ভালোবাসার রাতদিন

লেখক : সৌরভ দেববর্মণ

গোলাপ

আমার মধ্যে কী পায় কে জানে!
গো লাফ দেয় শিং উঁচিয়ে
ভক্ত নই যে, ভগবতী বুঝি
বাঁচার শখ দেবে ঘুচিয়ে
তোমরা যখন গোলাপ পাচ্ছ
কাঁটাও রাংতা মোড়ানো
আমার কানে রূদ্ধ সংগীত
হতাশ হয়োনা জোর আনো
ছোটোবেলা থেকে গোবরে ও পায়ে
ছিল লেপালেপি দোস্তি
আসলে আমার ঠিকানা কি জানো
ঐ ফুটপাথ আর বস্তি

প্রস্তাব

বস্তির ছেলে বাদশাহ হ’ব
বেগম হবে নাকি মেরি জান
পস্তাতে হ’বে জেনেও বুকেতে
জাগাবে মাদার টেরিজা
দু:স্থকে দেবে সুস্থ যাপন
রুগ্নকে দেবে সমীহ
স্ট্যাটাসে সে ছেলে তাল পাতা হোক
সেপাই কিম্বা রোমিও

চকোলেট

রোমিও সেপাই যাই ভাবি বসে
লোকচোখে দেখি খিল্লি
‘তবুও এ মনে প্রশ্নের ঝড়ে’
রোজ রাতে মারি বিল্লি
উত্তর নেই, উতরানো নেই
আছে অবজ্ঞা, মাথা হেট
সময় গলাতে বকলেশে বাঁধে
কুত্তার সয় চকোলেট!

বিয়ার

জন্মের দাগ পোষ মেনে যায়
খোরপোশ পায় যেদিন
বস্তির বস ভালোবাসা ভেবে
হয়ে ওঠে সংবেদী
লেজ নেড়ে তেড়ে বেপাড়ায় গিয়ে
লালায় ভেজায় টেডি

প্রমিস

বিয়ার পেলে চিয়ার করি
কী-ই বা করি আর
জীবন মানে বুঝে গেছি ভালো
আজ নগদ কাল ধার
ধার উদ্ধার দিনগত কাজ
পচা গলা একই গল্প
চেনা সংজ্ঞায় চেনে বাঁধা বাঁচা
যুঝবার সংকল্প

হাগ

চেনে বাঁধবার প্রাচীন প্রবাদে
ফুরন্ত শীত আর মাঘ
থ্রেট খেয়ে ভয়ে গর্তে সেঁধাই
ভুলেছি পিতার নাম
দৃষ্ট স্বপ্ন অদৃষ্টের কাছে
রোজ খায় তিন গোল
ভাব ও অভাব পরিপূরক হয়ে
করে থাকে আলিঙ্গন

চুমু

ঠোঁটে ঠোঁট রেখে মুচলেকা দিয়ে
সোহাগে জপেছি যাপন
নিজেকে বেচেছি আপোসের দরে
বাজারের বিজ্ঞাপন
নিজস্ব আছে দেনাদারী কিছু
গুঞ্জণ ফিসফিস
অভাব আমায় ভাবে ভালোবেসে
করে যায় জোড়া কিস

সাত দিন, সাথ দিন

হুলিয়ে জনতা প্রেমে ডুব দিক
বুলিয়ে গোলাপ চুমু
তমুকের ভালোবাসা ছোঁয়া পেয়ে
তরতাজা হোক অমুক
প্রেমের দিব্যি নিব্বা নিব্বি
চুটিয়ে বাঁচুক ধেড়ে
ভ্যালেন্টাইন ফেব্রুয়ারি থাক
মানলাম গেছি হেরে


লেখক পরিচিতি : সৌরভ দেববর্মণ
কর্মসূত্রে নিছক শ্রমিক মর্ম সূত্রে লিখি।
এই পৃথিবীর জল বায়ু মাটি সবকিছুতেই শিখি।
আঞ্চলিকতায় দক্ষিণেশ্বরবাসী, যদিও সে শুধু সাকিনই!
এ ব্যতিরেকে গণ্ডীর বেড়ে নিজেকে বন্দী রাখিনি

7 Comments

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to Top
error: লেখা নয়, লিঙ্কটি কপি করে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।