষের আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা। ১৪৩২ বঙ্গাব্দ যেন সকলের সুখময় এবং শান্তিপূর্ণ হয়, এই প্রার্থনা ও শুভকামনা রইল।
স্বামী বিবেকানন্দের একটি বাণী …
রাত্রি যেথায় ধরিল ঘিরিয়া, অমানিশার কালো,
মনের মাঝারে প্রজ্বলিত বিজয়শিখার আলো ।
নীরবে সহিনু যাতনা যত বিশ্ব দিল মোরে,
আহত সত্তা সগর্বচিতে দাঁড়ায় উচ্চশিরে ।
দুঃখ-জ্বালার প্রহেলিকাঘেরা ভয়ের অন্ধকারা,
যুঝিয়া তাদের দলন করিনু, চিত্ত শঙ্কাহারা ।…
মাসিক দীপায়ন প্রতিযোগিতা
