ভালবাসা বাকি আছে

লেখক: রুবাই শুভজিৎ ঘোষ

হঠাৎ বিকেল থেকে প্রচণ্ড ঝড়। সন্ধ্যে হয়ে এল, কিন্তু ঝড় কমেনিই এতটুকু, সঙ্গে মোটা বৃষ্টির ফোঁটা বন্ধুত্ব করেছে সেই ঝড়ের সাথে। রাস্তায় লোক প্রায় নেই বললেই চলে। আছে কিছু রাস্তার ধারের দোকানদারেরা, যারা এখন দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করছে। হাওয়ায়, ধুলোয়, বৃষ্টিতে ভেজা এই ফাঁকা রাস্তা দিয়ে একাকী হেঁটে চলেছে উদান। হঠাৎ করে শহরে আসা এই তুমুল ঝড়বৃষ্টি বিচলিত করে দিয়েছে সকলকে, শুধু বিচলিত করতে পারেনি তাকে। অবশ্য যার মনের ভেতরেই একটা বিশাল ঝড় বয়ে চলেছে, তাকে আর বাইরের ঝড় কিই বা বিচলিত করবে! রাস্তার মাঝ দিয়েই হেঁটে চলেছে সে। বৃষ্টিতে সে ভিজে গেছে পুরো, ভিজে গেছে তার বাঁহাতে ধরা ঐ ডাক্তারি রিপোর্টগুলোও।
“ও দাদা! চলে আসুন এদিকে। ভিজে গেছেন যে।” একজন দোকানদার উদানকে দেখে তার দোকানে আসবার জন্য ডাক দিল। কিন্তু উদানের কানে পৌঁছল না সে কথা, কানে পৌঁছলেও মনে পৌঁছল না। মনে তার উথাল পাথাল চলছে। যেমন ভাবে হেঁটে যাচ্ছিল তেমনভাবেই হেঁটে চলল সে। থামল একেবারে নিজের বাড়ির দরজায় এসে।  দরজা খুলে বীপ্সা বেরিয়েই প্রায় চেঁচিয়ে উঠল, “তুমি ভিজে গেছো তো পুরো। কোথাও একটা দাঁড়াতে পারলে না?”
এতক্ষণে যেন হুঁশ ফিরল উদানের, বীপ্সার স্বরে হুঁশ ফিরল উদানের। আর তখনই খেয়াল হল বীপ্সাকে এখনই বললে চলবে না কি চলছে তার মনে। ডাক্তার যে বলেছে, “এখন কিন্তু আপনাকেই ওনার খেয়াল রাখতে হবে।”
“এই মানে একটু ভিজে গেছিলাম।” আমতা আমতা করে বলল উদান।
“এটা একটু! পুরোটাই তো ভিজে গেছো। ভেতরে এসো। কি যে কর না তুমি।” বীপ্সার কথামত ভেতরে চলে এল উদান। বীপ্সা ততক্ষণে হাতে একটা টাওয়েল নিয়ে এসেছে। উদান আবার হারিয়ে গেল ভাবনায়, দাঁড়িয়ে দেখতে থাকল বীপ্সাকে। “কি হল! নাও ধরো! সর্দি বাধালে সেই আমাকেই তো দেখতে হবে” বিরক্তির সাথে বলল বীপ্সা। এই কথায় আবার হুঁশ ফিরল উদানের।
 
না! না! এতদিন তো বীপ্সাই দেখে এসেছে তাকে, দেখে এসেছে এই সংসারটাকেই পুরো একা হাতে। উদান কতটুকুই বা করেছে! উদানকে তো সংসার নিয়ে মাথাই ঘামাতে হয়নি কখনও। কিন্তু আজ! আজ যে রিপোর্টগুলো তার হাতে তুলে দিয়ে ডাক্তারবাবু বলল, “এখন কিন্তু আপনাকেই ওনার খেয়াল রাখতে হবে।” উদান এলে তার জন্য খাবার আনতে গেল বীপ্সা। বাধা দিল উদান, “আরে কোথায় যাচ্ছ? আমি আনছি।”
অবাক হয়ে গেল বীপ্সা। শেষ কবে রান্নাঘর থেকে নিজে এভাবে উদান খাবার এনেছে, মনে করতে পারল না বীপ্সা। সেই বিয়ের পর পর বোধহয়। তখন খুব ভালবাসত। ভালো এখনও বাসে, কিন্তু সময়ের সাথে সাথে কেমন থিতিয়ে পড়ে সব। তাদের বিয়ের প্রায় ছয় বছর হতে চলল। শুরুর দিকে যেভাবে মিশত তারা, পরের দিকে আস্তে আস্তে থিতিয়ে গেল সব, যেমন বেশিরভাগ মানুষের ক্ষেত্রে হয়। আগের সেই উত্তেজনা, আগের সেই আবেগ যেন ছিলনা তাদের মধ্যে। কিন্তু ডাক্তারের কাছ থেকে ফেরবার সময় থেকেই উদানের খালি মনে হতে থাকল শুধু তার জন্য, তার অবহেলার জন্যই বীপ্সার এই অবস্থা। তারই অবহেলায় বীপ্সাকে সে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে। সে যদি আরও একটু যত্ন নিত, যদি সে নিজের কাজের থেকে আরও একটু সময় বার করে বীপ্সার খেয়াল রাখত, তাহলে হয়ত বীপ্সাকে মৃত্যুর মুখে দাঁড়াতে হত না।
“ওনার হাতে আর মাত্র কয়েকটা মাস আছে।” ডাক্তারের কথাগুলো উদান বুঝতে পারেনি প্রথমে। বোঝার পর কোনও কথা বলতে পারেনি অনেকক্ষণ। নিজের কানকেই যে বিশ্বাস হচ্ছিল না তার। বীপ্সা আর মাত্র কয়েকদিন আছে তার সাথে! এটা কি করে সম্ভব। বীপ্সা যে তার জীবন, তার অভ্যাস। ওকে ছাড়া উদান বাঁচবে কি করে? উদানের গলার কাছে কিছু একটা কুণ্ডলী পাকিয়ে আটকে রইল যেন। খাবারটা গলা থেকে নামাতেই পারল না সে।
“কি হল? খেতে ভালো লাগছে না?” জিজ্ঞেস করল বীপ্সা।
“না না। তোমার হাতের খাবার। ভাল লাগবে না।”
“হুহ!” মুখ হাল্কা বেঁকিয়ে বলল বীপ্সা, “সব জানি।”
চেয়ারটা বীপ্সার কাছে এনে বসল উদান, “কি জানো? শুনি না একটু।” মুখে তার রসিকতা।
খাবারের প্লেট থেকে মুখ তুলে বীপ্সা বলল, “তার আগে বলো ডাক্তার কি বলল?” এই একটা প্রশ্নে উদানের মুখের রঙটাই উড়ে গেল।
 
একইরকমভাবে তার মুখের রঙটা উড়ে গেছিল সন্ধ্যাবেলায় যখন ডাক্তার হতাশভাবে বলেছিল, “না মিঃ উদান, যে স্টেজে এটা ধরা পড়েছে, কিছুই করা যাবে না। ওনার হাতে আর মাত্র কয়েকটা মাস আছে।”
“কি হল?”, একটা হাল্কা ধাক্কা দিয়ে হাল্কা বিরক্তির সাথে জিজ্ঞেস করল বীপ্সা, “বলবে কি কি বলল? নাহলে কিছু হয়ে গেলে বুঝবে তারপর।”
একটু যেন উদাস হয়ে বলল বীপ্সা, “আমি খালি ভাবি আমার কিছু হয়ে গেলে তোমায় কে দেখবে।”
উদান নিজেকে আর ধরে রাখতে পারল না, উঠে বীপ্সাকে জড়িয়ে ধরল, “এরম একদম বলবে না তুমি।”
“এই কি করছ! ছাড়ো! এঁটো হাতে… আমি কি মরে যাচ্ছি নাকি?”
“চুপ!” চেঁচিয়ে উঠল উদান, “বাজে কথা একদম বলবে না।”
বীপ্সা বুঝল কিছু তো হয়েছে। যে উদান ইদানীং অফিস থেকে ফিরেও অফিসের কাজ করে, সে হঠাৎ তাকে এভাবে জড়িয়ে কেন ধরল। কি হয়েছে তার। উদানকে ছাড়িয়ে জিজ্ঞেস করল সে, “কি হয়েছে বলতো? কি হয়েছে আমার?”
“তোমার কি হবে?” নিজের আবেগকে এবার সামলে নিল উদান, “এরম কথা বলছ বলে বললাম।” বীপ্সাও আর কথা বাড়াল না।
 
পরের দিন অফিস থেকে ফিরে উদান বলল, “চলো কোথাও ঘুরতে যাই।”
বীপ্সা বসেছিল সোফায়। উদানের এই কথায় মুখ তুলে তাকাল সে, ঘুরতে সে খুবই ভালোবাসে। সেই কবে তারা ঘুরতে গেছিল। কতবার সে বলে উদানেকে ঘুরতে চলো, ঘুরতে চলো। সময় হয় হত না উদানেরই। আজ উদানের এই প্রস্তাবে আনন্দে চোখে জল এল তার, “কোথায় যাবে বল?”
“তুমি বলো!” জিজ্ঞেস করল উদান।
“তুমি তো আবার ছুটি নিতে পারবে না।” অভিমানের স্বরে বলল বীপ্সা।
“কেন পারব না?”
“আচ্ছা ছুটি নিতে হবে না বেশি। চলো না হেনরিজ আইল্যান্ড যাবে?” লাফিয়ে উঠল বীপ্সা।
“সেটা কোথায়?”
“সেই যে সৃজিতের চতুষ্কোণ সিনেমাটায় পরমব্রত যেখানে নিয়ে গেল বাকিদের… যেখানে ও মারা গেল গো।” মৃত্যুর কথায় কেমন দমে গেল উদান।
বীপ্সা আবার বলল, “চলো না গো ওখানে। দারুণ লাগবে।”
 
কাজ থেকে তিনদিনের একটা বিরতি নিয়ে উদান আর বীপ্সা গাড়ি নিয়ে রওনা দিল হেনরিজ আইল্যান্ড। ডায়মন্ড হারবার দিয়ে ছুটে চলেছে তাদের গাড়ি।
“বোবা টানেল গানটা চালাবে। ওটা শুনলে না হেনরিজ আইল্যান্ডে যাচ্ছি মনে হবে।” বীপ্সা বায়না করল।
“ফোনের ব্লুটুথ গাড়ির সাথে কানেক্ট আছে। ফোনে চালাও গানটা। হয়ে যাবে।”
ফোন ঘেঁটে গানটা চালাল বীপ্সা। গানটা তার ভীষণ প্রিয়। গাড়ির ভিতরে উদান আর জানলা দিয়ে বাইরেটা দেখতে দেখতে বীপ্সার মনটা ছুটে চলল।
“…ভালোবাসা বাকি আছে তোমারও আমার কাছে
যা চেয়েছ দিতে আমি পারি না
আমারও সময় ডালে ফুরিয়ে এসেছে পাতা
এত প্রেম কাছে এসে এলো না…”
সজোরে গাড়িতে ব্রেক কষল উদান। একেবারে গানের মিউজিকের সাথে যেন থামল গাড়ি। গানের ওই কয়েকটা শব্দ উথাল পাথাল করে দিয়েছে উদানের ভিতরটা।
“কি হল?” জিজ্ঞেস করল বীপ্সা। “কিছু না। নিজেকে সামলে নিয়ে বলল উদান, “চোখে কিছু একটা পড়ল।”
 
হেনরিজ আইল্যান্ডের সমুদ্রটা অন্যরকম। এখানে প্রকৃতিটা বিরাজ করছে আদিমভাবে, স্বমহিমায়। জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে সমুদ্রে যাবার রাস্তা। জঙ্গল বলতে গাছ আর আগাছা। তাদের পেরিয়ে যখন ফাঁকা জায়গাটায় এল তারা, তখন বালি গুলো উড়ে এসে জানান দিচ্ছে তাদের উপস্থিতি। সপ্তাহের মাঝে এসেছে বলে ভিড় এমনিও কম। এই দুপুরবেলায় গোটা সমুদ্রে লোক প্রায় নেই বললেই চলে। আনন্দে বীপ্সা ছুটে গেল সমুদ্রের দিকে। দুহাত ছড়িয়ে বুকভরা নিঃশ্বাস নিল সে। তাকে এভাবে দেখে উদানেরও ভাল লাগল। এগিয়ে এসে উদান তার হাত ধরল। দুজনে হেঁটে চলল তারা সমুদ্রের সমান্তরালে। সমুদ্র অবধি যেতে পারল না তারা। সমুদ্র থেকে উঠে আসা জলে অপেক্ষাকৃত নিচু জায়গাটা ভরে গিয়ে খালের মত সৃষ্টি করেছে। তাদের আর সমুদ্রের মাঝ দিয়ে বয়ে চলেছে সেই খাল। সেটা পেরোনো প্রায় অসম্ভব।
 
তারা খালের এইপাড় বরাবর চলতে থাকল। প্রচন্ড হাওয়ায় জুড়িয়ে গেল মন, ভুলে গেল উদান তার আশঙ্কা। পরিবেশটাই এখানে এরকম। ওই দূরে দেখা যাচ্ছে দুএকজনকে। বাকি কেউ কোথাও নেই। কিছুক্ষণ হাঁটার পর বালির ওপর এসে বসল দুজন। একবুক সমুদ্রের হাওয়ায় আবার নিঃশ্বাস নিল বীপ্সা। কতদিন পর সে উদানকে এভাবে পেল। হোক না তা শেষবারের জন্য। উদানের দিকে তাকিয়ে দেখল সে। উদান এখন কতটা নিশ্চিন্ত, কতটা শান্ত। মাঝের কদিন তো চিন্তায় ঘুম হয়নি তার। ঘুমের মাঝেই সে ছটফট করত। বীপ্সাকে নিয়ে চিন্তায় উদান ভেতরে ভেতরে ছটফট করত। উদানের এই ছটফটানিটা কোথাও একটা ভাল লাগত বীপ্সার। উদানের জীবনে তার এতটা গুরুত্ব দেখে উদানের জন্য খারাপ লাগার মধ্যেও তার ভাল লাগত বেশ। এই কদিন উদান খুব চিন্তায় কাটিয়েছে, কিভাবে বীপ্সাকে খুশি রাখা যায়, তাই ভেবে কাটিয়েছে। বীপ্সা ভাবল এবার তাকে আসল কথাটা বলাই যাক।
 
“উদান!” আদরের একটা ধাক্কা দিল বীপ্সা।
“বলো!” সমুদ্রের থেকে চোখ, বীপ্সার দিকে ফিরিয়ে বলল উদান।
“এই কদিন খুব ভালো কেটেছে আমার। সেই পুরোনো দিনের মত।” উদানের বাহু জড়িয়ে ধরল বীপ্সা, “আমার আর কিছুই চাওয়ার নেই তোমার থেকে। এই কদিনে তুমি সব দিয়েছ আমায়।” উদানের বাহু আরও শক্ত করে ধরে বলে চলল, “শুধু ভয় হয় জানো আমি চলে গেলে কি হবে তোমার?”
তার এমন কথায় তার দিকে চমকে তাকাল উদান। চোখে তার ভয়।
বীপ্সার চোখে জল, সমুদ্রের দিকে মুখ করে সে বলল, “আমি সব জানি উদান।”
উদান যেন এবার আকাশ থেকে পড়ল। তার এই কয়েকদিনের বীপ্সাকে লুকিয়ে এই যে বীপ্সাকে খুশি করার চেষ্টা, আর বীপ্সা বলছে সে সব জেনেই তার সাথে…
বীপ্সা বলে চলল, “সেদিন তোমার ওরম আনচান ভাব দেখেই বুঝেছিলাম কিছু হয়েছে। ডাক্তারের কাছে গিয়ে বাকিটা শুনলাম।”
কিছুক্ষণ দুজনেই চুপ। শুধু প্রচণ্ড হাওয়ার শব্দটা বোঝা যাচ্ছে, আর বোঝা যাচ্ছে দূরে সমুদ্রের আওয়াজটা।
বীপ্সা এরপর যখন কথা বলল নিজেকে আর সামলাতে পারল না, “সেদিন বাথরুমে খুব কেঁদেছিলাম জানো। আমি মরতে চাইনা, মরতে চাইনা গো।” বলতে বলতেই কেঁদে ফেলল সে, “তোমায় ছেড়ে যেতে চাইনা।” জড়িয়ে ধরল সে উদানকে, তারপর ফুঁপিয়ে কেঁদেই চলল।
উদান তার কপালে ঠোঁট রাখল, জড়িয়ে রইল তাকে নিজের বুকে, “আমি তোমায় ছেড়ে যাবো না। যাবো না কক্ষনও।” কিন্তু কান্না যে তারও আজ বাধা মানল না। সেই চোখ থেকে জলের কণারা বেরিয়ে এসে বীপ্সার চুল ভিজিয়ে দিল। বীপ্সার চোখের জলে ভিজে চলল উদানের বুকের কাছের শার্টটা।
 
বীপ্সার মুখটাকে তুলল এবার সে। উদান তাকে নিজের বুকে আঁকড়ে ধরল। দুটো ঠোঁট খুব কাছাকাছি এল। একেবারে প্রথম দিনের স্বাদ নেওয়ার মত লাগল তাদের দুজনের। কিছুক্ষণের জন্য সব দুঃখ ভুলে গেল তারা। ভুলে গেল স্থান আর কাল। চুম্বন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হল আরও। কে বলতে পারে নিষ্ঠুর নিয়তি তাদের আবার এইরকম সুযোগ করে দেবে কিনা! আস্তে আস্তে শুয়ে পড়ল তারা বালির বিছানায়। কিন্তু কেউ কারও থেকে আলাদা হল না। প্রচণ্ড হাওয়ায় বালি এসে ঢেকে দিল তাদের দুজনের হাত,  কিন্তু তারা আলাদা হল না।


ছবি – লেখক

গল্পটির অডিও স্টোরি শুনুন এখানে

লেখকের কথা: রুবাই শুভজিৎ ঘোষ
লেখকের জন্ম পশ্চিমবাংলায়। পেশায় একটি বহুজাতিক সংস্থার তথ্যপ্রযুক্তিবিদ। নেশায় লেখক এবং পরিচালক। বাঙালির জনপ্রিয় ওয়েবসাইট সববাংলায় এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা তিনি। কবিতা থেকে শুরু করে গল্প, প্রবন্ধ, উপন্যাস, চিত্রনাট্য সবকিছুই লিখতে ভালবাসেন। লিটিল ম্যাগাজিন থেকে শুরু করে বাণিজ্যিক বিভিন্ন ম্যাগাজিনে নিয়মিত লিখেছেন। স্রোত থেকে প্রকাশিত তাঁর কবিতার সংকলন দৃষ্টি এবং বালিঘড়ি। এছাড়া তথ্যচিত্র, শর্ট ফিল্ম বা অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের ভিডিও পরিচালনা করেন। ধর্ম এবং বিজ্ঞান তাঁর প্রিয় বিষয়। ভ্রমণ তাঁর অন্যতম শখ। অন্যান্য শখের মধ্যে রয়েছে স্কেচ, ফটোগ্রাফি, ছবি ডিজাইন করা।

শেয়ার করে বন্ধুদেরও পড়ার সুযোগ করে দিন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to Top
error: লেখা নয়, লিঙ্কটি কপি করে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।