সামান্য প্রশান্তি অনতিদূরে

লেখক : পার্থ সরকার

সামান্য প্রশান্তি অনতিদূরে
খেদ প্রাক্তন বনিবনার
ছেড়ে যায় জাহাজ বন্দর পুকুর
বিষণ্ণ মুখ মুকুরে
বৃষ্টি পড়ে টাপুরটুপুর
যদিও কৃষি সামান্য অনতিদূরে
হৃদয়পুরে
সামান্য সামান্য সব কিছু সমস্তপুরে

নিমগ্ন ভাপ
অলীক বোধন
খড়ের কাছে নিমিত্ত তাপ
বেজে যায় রিংটোন সাইরেন
তবু, কে শোনে?

কানে খাটো
উচ্চতায় বড়ো
এক মেদ
এক ভেদ

বিকল্প নেই
সামনেই ছড়িয়ে আছে আশা
ত্বকের আঁশেতেই।

লেখক পরিচিতি : পার্থ সরকার
প্রধানতঃ প্রয়াত সেজদা স্বর্গীয় শঙ্কর সরকারের প্রত্যক্ষ উৎসাহে এবং নির্দেশিত পথে এবং বন্ধুবর্গের উৎসাহে কবিতা লিখি। কেন লিখি? কারণ একটাই। মানুষের অস্পষ্টতা, অন্তত সমসাময়িক মানুষের জটিলতা, অসহায়তা এবং সর্বোপরি চিন্তাহীনতা আমাকে ক্রুদ্ধ করে, দুঃখিত করে। একদা বিপ্লবের প্রতি বিশ্বাস – আজ কতটা অটুট বলতে পারব না কিন্তু, হাল ছাড়তেও পারছি না, ধরতেও পারছি না। তবু... বলে এগিয়ে যাই। অন্তত কিছু কিছু প্রতিবাদ ( লেবানন, আমেরিকা হংকং... হয়ত ভারতেও একদিন ) বিপ্লব দূর অস্ত ধরে নিয়েও – এটাই যা আশার আলো। পৃথিবীতে আসার দুর্ঘটনা ঘটেছিল ১৯৬৮ সালে। সামান্য মেকেলীয় লেখাপড়া তারপর বিপ্লবের গন্ধে কিছু রাজনৈতিক কাজে অংশগ্রহণ আর... কবিতা লেখা জীবনের প্রধান কাজ এবং অবশ্যই আগুনের পাশে থেকে। বাংলার এবং ভারতের বেশ কিছু সাময়িক পত্রে ( যারা গভীরভাবে কবিতার সত্তাকে বাঁচিয়ে রাখার মহৎ কাজ করে চলেছেন ) আমার কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, আমেরিকা এবং জাপানে আমার কিছু ইংরাজি কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। আসল কথাটা বলাই হয়নি। আমার কবিতার বর্তমান উৎস মানুষ বাদে বিভিন্ন প্রাণী, গাছ এবং আলোরকণার মত বিভিন্ন প্রাণীসত্তা ... ওরা আমাকে আমার ভিতর আগুন বাঁচিয়ে রাখার অনুপ্রাণনা দেয়। আমি ওদের চোখের দিকে তাকিয়ে কবিতা লিখি।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to Top
error: লেখা নয়, লিঙ্কটি কপি করে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।