অচেনা মুখ চেনা সম্পর্ক – প্রথম পর্ব

লেখক: শর্মিলা ঘোষনাথ

(আত্মীয় তো তাঁরাই, যাঁরা আমাদের আত্মার খুব কাছের। হাত বাড়ালেই যাঁদের কাছে পাওয়া যায়। বাধা বিপত্তি এসে যখন চারপাশের জগতকে থমকে দিয়েছে বলে মনে হয়, তখন আবার যাঁরা নতুন করে জীবন পথে চলার ভরসা যোগান- তাঁরাই তো প্রকৃত আত্মীয়। সে সম্পর্ক কি

কৃষ্ণগত প্রাণ: শেষ পর্ব

লেখক: মিত্রা হাজরা

কৃষ্ণগত প্রাণ: তৃতীয় পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন

নন্দ মহারাজ বলছেন, “আমরা সব সময় কৃষ্ণের কথাই চিন্তা করি। কৃষ্ণের হাসি, কৃষ্ণের দুষ্টুমি, যমুনার তীরে, গোচারণভূমিতে, গিরি গোবর্ধনের কাছে সর্বত্র কৃষ্ণের চরণচিহ্ন দেখি।”
এ সকল কথা বলতে বলতে …

কৃষ্ণগত প্রাণ: তৃতীয় পর্ব

লেখক: মিত্রা হাজরা

কৃষ্ণগত প্রাণ: দ্বিতীয় পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন

একবার দ্বারকা থেকে শ্রীকৃষ্ণের জ্ঞাতিভাই উদ্ধব এসেছেন শ্রীকৃষ্ণকে দর্শন করতে। উদ্ধব ছিলেন বসুদেবের ভাই এর ছেলে। এনার দেহসৌষ্ঠব প্রায় শ্রীকৃষ্ণেরই মতো। ইনিও শ্যাম বর্ণ, পরতেন পীতবসন। দুজনে একই গুরুর …

চুপ-শৈশব: সেফটিপিন

লেখক: স্বাগতা আচার্য্য

জামায় বোতাম থাক বা চেন, সেফটিপিন ছাড়া বড্ড বেমানান। অবিশ্যি একপা মোরাম মেখে বাটি ভত্তি মুড়ি গোগ্রাসে গিলে মুখে শেষ গ্রাসটুক নিয়েই ছুটতে হত যে ! খুবই কড়া নিয়ম ছিল সীতাহরণের! দলে ভাগ হবার আগে উপস্থিত হতেই …

কৃষ্ণগত প্রাণ: দ্বিতীয় পর্ব

লেখক: মিত্রা হাজরা

কৃষ্ণগত প্রাণ: প্রথম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন

ভগবান শ্রীকৃষ্ণ স্বয়ং দিব্য আনন্দের উৎস, তাঁর আলিঙ্গনে দরিদ্র সুদামা দিব্য আনন্দে ভরপুর হয়ে গেলেন। কোনো কষ্ট কোনো গ্লানি তাঁর মধ্যে আর অবশিষ্ট থাকলো না। শ্রীকৃষ্ণ নিজ সিংহাসনে তাঁকে …

চুপ-শৈশব: নিজস্বী

লেখক: স্বাগতা আচার্য্য

ঠিক যখন অপরিচিত কিংবা ভাল জামা জুতো পরে কোনো ভদ্রলোক বাড়িতে আসতেন, আমার কাজ ছিল মায়ের পেছনে পেছনে জামার ফিতে চিবোতে চিবোতে গিয়ে উঁকিঝুঁকি মারা। আর নিদেনপক্ষে একটা প্লাস্টিকের চেয়ার এনে দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়া। কখনো-সখনো মা …

কৃষ্ণগত প্রাণ: প্রথম পর্ব

লেখক: মিত্রা হাজরা


শ্রীকৃষ্ণের প্রিয়তমা মহিষী রুক্মিনী অপেক্ষা করছেন স্বামীর জন্য। শিথিল কবরী বাঁধা গুঞ্জা ফুলের মালা দিয়ে, ললাট চর্চিত কুমকুম আর চন্দনে, পট্ট বস্ত্রে আবৃত দেহ। শ্রীকৃষ্ণ এইমাত্র ফিরলেন গণমুখ্য সভা থেকে, আজ বেশ দেরি হয়ে গেছে তাঁর, এসেই …

চুপ-শৈশব: প্রাণের ঠাকুর

লেখক: স্বাগতা আচার্য্য

আমরা যারা ছোট্টবেলায় খুব বড় বিয়েবাড়ি থেকে ফিরতাম একটি বা দুটি বোতল আঁকড়ে, তর সইতে না পেরে জল ভরে ফেলতুম পরের দিন স্কুলে যাবার জন্যে, আর coca cola এর গন্ধ যদি একটু থাকে তাহলে তো সোনায় সোহাগা, বারবার …

চিঠি: ডিয়ার মা

লেখক: কুহেলি বাঁক

Dear মা,           
জানো মা, আজ আমাদের সূর্য উচ্চমাধ্যমিক পাশ করল। আমার আজও মনে পড়ে, সূর্যর প্রথম স্কুলে যাওয়ার দিনটা, কত কান্নাকাটি করছিল। স্কুলের আন্টি একপ্রকার জোর করেই ওকে ভিতরে নিয়ে যায়, তারপর …

চুপ-শৈশব: আঁচবিলাসী

লেখক: স্বাগতা আচার্য্য

ঠিক যখন চাল ধুয়ে রোদে মেললে দাঁতে দিলেই ঠক্ করে আওয়াজ হতো তখন প্রস্তুতি নিয়ে মুড়ি ভাজতে বসতো ঠাকুমা। গনগনে কাঠের আঁচে মাটির হুলনি (চাল নেড়ে নেবার মাটির পাত্র) চাপিয়ে ঝাঁটার কাঠির গোছায় নাড়লেই চাল উঠতো গরম …

চুপ-শৈশব: ঝোল

লেখক: স্বাগতা আচার্য্য

ঠিক যখন সামনের পুকুর-মাঠ জলে থইথই, এক আকাশ মেঘ উপচে পড়ছে কালো হয়ে, কাকু জল ছপছপ করতে করতে এগিয়ে যেত ঠিক পড়ে আসা বিকেলের ঘনঘটা মেখে। হাতে থাকতো বাঁকি (চলতি কথায়), আর ছোট্ট জাল। দুটি লাঠিতে বেঁধে …

বাবার কোল – সব থেকে উঁচু!

লেখক: ইচ্ছেমৃত্যু

বাবার কোলে ওঠার কথা মনে পড়ে না। তার মানে এই নয় যে, বাবা আমাকে কোনদিন কোলে নেয়নি!  নিয়েছিল নিশ্চয় – ছোট মানুষের মন, কী মনে রাখার, কী নয় ঠিক করে উঠতে পারেনি। ফলত বাবার কোলে ওঠার স্মৃতির ভাঁড়ার …

Back to Top
error: লেখা নয়, লিঙ্কটি কপি করে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।