স্বাগতা আচার্য্যের লেখনীতে শৈশবের টুকরো স্মৃতিকথা
জামায় বোতাম থাক বা চেন, সেফটিপিন ছাড়া বড্ড বেমানান। অবিশ্যি একপা মোরাম মেখে বাটি ভত্তি মুড়ি গোগ্রাসে গিলে মুখে শেষ গ্রাসটুক নিয়েই ছুটতে হত যে ! খুবই কড়া নিয়ম ছিল সীতাহরণের! দলে ভাগ হবার আগে উপস্থিত হতেই …
ঠিক যখন অপরিচিত কিংবা ভাল জামা জুতো পরে কোনো ভদ্রলোক বাড়িতে আসতেন, আমার কাজ ছিল মায়ের পেছনে পেছনে জামার ফিতে চিবোতে চিবোতে গিয়ে উঁকিঝুঁকি মারা। আর নিদেনপক্ষে একটা প্লাস্টিকের চেয়ার এনে দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়া। কখনো-সখনো মা …
আমরা যারা ছোট্টবেলায় খুব বড় বিয়েবাড়ি থেকে ফিরতাম একটি বা দুটি বোতল আঁকড়ে, তর সইতে না পেরে জল ভরে ফেলতুম পরের দিন স্কুলে যাবার জন্যে, আর coca cola এর গন্ধ যদি একটু থাকে তাহলে তো সোনায় সোহাগা, …
ঠিক যখন চাল ধুয়ে রোদে মেললে দাঁতে দিলেই ঠক্ করে আওয়াজ হতো তখন প্রস্তুতি নিয়ে মুড়ি ভাজতে বসতো ঠাকুমা। গনগনে কাঠের আঁচে মাটির হুলনি (চাল নেড়ে নেবার মাটির পাত্র) চাপিয়ে ঝাঁটার কাঠির গোছায় নাড়লেই চাল উঠতো গরম …
ঠিক যখন সামনের পুকুর-মাঠ জলে থইথই, এক আকাশ মেঘ উপচে পড়ছে কালো হয়ে, কাকু জল ছপছপ করতে করতে এগিয়ে যেত ঠিক পড়ে আসা বিকেলের ঘনঘটা মেখে। হাতে থাকতো বাঁকি (চলতি কথায়), আর ছোট্ট জাল। দুটি লাঠিতে বেঁধে …
একটুকরো ক্রিং ক্রিং শব্দ গোটা শৈশবকেই দিয়েছিল চমকে ! শব্দ একটাই….কিন্তু তার আগমন বার্তা বোধহয় হাজার রকম ছিল। বাবা যখন সন্ধ্যার পর ফিরতো, সাইকেল উঠোনে তোলার আগে মাত্র দুবার বেল বাজাতো। তাতেই আমি আর সেই আরেক সীমান্ত …
নাকে বৃষ্টিফোঁটা ঝরা শুরু হলেই নাক টানতে টানতে ঠাকুমার পেছন পেছন চটির অনভ্যাস চটচট আওয়াজ তুলতে তুলতে হাজির হতাম দাড়িদাদুর কাছে (তখন পা দিয়ে ঠান্ডা ঢোকার ভয়ে চটিটা পরতেই হত)। দাড়িদাদু চশমায় চোখ সেট করে রোগীর দিকে …
মাকড়সার জাল সরালেই না ফিরতে চাওয়া দিন হঠাৎ চখা হয়ে ওঠে। ঠিক জোনাক ফোটা সন্ধ্যের মুখে টলটলে দুধের গ্লাসে কয়েকদানা চিনি মিশিয়ে মা এগিয়ে আসতো। আর বাটিতে ফুলফুল চানাচুর কালেভদ্রে মুড়ির ওপর ভেসে বেড়াতো। পড়তে বসে মুড়ি …
লেখা আহ্বান - বিস্তারিত জানতে ছবিতে ক্লিক করুন
