শ্রীরাম কথা
লেখক : মিত্রা হাজরা
জন্ম আর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে এ জীবন প্রবাহ চলে । জন্মিলে মরিতে হবে, এটা ধ্রুব সত্য – উপনিষদ মনে করে মাটি, আকাশ, বাতাস, আগুন, আর জল দিয়ে তৈরি এই জগৎ। আমাদের হৃদমাঝারে প্রাণের বাস, এই প্রাণের …
mitra2k15@gmail.com
জন্ম আর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে এ জীবন প্রবাহ চলে । জন্মিলে মরিতে হবে, এটা ধ্রুব সত্য – উপনিষদ মনে করে মাটি, আকাশ, বাতাস, আগুন, আর জল দিয়ে তৈরি এই জগৎ। আমাদের হৃদমাঝারে প্রাণের বাস, এই প্রাণের …
“শ্রীরামচন্দ্র কৃপালু ভজমন হরণভবভয়দারুণ্
নবকঞ্জলোচন কঞ্জমুখ করকঞ্জ পদকঞ্জারুণম্।” – তুলসীদাস।
হে মন! কৃপালু শ্রীরামচন্দ্রজীর ভজনা করো। তিনি সংসারের জন্মমৃত্যুরূপী দারুণ ভয়হারী। তাঁর নেত্র নববিকশিত কমলের অনুরূপ। তাঁর মুখমন্ডল হস্তচরণদ্বয় লালকমল সদৃশ। এই রামচন্দ্রস্তুতি গোস্বামী তুলসীদাস বিরচিত …
হু হু করে গাড়ি ছুটছে, মাথার মধ্যে শূন্যতা। এক জলোচ্ছ্বাসের আবেগ নিয়ে কাল থেকেই বড় মন কেমন করছে ঝোরার জন্য। এতদিন পর গিয়ে কী বলবে মেয়েটাকে? কেন সেদিন সকালের আলো ফুটতে পালিয়ে এসেছিল তাকে কিছু না …
শীত বড় রুখু সুখু কুয়াশার জাল
কনে বৌ চোখ মেলে, কবিতার কাল।
ভালবাসা চার ঘাই, জড়িয়ে চাদরে
ঘাসফুল ইতিউতি, প্রেমিকা আদরে।
রোদ পোহানোর বেলা, ঝাঁঝি দাম জাগে
মৃদু কাঁপনেতে আজ, শীত…
কবেকার কথা ছিল
তালপাতার সেপাই ছিল
পুতুল ছিল,চুড়ি ছিল,
রঙিন ফিতে চল ছিল
রোদ ছিল,মেঘ ছিল
দু চার ফোঁটা বৃষ্টি ছিল
ধুলো মাখা মুখ ছিল,
হুড়োহুড়ি ভিড় ছিল।
সেটা কি রথের মেলা ছিল?
জয় জগন্নাথ ছিল…
ও বউ ! দেখ্ বাইরে—ঋণ শোধ করছে বর্ষার মেঘ। অমল হেঁকে বলে মনিকাকে।
কিসের ঋণ?
ঐ যে গরমে শুকিয়ে ফেলে নদী নালা পুকুর।
উড়ে যাওয়া আঁচলের টানে, নতুন বৃষ্টি মানকচুর চাদরে। এসে গেল বনফুলের রেণু যতখুশি …
“রথে চ বামনম্ দৃষ্টা পুনর্জন্ম না বিদ্যতে।” রথে আসীন বামনদেবকে দর্শন করলে ইহলোকের মায়া থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়। জীবন রূপ এই রথের সারথি হল বুদ্ধি,রথের লাগাম মন, অহং কে বলি দিয়ে মন,প্রাণ, উৎসর্গ করতে হবে মহাপ্রভু …
আগের অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন
শ্যামলিমায় আচ্ছাদিত এই বনে শত পুষ্পবৃক্ষের সাথে হিংস্র শ্বাপদ ও মনুষ্য ও ছিল। এমন অবস্থায় নরমাংসভোজী হিড়িম্ব দেখতে পেল পঞ্চপান্ডব ও দেবী কুন্তীকে। এতগুলো মানুষ কে ভোজ্য হিসাবে পেয়ে সে …
বসন্ত সমাগমে অরণ্যানী পুষ্পপত্রে অপরূপ আকার প্রাপ্ত হইয়াছে। রাত্রির অপূর্ব এক রূপ আছে, বহুরূপ সুগন্ধ যুক্ত পুষ্প সমূহ শুধু অরণ্যের শোভা বাড়ায়নি, বৃক্ষ কন্টকে আচ্ছাদিত এ বনের পশু পক্ষীকুল ও উৎফুল্ল আজ। কিন্তু সে দিকে দৃষ্টি …
সিরাজ সাঁই এর সংস্পর্শে এসে লালন জেনেছেন মহাযোগের খবর। সে খবর যোগেশ্বরী কে ধরে জানতে হয়। যোগেশ্বরী—কি বিশাখা? (মতিবিবি)
হ্যাঁ বিশাখা এগিয়ে এসেছে। এযে বাউলের সাধনা, সাধনা করতে সঙ্গিনী লাগে। অথচ সাধন হয় একার! এ কেমন সাধনা?…
লালন সাঁই দেহভান্ড কাব্যে পঞ্চভূতের অবস্থান বোঝাচ্ছেন ।
আকাশ বা ব্যোম –শব্দগুণ কানে স্থিতি–কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ, লজ্জা।
বাতাস স্পর্শ গুণ–চামড়ায় স্থিতি–ধারণ, চালন, সঙ্কোচন, প্রসারণ।
আগুন–রূপগুণ–চোখে স্থিতি –ক্ষুধা, তৃষ্ণা, নিদ্রা, ভ্রান্তি, আলস্য।
পানি বা অপ — রসগুণ-জিহ্বায় …
“কানাই কার ভাবে তোর এ ভাব দেখিরে/ব্রজের সে ভাব তো দেখি নারে
পরনে ছিল পীতধড়া, মাথে ছিল মোহন চূড়া—করে বাঁশি রে! “—লালন।
বাঁকা নদীর ধারে ভোর আলতো করে ঘোমটা খুলছে। গায়ে একটা সাদা কাপড় জড়ানো, একদৃষ্টে পুবের …
এ যে বড় আজব কারখানা–
সিরাজ সাঁই এর কাছে দীক্ষা গ্রহণের পর একটা আমবাগানে বসে লালন গান বাঁধতেন মুখে মুখে, আর একতারা নিয়ে বিভোর হয়ে থাকতেন। তাঁর গান মানুষের মুখে মুখে ফিরত। কুষ্টিয়ার কাছে ছেঁউড়িয়ায় নদী কিনারে …