বেদনা
কবি: সমীর ঘোষ
গতকাল ছিল ফুলে ভরা গাছ
আজিকে জরাজীর্ণ
শতছিন্ন দেহ নিয়ে ওই
দন্ডায়ওমান বৃক্ষ।
আমফান তার কেড়ে নিয়ে গেছে
সাজানো ফুলের ডালি
কঙ্কালসার দেহ টুকু নিয়ে
আসার নিরিখে বাঁচি।
কতোই আঘাত সহেছে না জানি
হু হু শব্দ বানে…
গতকাল ছিল ফুলে ভরা গাছ
আজিকে জরাজীর্ণ
শতছিন্ন দেহ নিয়ে ওই
দন্ডায়ওমান বৃক্ষ।
আমফান তার কেড়ে নিয়ে গেছে
সাজানো ফুলের ডালি
কঙ্কালসার দেহ টুকু নিয়ে
আসার নিরিখে বাঁচি।
কতোই আঘাত সহেছে না জানি
হু হু শব্দ বানে…
কেমন আছো বাউলডাঙা?
সন্ধে এত তাড়াতাড়ি
কাস্তেতে ঘাস নিড়িয়ে মাটি
শুকিয়ে ওঠার আগেই আঁধার
চুপিসারে আসছে নেমে
দল বেঁধে সব কিচিরমিচির
নাম না জানা হাজার পাখি
অস্থায়ী তার নরম বাসায়
দুধেল গাইটি গোয়ালমুখো
সঙ্গে বাছুর ছটপটে সে…
দিন গভীর হচ্ছে–
তুষ জ্বলছে বুকে,বাতাসে অদৃশ্য আগ্নেয়কণা
যেন সবাইকে ছুঁয়ে আছে নীল আতঙ্ক।
নিঃশব্দ সময় জুড়ে —
ভয়ের পাথর তুলে তুলে আড়াল বৃত্তে আছি
বড় স্বপ্নহীন।বড় অর্থহীন।
একে অপরকে ছুঁয়ে থাকার
অলীক অস্পষ্ট মূহুর্তের অণ্বেষন
চোখের …
মেঘ যদি ঝর ঝর ঝরে পড়ে
কাক ভিজে হয় যদি দর্শক,
যুঁই আর কনকচাঁপার ফুল
ঝরে পড়ে আঙিনায়
মন হয় উদাস বাউল।
জীবনের ক্লান্তি নেয় বিরাম
স্মৃতির কাঁথায় কত কারুকাজ
রং মিলিয়ে রিফু, জোড়াতালি
স্বপ্ন রঙিন পথ, …
বিদ্রোহী হোক সকল নারী,
মা দুর্গার মতো!
সকল অসুর অত্যাচারের
যদি নিধন হতো,
তবেই পেতো মুক্তি নারী,
কন্ঠে ধরে বিষ;
হাতের ত্রিশূল রক্ত মেখে
হাসতো অহর্নিশ!
নিয়মনীতি, সংস্কৃতি ―
বড়ই যে একপেশে!
আফগানে যে বোরখা পরে,
হিজাব …
বারবার পড়ন্ত বেলা, পশ্চিমে ঢলে পড়া সূর্য
আর নারীর কনে দেখা আলোয় গোধূলি লগন আসে
যতনে সাজিয়ে রাখা শাড়ি খুলে রোদে মেলে ধরা
নিজস্ব উচ্ছ্বাস। আমার সম্মুখে শুধু ধুলো ও বাতাস
উষ্ণ আপ্যায়নের আড়ালে বিজ্ঞাপনী প্রচারের কৃতকৌশল…
বাবা আজ কাজে যায় না অনেক দিন।
আমার আর ভাইয়ের স্কুলও বন্ধ অনেক দিন।
বাদাম গুলো আমি আর ভাই ভাগ করে খেয়েছি,
ঝাল মটর গুলো আমি একা, খুব ঝাল তো তাই ভাই কে দিই নি ।…
দুঃখ ছিল। আনন্দ ছিল।
বনপথের কষ্ট সাধ জাগাতো…
মাদকের কোনো বিকল্প ছিল না।
ঘুমঘোরে লোক দেখানো চুপকর্ম…
হাটে গিয়ে —
মাংস বেচে দিন চলত প্রেমজ সুখে।
মঙ্গলকাব্যের নায়িকা…
মাটির গর্তে আমানি জমিয়ে রা।।।
এটাই জানতাম…
লেখক পরিচিতি: …
উড়ন্ত মেঘচিল
আয়নায় তিন-জ পেরেকের দৃষ্টি
ভুরুর ডালে বসে একটা দাঁড়কাক
সকাল থেকে ডেকেই চলেছে
কানে কানে নালিশ জানিয়েছিল যে মেয়েটা তার শরীর মোমবাতির মতো গলে পড়ছে আমার ডান গাল বেয়ে
আর এখন আমার ঠোঁটের ওপর সেই …
একটি পাখির ডাক ও ভোর
কোলাহলে দিনের পতন শুরু
দূরে শ্মশানে শব, নীরবতা
আগুনের চিৎকার ওড়ে
বিষণ্ণ তুলো আর মহাকালের আস্তানা
তোমার চোখের পাতায় ঘুম
কুহকের রোদ, জুঁইফুল
তবু পাখির ডাক — নদীর স্রোত
ক্ষয়ে যাওয়া প্রত্ন …
ইচ্ছেপোশাক, চাঁদ রঙের সন্ধে
যখন একা লাগে
নিজেকে উড়িয়ে দিই
ফুরিয়ে দিই…
আর কখন আমার
কথাজন্ম
টুপ করে গিয়ে বসে পড়ে
তোমার ডিপ ইউয়ের নীচে…
তুমি না-জেনেই ভাসিয়ে দাও সব!
তোমার চুলের ডগায় লেগে থাকা
অল্প-একটু স্বপ্নজল …
প্রাণবন্ত চঞ্চল মেয়েটা আজ যেন কেমন
বড্ডো চুপচাপ হয়ে গেছে।
আজ সে আর হাসে না, ছোটে না,
গলা জড়িয়ে ধরে অভিমানী চোখে কাঁদে না।
সাত সমুদ্র তেরো নদী পেরিয়ে সাহেব যখন এসেছিলো তার কাছে —
তখন সে …
মাসিক দীপায়ন প্রতিযোগিতা