দাতা

লেখক : প্রভঞ্জন ঘোষ

জ্ঞানদাতা জ্ঞান দেন
ধনদাতা দিয়ে যান ধন
একজনে ভ্যাজ-ভ্যাজ
আরজন নিশ্চুপ র”ন।
জ্ঞানদাতা নেন শুধু
নিশ্চুপ ছুপ সুখটান
ধনদাতা ঝনঝন ঝংকারে
বিলিয়ে বেড়ান।
জ্ঞানদাতা টান দেন
কার্নিশ জাঁকিয়ে সাজান
ধনদাতা রাত দিন সবকিছু
দান করে যান।

কলকাকলি

লেখক : প্রভঞ্জন ঘোষ

পাখিদের সুরলহরে
না হয় চড়াই হয়ে
কিচমিচ্ তাল ঠুকে যাই
ব্যাঞ্জ বাজিয়ে,
না হয় বাবুই হয়ে
ঘ্যাঁস-ঘ্যাঁস সুর দিয়ে যাই
ঠোঁটের চালনায়ে,
ঠকাঠক কাঠ ঠুকে যাই
কাঠঠোকরা হয়ে।
 
পাখিদের ওই আসরে
কোকিল,পাপিয়া
ময়না সেতার বাজায়
শ্বেত

হাবিজাবি

লেখক : প্রভঞ্জন ঘোষ

হিজিবিজি-হরফজোড়া-পিপিলিকা
পিলপিলিয়ে ছোটে
লোমগুলোকে খাড়া করে, লাগিয়ে হাজার
সুড়সুড়ি, আঁক কেটে;
লঝ্ঝড়ে সব পোকামাকড়, কীটপতঙ্গ 
চিড়বিড়িয়ে ওঠে!
 
সামনে টিলা, মাটির ঢ্যালা, পেছনটি জঙ্গুলে
পার্শ্বে শীর্ণ নদী,
ল্যাটপ্যাটে সর, পঙ্করাশি, জলনিকাশি
দৃশ্য নিরবধি-
চিত্তে কি তাই,গান আসে

আয়ত্তের বাইরে যা গেছে

লেখক : প্রভঞ্জন ঘোষ

আয়ত্তের বাইরে যা যা গেছে
তার একটি-  বিনোদন,
গানের উৎপাতে কান হয়েছে ঝালাপালা
তার পরিবর্তে, হাওয়ার সুর অনেক শ্রেয়
ঝিঁঝিঁর সুর, পাখির সুর, সমুদ্রের সুর
শ্রবণকে করে নমনীয়,
তেমনি গেছে ছায়াছবি, নৃত্য, নাটক যাত্রাপালা,
কুস্তি-কার্টুন-খেলাধূলা- –
Back to Top
error: লেখা নয়, লিঙ্কটি কপি করে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।