লাল ফৌজের সুন্দরী মৃত্যুদূত

লেখক: রানা চক্রবর্তী

লাল ফৌজ সোভিয়েত ইউনিয়নের বিপ্লবাত্মক সমাজতান্ত্রিক যোদ্ধাদের দল যারা ১৯১৮-১৯২২ সালে ছড়িয়ে পড়া রুশ গৃহযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। পরবর্তীকালে এটি সোভিয়েত ইউনিয়নের জাতীয় পর্যায়ের সামরিক বাহিনীতে রূপান্তরিত হয়। ১৯৩০-এর দশকে লাল ফৌজ বিশ্বের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ সেনাবাহিনীতে পরিণত হয়েছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে “লাল ফৌজ” শব্দগুচ্ছটি ব্যাপকভাবে ব্যবহারসহ বিরাট পরিচিতি লাভ করেছিল।

যারা সমাজতন্ত্র পছন্দ করতেন না তারা লাল শব্দটি নেতিবাচকভাবে ব্যবহার করেন। অতীতে যে-কোন ধরনের বামপন্থী সামরিক দলকে নির্দেশ করার জন্য লাল ফৌজ শব্দ ব্যবহার করা হত। তাদের ভাষায় লাল ফৌজ হচ্ছে সমাজতন্ত্রের বিস্তারের প্রক্রিয়াতে সহায়ক সামরিক সংগঠন যা প্রাথমিকভাবে সোভিয়েত ইউনিয়নের নিরাপত্তায় নিয়োজিত।

সেপ্টেম্বর, ১৯১৭ সালে ভি. আই. লেনিন লিখেছিলেন,

“পুলিশ বাহিনীকে পুণঃস্থাপন করার একমাত্র উপায় হচ্ছে জনগণের মাঝখান থেকে যুদ্ধবিদ্যায় অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের অংশগ্রহণ। তাঁরা সামরিক বাহিনীর সাথে মিশে একীভূত হয়ে যাবে।”

একই সময়ে রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত ইম্পেরিয়াল রাশান আর্মির অবকাঠামো ভেঙ্গে পড়েছিল। রুশ সাম্রাজ্যের পুরুষ জনগোষ্ঠীর ২৩% সৈনিক হিসেবে যোগদান করেছিলেন যাঁদের সংখ্যা প্রায় ১৯ মিলিয়ন। তাঁদের অধিকাংশের কাছেই কোন অস্ত্র ছিল না। তাঁরা দূরবর্তী সেনা ঘাঁটি থেকে যোগাযোগ ব্যবস্থায় সহায়ক ভূমিকা পালন করতেন। জার জেনারেল নিকোলাই ডুখুনিন হিসেব করে দেখলেন যে, ২ মিলিয়ন সৈনিক পলাতক অবস্থায় রয়েছেন, ১.৮ মিলিয়ন মারা গেছেন, ৫ মিলিয়ন আহত অবস্থায় এবং ২ মিলিয়ন কারাগারে বন্দী অবস্থায় দিনাতিপাত করছেন। ১০ মিলিয়ন ব্যক্তি অশ্বারোহী সৈনিক হিসেবে রয়েছেন।

কমিশারদের জনসংঘ ২৮ জানুয়ারি, ১৯১৮ সালে রেড আর্মি গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়। তাঁদের ধারণামাফিক রেড আর্মি গঠন হবে শ্রেণী-সচেতন এবং শ্রমিক শ্রেণীর সেরা উপাদানগুলো নিয়ে। রুশ প্রজাতন্ত্রের আঠার বছর বয়সের ঊর্ধ্বেকার সকল জনগোষ্ঠী এর সদস্য হবে। অক্টোবর বিপ্লব, সোভিয়েত ক্ষমতা গ্রহণ এবং সমাজতান্ত্রিক ধারা প্রবর্তনে এর ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয় ও অনবদ্য।

সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের ঐতিহ্যবাহী রঙের মাধ্যমে রেড আর্মিকে চিত্রিত করা হয়েছে। ২৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৪৬ সালে বিপ্লবের প্রতীককে সোভিয়েত ইউনিয়নের রাষ্ট্রীয় প্রতীক হিসেবে গ্রহণ করা হয়। ঐদিনই রেড আর্মি’র নতুন নামকরণ করা হয় সোভিয়েত আর্মি।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ একটি অধ্যায় পূর্ব ফ্রন্টের যুদ্ধ বা জার্মানীর রাশিয়া আক্রমণ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে থেকেই নাৎসিদের সাথে সোভিয়েতদের সম্পর্ক মোটেই ভালো ছিল না। ১৯৩৯ এর পোল্যান্ড আক্রমণের মাধ্যমে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা হয়। সেই সময় নিজেদের সুরক্ষার স্বার্থে সোভিয়েতরাও পোল্যান্ডের বেশ কিছু অংশ নিজেদের দখলে নিয়ে আসে।

জার্মানীর পৃথিবী জয়ের অভিযান যতই অগ্রসর হতে থাকে ততই সোভিয়েতরা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত হতে থাকে। সেই সাথে জার্মানীর ক্রমবর্ধমান সামরিক সক্ষমতাও সবার মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ভবিষৎ আগ্রাসন ঠেকানোর জন্য সোভিয়েত কর্তৃপক্ষ প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন। সেই সময়টায় হিটলার ব্রিটেনকে কাবু করার চেষ্টায় রত ছিলেন। আমেরিকা আর সোভিয়েত ইউনিয়নকে যুদ্ধে টেনে আনার জন্য ইংরেজদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করতে হিটলার রাশিয়ার সাথে একটা চুক্তিতে আসার চেষ্টা করেন। তাঁরা চেয়েছিলেন, সোভিয়েতরাও তাঁদের ত্রিদলীয় সংগঠনে যোগদান করুক। কিন্তু উক্ত সংগঠনে ঢোকার জন্য সোভিয়েত কতৃপক্ষ শর্ত দিয়ে বসল যে, সংগঠন থেকে ফিনল্যান্ড, বুলগেরিয়া, তুরস্ক এবং জাপানকে বের করে দিতে হবে। হিটলার স্বাভাবিকভাবেই এই শর্ত মানলেন না। সোভিয়েতের সাথে চুক্তিও বাতিল হয়ে গেল এবং হিটলার সাথে সাথেই রাশিয়ায় হামলা করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার আদেশ প্রদান করেন। ১৯৩৯ সালে অবশ্য রাশিয়া এবং জার্মানি একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলো। তারপরও দুইপক্ষের মধ্যে সন্দেহ ও অবিশ্বাস প্রচন্ডভাবে বিরাজ করছিলো। পরবর্তীকালে তা যুদ্ধের রূপ ধারণ করে।

১৯৪১ সালর ২২ জুন হিটলার সোভিয়েত রাশিয়া অভিযান শুরু করেনা যা অপারেশন বারবারোসা নামে পরিচিত। এই অভিযানে উনিশটি প্যানযার ডিভিশন, ৩ হাজার ট্যাংক, ২৫০০ বিমান এবং ৭০০০ কামান অংশ গ্রহণ করে। সর্বমোট ত্রিশ লক্ষ সৈনিক সাথে ৬ লক্ষ মোটরযান এবং ৬-৭ লক্ষ ঘোড়া ব্যবহার হয়েছিল এই অভিযানে।
১৯৪১ সালের ২২ জুন ভোর ৪টায় প্রথম জার্মান ট্যাংক সোভিয়েত সীমান্তে প্রবেশ করে। আক্রমণের প্রথম দিনেই জার্মান বিমান বাহিনী ১ হাজার সোভিয়েত বিমান ধ্বংস করে দেয়। সোভিয়েত বাহিনীর প্রতিরোধ সত্ত্বেও যুদ্ধ শুরুর কয়েকদিনের মধ্যে জার্মান বাহিনী রাশিয়ার ৩০০ মাইল ভেতরে ঢুকে পড়ে। তাঁরা সোভিয়েত ভূখণ্ডের বিস্তীর্ণ এলাকা নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর মস্কো দখলের কাছাকাছি পর্যায়ে চলে গিয়েছিলেন। নাৎসী বাহিনী কয়েক মাসের মধ্যে কিয়েভ ও রস্তুভ-অন-ডনের মতো বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নগরী দখল করে নেয়। এখানে আরেকটি বিষয় উল্লেখ করা যেতে পারে, আর তা হলো, অপারেশন বারবারোসা শুরুর ঠিক ১২৯ বছর ১ দিন আগে নেপোলিয়ন বোনপার্ট রাশিয়া আক্রমণ করেছিলেন। তিনি এই অভিযানে সফল হতে পারেন নি, একই ভাবে হিটলারের রাশিয়া অভিযানও ব্যর্থতার মধ্য দিয়েই শেষ হয়েছিলো। শীতকালে নাৎসী বাহিনীর শোচনীয় পরাজয় ঘটে।

যে ব্যক্তি লুকানো অবস্থান থেকে সাধারণ সেনা, মার্কসম্যানের ক্ষমতা কে ছাড়িয়ে অনেক দুরের লক্ষ্য কে হত্যা বা আহত করতে সক্ষম হন তাঁকেই সাধারণত যুদ্ধের পরিভাষায় একজন স্নাইপার বলা হয়। স্নাইপারদের সাধারণত ‘স্নাইপিং’ এর উপর বিশেষ ট্রেনিং দেওয়া হয় থাকে। এছাড়াও এঁদের ছদ্মবেশ, স্কাউট, হাইড আউট, রেকি এবং এক্সপ্লোরেশন এর ট্রেনিংও দেওয়া হয়ে থাকে। তবে বলতে পারেন এঁদের শরীরের অবিচ্ছেদ্য অংশ হচ্ছে বিশেষায়িত এবং দুরপাল্লার শট এর জন্য তৈরি স্পেশালাইজড রাইফেল। পাহাড়, জঙ্গল, জলাভূমি, মরুভূমি, দুর্গম এলাকা যে কোনোও জায়গাতেই যে কোনও দেশের সৈন্যবাহিনীর স্নাইপাররা সাক্ষাৎ মৃত্যুদূত।

একটা সাধারন বোলট অ্যাকশান রাইফেল এর সাথে একটা স্নাইপার রাইফেলের মূল পার্থক্য হচ্ছে এর গড়ন ও এর অ্যাকশান এর ধরণ। একটা সাধারন রাইফেল কে বানানো হয় খুব দ্রুত এবং শক্তিশালী বুলেট ছোঁড়ার জন্য, সেখানে একটা স্নাইপার রাইফেল তৈরী হয় ধীরে সুস্থে দূরের লক্ষ্যবস্তু কে পেড়ে ফেলার জন্য। অনেক বেশী নির্ভুল ও নিবেদিত হয় স্নাইপার রাইফেল। নির্ভুলতার জন্য এতে শক্তিশালী টেলিস্কোপিক সাইট থাকে এবং সাধারন বুলেটের বদলে মিলিটারি সেন্টারফায়ার কার্টিজ ব্যবহার করা হয়।

হিটলারের জার্মান নাৎসী বাহিনী যেদিন রাশিয়ান লাইন কে পেছনে ফেলে মস্কো অধিগ্রহণ করে এবং সাইবেরিয়ার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে, ধারণা করা হয় এই সময় হিটলারের প্রচণ্ড আগ্রাসনের স্টাইলের কারনেই রাশিয়ার লাল ফৌজ কে তাঁদের ই সাধের মস্কো ফেলে পেছনে হাঁটতে বাধ্য করেছিল! কিন্তু লাল ফৌজের হৃদপিন্ডে হিটলারের আগ্রাসন শুধু কাঁপন ধরায় নি, কাঁপন ধরিয়েছিল ছোটখাটো গড়নের এক ফিনিশ স্নাইপার সিমো হাইহা (Simo Häyhä)। ইতিহাসে আজও যাঁকে ‘হোয়াইট ডেথ’ বা ‘সাদা মৃত্যু’ও বলা হয়ে থাকে! রাশিয়ার ওই মাইনাস ৪০ ডিগ্রী তাপমাত্রাতেও তিনি ছিলেন ভয়ঙ্কর। মাত্র ১০০ দিনে ওই রকম প্রতিকূল পরিবেশে তিনি মাত্র ৫০৩ জন রাশিয়ান সৈন্য কে মৃত্যুমুখে ফেলে দিয়েছিলেন ঢিল মেরে গাছ থেকে আপেল ফেলার মত! ফলাফল? দিকভ্রান্ত লাল ফৌজ মস্কো ছেড়ে পিছু হটে! সিমো হাইহা ছাড়া আরও কিছু এমন স্নাইপিং রত্ন ছিল হিটলারের কাছে। এঁদের মধ্যে উল্লেযোগ্য হচ্ছেন ম্যাথিউস হ্যাযন্যুয়ার (অস্ট্রিয়ান, ৩৪৫ জন রুশ সৈন্য হত্যা), জোসেফ অলবার্গার (অস্ট্রিয়ান, ২৫৭ জন রুশ সৈন্য হত্যা), হেলমুট ওয়ান্সবার্গার (জার্মান, ২০০ এর অধিক রুশ সৈন্য হত্যা)।

কিন্তু পরবর্তী সময়ে এ থেকে শিক্ষা নিয়ে লাল ফৌজও বিপ্লব এনে ফেলে এই যুদ্ধে আরও কিছু ভয়ঙ্কর স্নাইপারের মধ্যমে। উল্লেখ্য এদের মধ্যে বেশিরভাগ ছিলেন মহিলা। নাৎসী জার্মানির হাত থেকে নিজেদের দেশ কে রক্ষা করতে রুশ নারীরাও যুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন। লাল ফৌজের কাছে ছিল লুদমিলা পাভলিউচেঙ্কো (রাশিয়ান, ৩০৯ জন নাৎসী সৈন্য হত্যা করে ইতিহাসের পাতায় নাম লেখানো সব থেকে নামকরা ও ভয়ানক মহিলা স্নাইপার) এর মতন ভয়ানক মহিলা স্নাইপার। পুরুষদের মধ্যে মিখাইল সুরকভ (রাশিয়ান, ৭০২ জন নাৎসী সৈন্য কে হত্যা করেছিলেন বলে বলা হয় কিন্তু যথেষ্ট প্রমান পাওয়া যায় না), ভাসিলি জায়েতসেভ (রাশিয়ান, ২০০ জনের অধীক নাৎসী সৈন্য হত্যা) এবং সিমেন নোমোকোনভ (রাশিয়ান, ৩৬৭ জন নাৎসী সৈন্য হত্যা) দের মত ভয়ঙ্কর স্নাইপার কিলার।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। ১৯৪১ সাল। জার্মানির সঙ্গে রাশিয়ার দ্বৈরথ। এমন সময়ে এগিয়ে এল রাশিয়ার প্রমীলা বাহিনী। সব ছেড়ে দিয়ে দেশের জন্য লড়তে এলেন তাঁরা। প্রশিক্ষণ নিলেন স্নাইপার হিসেবে। পরিচিত হলেন ‘লেডি কিলার’ নামে। নাৎসি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়েছিলেন এঁদের অনেকেই। প্রায় দু’ হাজার নারী স্নাইপার ছিল রাশিয়ার সেনাবাহিনীতে। হিটলারও নাকি ভয় পেতেন এই স্নাইপারদের। এমনই ক্ষিপ্রতা ছিল তাঁদের।

  • বেলারুশের যুদ্ধে লড়েছিলেন টানিয়া বারামজিনা। শত্রুপক্ষের ৩৬ জনকে একাই মেরেছিলেন তিনি।
  • ইয়েলিজাভেতা মিরোনোভা (লিজা) – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় অন্যতম ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি। স্তালিনগ্রাদের যুদ্ধে একাই একশ শত্রুকে মেরেছেন তিনি। একদিনেই ৩২ জন জার্মান সেনাকে মেরেছিলেন লিজা।
  • জিবা গানিয়েভা, রেড আর্মির ‘লেডি কিলার’-দের অন্যতম তিনি। তিন শতাধিক শত্রু-সেনাকে মেরে ফেলার রেকর্ড রয়েছে তাঁর।
  • রোজা শানিনা, স্তালিনগ্রাদের যুদ্ধে জার্মান সেনাদের ত্রাসের কারণ ছিলেন। তাঁর মতো দক্ষ শার্প শুটার খুব কম ছিল, লাল ফৌজ নির্দ্বিধায় তা স্বীকার করে।
  • আনাস্তাসিয়া স্টেপানভ, একদিনেই ২০ জনকে মেরেছিলেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়। স্তালিনগ্রাদের বাহিনীর অন্যতম এই সদস্য ক্যামোফ্লেজে অত্যন্ত দক্ষ ছিলেন। আড়াল থেকেই চালাতেন হামলা।
  • সি বাইকোভা ও আর স্ক্রিপনোকোভা, এই দুইজন স্নাইপার ১৯৪৩ সালের যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। হিটলারের নাৎসি বাহিনীর ত্রাসের অন্যতম দুই কারণ ছিলেন এঁরাই।
  • নিনা লোবকোভস্কায়া, ১৯৪৪ সালে বার্লিন যুদ্ধের সময় রুশ বাহিনীর অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। থার্ড শক আর্মির হয়ে ৮৯টি হত্যা করেন তিনি।
  • লিউডমিলা পাভলিচেঙ্কো, পরিচিতি ‘লেডি ডেথ’ নামে। তাঁর নামে কাঁপত শত্রুপক্ষ। বছরে ৩০৯ টি ‘কনফার্মড কিলিং’-এর রেকর্ড রয়েছে তাঁর। এঁদের মধ্যে ৩৬ জন জার্মান স্নাইপার ছিলেন।

(ছবিতে – স্নাইপার জুনিয়র লেফটেন্যান্ট জিবা গানিয়েভা। ১৯৪২/৪৩ সালের ছবি। এই সুন্দরী রাশিয়ান রমণী যুদ্ধক্ষেত্রে একাই তিনশো জনের বেশি জার্মান নাৎসী সৈন্যকে হত্যা করেন। ছবিটি সাদা কালো তোলা হয়েছিল। সাম্প্রতিক অতীতে ‘ক্লিমবিন’ বলে একটি ছবি সংরক্ষণকারী সংস্থা মূল ছবি থেকে এটিকে রঙ্গীন ছবিতে পরিণত করে)


তথ্যসূত্র:
1. Germany and the Axis Powers: From Coalition to Collapse by Richard L. DiNardo, University Press of Kansas, page 92
2. The Soviet‐German War 1941–45: Myths and Realities: A Survey Essay by David Glantz
3. The Greatest Battle: Eastern Front 1943 by Kursk Lloyd Clark
4. The Red Army by Erich Wollenberg
5. আনন্দবাজার পত্রিকা, ২রা আগস্ট ২০১৮ সাল


লেখকের কথা: রানা চক্রবর্তী
রানা চক্রবর্তী পেশায় সরকারী কর্মচারী। নেশা ইতিহাসের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পড়াশোনা আর লেখালিখি। নিজেকে ইতিহাসের ফেরিওয়ালা বলতে ভালবাসেন।

শেয়ার করে বন্ধুদেরও পড়ার সুযোগ করে দিন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to Top
error: লেখা নয়, লিঙ্কটি কপি করে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।