জিটা ভাইরাস

লেখক: ইন্দ্রনীল চক্রবর্তী

(১)

এখন তুবুনের ছুটি পড়েছে। গ্রীষ্মের ছুটির জন্য সে এখন দু’মাস বাড়িতে থাকবে। তুবুনের ঘুম থেকে উঠে হেবি মজা হয় এই ভেবে যে তাকে আজ স্কুলে যেতে হবে না। সারাদিন সে মনের মতো কাজ করতে থাকবে। এই ছুটিতে কী কী গল্পের বই পড়বে মাথায় ঠিক করে নেয়। আর মার থেকে যদি কোনও ভাবে সে মোবাইল ফোন টা পায় তাহলে, চ্যাম্পিয়নস লিগের হাইলাইটগুলো দেখে নিতে পারে। খেলাগুলো যেহেতু রাত্রেবেলা তাই বাবা টিভি খুলতে দেয় না। এই ভেবে মজা পায় যে আজ তাকে কেউ পড়ার কথা বলবে না। সে ঠিক করে নেয় ব্রেকফাস্ট করে সে কিছুক্ষন টিনটিন পড়বে তারপর বারোটা নাগাদ হাউসিং-এর বন্ধুদের সাথে ক্যাম্পাসের পার্কে ক্রিকেট খেলতে যাবে।

এইসব ভেবে তুবুনের এত আনন্দ হয় যে ওর খুব অপছন্দের খাবার পাউরুটি আর জ্যাম কোনও প্রতিবাদ না করে খেয়ে ফেলে। বারোটার সময় হাউসিং-এর বন্ধুদের বাড়িতে ছুটে যায়, এবং তাদের খেলার জন্যডেকে নেয়। অনেকেরই গরমের ছুটি পরে গেছে।সবাই মিলে পার্কে খেলতে যায়। সেখানে প্রথম ঘটনাটা শুরু হয়। দিব্যি খেলা হচ্ছিল, হটাৎ তেজা খুব জোরে বল মারতে, বল পার্ক ক্রশ করে সামনের জঙ্গলে গিয়ে পড়ে। নিয়ম আছে যে বল পার্কের বাইরে গেলে ব্যাটসম্যানকে আউট দেওয়া হবে। যথারীতি তেজাও আউট হয়ে যায়। তুবুন বাউন্ডারির পাশে থাকায় সবাই তুবুনকে বল আনতে পাঠায়। তুবুন জঙ্গলে যায় বল আনতে। বলটা একটা গাছের তলায় পড়েছিল। পার্ক থেকেই দেখা যাচ্ছিল, তাই তুবুনের খুঁজে পেতে অসুবিধা হয় না। বলের গায়ে কিছু জেলির মতো লেগে ছিল, তুবুন বল তুলতেই হাতের কাটা জায়গাটাতে জেলির মতো জিনিসটা লেগে যায়, আর লাগার সঙ্গে সঙ্গে জ্বলে ওঠে। তুবুন বন্ধুদের বল দিয়ে বলে, “তোরা একটু দাঁড়া, আমি হাত ধুয়ে আসছি?”

মা, বাবা সব সময় বলে হাতে নোংরা লাগলে হাত ধুয়ে নিতে। তুবুন ছুটে টয়লেটে গিয়ে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নেয়। এবং পার্কে ফিরে এসে খেলতে থাকে। জ্বালাটা কমলেও পুরোপুরি কমে না। খেলা হয়ে গেলে বাড়িতে দেড়টা নাগাদ এসে চান করে নেয়। খেতে বসে হাতটা খাওয়াতে লাগতে আবার জ্বলে ওঠে। তুবুন বার বার ডান হাতের দিকে দেখতে থাকে। মা সুচিত্রার চোখে পরতে বলে ওঠে, “কী হয়েছে রে? হাতে কী হয়েছে?”

“দেখো না মা, সকালে বলটা জঙ্গলে পড়ে যায়, বল আনতে গিয়ে কী হল, জেলির মতো কিছু একটা বলের গায়ে লেগেছিল। হাতের কাটা জায়গাটায় লাগতে জ্বলতে লাগল। আমি গিয়ে হাত সাবান দিয়ে ধুলাম। কিন্তু দেখ এখন খাবার লাগতে আবার জ্বলছে।”
“সাবান দিয়ে হাত ঠিক করে ধুয়েছিলিস তো, দু’দিন হয়তো একটু থাকবে তারপর আসতে আসতে কমে যাবে।
এর একদিন পরেই তুবুনের জ্বর আসে, হাল্কা জ্বর। তুবুনের বাবা জয়ন্ত তাপমাত্রা নিয়ে দেখে, গায়ে ১০০.১ জ্বর। সঙ্গে সঙ্গে একটা ক্রসিন দিয়ে দেয়। সারাটা দিন হাল্কা হাল্কা জ্বর থাকে আর তার সাথে গলা ব্যথা।

(২)

“তুবুন শুনতে পাচ্ছ?”
“কে ?”
“শুনতে পারছ , আমার নাম জিটা-১২”
“তুমি কে বলছ? আমি বুঝতে পারছি না কিছু?”
আমার নাম জিটা-১২, আমি তোমার ভিতর থেকে বলছি।”
“তোমার এরকম অদ্ভুত নাম কেন? আর ভিতর থেকে বলছ মানে ?”
“তোমার মনে আছে তুমি যখন খেলছিলে, আর যখন বল আনতে গেছিলে তখন তোমার হাতে আঠার মতন কী একটা লেগেছিল। তোমার জ্বলছিল, তাই না?”
“হ্যাঁ মনে আছে। কিন্তু তাতে কী?”
“ওই তরল জেলিতে আমি ছিলাম, তোমার হাতের তালুর অজস্র ফুটো দিয়ে আমি ভিতরে ঢুকে গেছি।”
“আমার ভয় করছে, তুমি কে?”
“ভয় কী তুবুন। আমি একটা ডিএনএ ভাইরাস, আমার নাম জিটা১২, আমাদের ২৪টা স্ট্রেইন আছে। আমি ১২ নম্বর। ”
“আমার ভীষণ ভয় করছে। ভাইরাস তো জীবাণু। তুমি আমার ভিতরে ঢুকলে কেন?”
“সে তোমায় আরেকদিন বলব খন। তবে ভয় পেয়ো না। আমি ঢোকাতে তোমার সামান্য একটু জ্বর আর গলা ব্যথা হয়েছিল। কাল দেখো সব সেরে যাবে।”

মায়ের ডাকে তুবুনের ঘুম ভেঙে যায়, কী বিশ্রী স্বপ্ন ছিল। মা এসে ঘরের পর্দা সরিয়ে দিতে একরাশ আলো ঘরে ঢুকে পরে। সুচিত্রা এসে তুবুনের মাথায় হাত দেয়, বলে না “একেবারে জ্বর নেই। তবু একবার থার্মোমিটার দিয়ে দেখে নেওয়া ভালো। অপা একবার থার্মোমিটারটা নিয়ে আয় তো জ্বরটা দেখি। “তুবুনের আর জ্বর আসে না, তুবুন ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠে। কিন্তু স্বপ্নটার কথা ভাবলেই, মনে মনে ভয় পেয়ে ওঠে। এরপর, এক দিন, দু দিন, তিন দিন কেটে যায়, তুবুন আর কোনও স্বপ্ন দেখে না। তুবুনের মন থেকে জিটা নামটা ক্রমশ মুছে যায়।

(৩)

“তুবুন শুনতে পাচ্ছ?”
“কে কে?”
“আমি জিটা-১২ বলছি, তোমার ভিতর থেকে বলছি।”
“তুমি তুমি কে? আমি স্বপ্ন দেখছি। আমি তোমার একটা কথাও বিশ্বাস করি না”
“তুবুন শোন। তোমার একটু হেল্প চাই। বিশ্বাস করো আমি তোমার বন্ধু। তোমাকে একটা হেল্প করতেই হবে।
“কী হেল্প?”
“আমার কথা মন দিয়ে শোন। কালকে যখন খেলতে যাবে। তখন পিছনের জঙ্গলে যাবে। দেখবে একটা কোণে একটা বিরাট ডাস্টবিন আছে। সেখানে যাবে, গিয়ে অনেকক্ষণ ময়লা ঘাঁটবে, ঘেঁটে কিছুক্ষণ এদিক ওদিক ঘুরবে। তারপর বাড়ি চলে আসবে, সঙ্গে সঙ্গে আসবে না”
“ছিঃ এর মানে কী? কেন আমি ময়লা ঘাঁটব? মা আমাকে ভীষণ বকবে। ”
“হয়তো বকবে, কিন্তু আমি তোমার ভালোর জন্য বলছি।”
“আমার ভালো ! ময়লা ঘেঁটে কী ভালো হবে?”
“তুমি এখন বুঝবে না, তুমি এখন বায়োলজি অতটা জানো না, বড় হয়ে নাও আমি তোমায় বলব, বা তুমি সময় মতো সব জানতে পারবে।”

জানলার পাশে পল্টুর ডাক শুনে তুবুনের দুপুরের ঘুম ভেঙে যায়, অঙ্ক করতে করতে কখন টেবিলে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়েছিল, খেয়ালই করেনি। তাড়াতাড়ি উঠে বই গুছিয়ে বেরিয়ে যায়। এই নিয়ে ও দ্বিতীয়বার স্বপ্নটা দেখল। প্রথম বার দেখার প্রায় ছ’মাস পরে। তুবুন খেলতে যায়। কিন্তু মন দিয়ে খেলতে পারে না, মাথায় শুধু ওই চিন্তা ঘুরপাক খায়। পিছনের জঙ্গল। বাড়ি যাবার নাম করে কিছু আগে খেলার থেকে বেরিয়ে যায়। সবার চোখ এড়িয়ে পিছনের জঙ্গলে যায়, এবং খুব করে ময়লা মাখে, কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে তারপর বাড়ি যায়। তুবুন মন্ত্রমুগ্ধের মতো কাজগুলো করেছিল, কেন করেছিল সে নিজেও জানে না। তারপর অবশ্য বাড়ি গিয়ে বেদম বকা খায়। শুধু বকা না, দু একটা থাপ্পড়ও খেয়েছিল। এরপর অনেকদিন কেটে যায়, সে জিটা-১২ কে নিয়ে আর কোনও স্বপ্ন দেখেনি। কেন সে এমন করেছিল একটা স্বপ্নের ভিত্তিতে সে নিজেও জানে না।

(৪)

তুবুন থুড়ি সাত্যকি চ্যাটার্জি এখন ২৫ বছরের ইয়ং ম্যান। পি.এইচ.ডি-তে জয়েন করবে। মাইক্রো বায়োলজিতে গবেষণা করবে। কার কাছে পিএইছডি করবে তাও ঠিক করে ফেলেছে। সবথেকে আনন্দের খবর জে.আর.ফ স্কলারশিপটাও পেয়ে গেছে। তাই বন্ধুরা সবাই মিলে আজ রাতে বারে যাবে সেলিব্রেট করতে। দুপুরবেলা পড়তে পড়তে হটাতই ঘুমিয়ে পড়ে তুবুন।

“শুনতে পাচ্ছ তুবুন”
“কে কে?”
“আমি জিটা-১২ বলছি।”
“কে জিটা ?”
“ভুলে গেলে, ছেলেবেলায় তোমার শরীরে ঢুকেছিলাম, সেই জেলির মতো একটা জিনিস তোমার হাতে লেগেছিল।”
“হ্যাঁ হ্যাঁ মনে আছে, কিন্তু তুমি আবার কেন এসেছ?”
“হ্যাঁ এটা শেষ আসা বন্ধু। এটা একটা শেষ রিকোয়েস্ট তোমার কাছে?”
“তুমি কী বলতে চাইছ? কীসের রিকোয়েস্ট?”

“তুমি আজ রাতে পার্টি করতে যাচ্ছ। নতুন স্কলারশিপ পাবে। খুব আনন্দের খবর। বারে একটি মেয়ে আসবে। তার নাম সায়ন্তনী। রোগা করে কোঁকড়ানো চুল। তার সাথে বন্ধুত্ব করো, পরে পারলে ডেটে যেও, রাজি থাকলে ওর সাথে শুয়ো। ওকে তোমার বান্ধবী করো, তোমার ভবিষ্যৎের জন্য ওকে বান্ধবী করা খুব জরুরি।”
“কী সব ফালতু কথা হচ্ছে।”
“ফালতু নয়, তোমার ভালোর জন্যই বলছি, আমার কথাটা মনে রেখ।”

তুবুনের ঘুম ভেঙে যায়। ও ধড়ফড় করে উঠে বসে। কী সব হাবি জাবি স্বপ্ন। তুবুন এক গ্লাস জল খেয়ে নেয়। স্বপ্নের চোটে আর প্রবল গরমে তুবুনের পিঠ ভিজে যায়।

রাত্রে তুবুন বন্ধুদের সাথে রকিজ বারে যায়। সবাই মিলে টেবিলে গোল করে গল্প করে। সবাই মোটামুটি বিয়ার নিয়ে বসে। এক বোতল যখন শেষের পথে তখন শ্ত্রদু বলে ওঠে, “এই যে সাত্যকি, পিছনে তাকিয়ে দেখ, একজন তোকে তখন থেকে ঝারি মারছে।”
পিছনে তাকাতে তুবুনের ভিতরটা ছ্যাত করে ওঠে। একটি রোগা করে কোঁকড়ানো চুল আলা মেয়ে একলা বসে আছে আর ওর দিকে তাকিয়ে হাসছে। তুবুন তাকালে, তুবুনের দিকে তাকিয়ে হাত নাড়ে।
“ডাকছে যা, হা করে বসে থাকিস না।” — পাশ থেকে তুবুনের কোনও এক বন্ধু বলে ওঠে।
তুবন মন্ত্র মুগ্ধের মতো মেয়েটির দিকে এগিয়ে যায়।
“হাই , সাত্যকি।”
“হাই সায়ন্তনী।” — পাল্টা করমর্দনের জন্য হাত এগিয়ে আসে।

(৫)

পি.এইচ.ডি-এর দেড় বছর হয়ে গেছে। আজ সাত্যকিকে সুপারভাইজার ডেকেছে, নতুন প্রবলেম দেবে বলে। খুব গুরুত্বপূর্ণ কাজ। কাজটা অবশ্য অনেকদিন ধরে চলছে। সাত্যকিকে সে এই কাজটাতে নিতে চায়। এটুকুই জানিয়েছে। আর কিছুই জানায়নি। সাত্যকির মনে মনে খুব উত্তেজনা হয়। কেন জানে না হটাৎই তার আজ সায়ন্তনীর কথা মনে পড়ে। সায়ন্তনীর সাথে তার সম্পর্ক তিন, চার মাস চলে। তারপর ব্রেক আপ হয়ে যায়। অনেক চেষ্টা করেছিল সে। কিন্তু জোড়া লাগেনি। এখন তুবুনের স্থায়ী গার্ল ফ্রেন্ড রয়েছে। রূপার সাথে তার চ্যাটে আলাপ। তবু মাঝে মাঝে সায়ন্তনীর কথা মনে পড়ে।

দুপুরে কোনোভাবে লাঞ্চ শেষ করে তুবুন চলে যায় ডঃ সুরজ জৈনের কাছে। তার অফিসে গিয়ে দেখে সেখানে এক সাহেব বসে আছে। তুবুনকে দেখে সুরজ বলে ওঠে,

“Come in Satyaki? Have a seat. This is John and this is Satyaki. John, I was talking about Satyaki. He is a very good researcher. Satyaki, John is a prof. in University of Michigan. He is visiting us. We are working together in a viriology project. We are thinking about including you in this project. I do not know how long this project will take but this is worth trying. John, would you mind, if I request you to give Satyaki a general overview of the project, we can go into details later.”

“Sure, no problem Suraj, Satyaki I am sure you know about genetically modified viruses, to treat diseases? We are thinking about this in a much more advanced way, an universal virus which will be capable of killing any pathogen entering into the body. Not only that Satyaki, it will be able to continously learn from your body and try to give signals to your brain once it is into your body, in a sense an artificially intelligent virus. Is not this fascinating? What do you say Satyaki? In fact I have thought about its name Zeta. How does it sound?” হাসতে হাসতে বলে ওঠে জন।

সাত্যকি অন্যমনস্ক হয়ে যায়। কোনও কথা আর কানে ঢোকে না। স্বপ্নের কথাটা মনে আসতে থাকে। স্বপ্নে জিটা-র কথা বার বার সত্যি হয়েছিল। এটা কীভাবে সে ব্যাখ্যা করবে বুঝে উঠতে পারে না। পুরো ব্যাপারটা কি কাকতলীয় না এর মধ্যে কিছু আছে? কথা চলতে থাকে, আর আধ খোলা জানলা দিয়ে হিমেল হাওয়া আসতে থাকে। আকাশে মেঘ করেছে আর সামনের বোগনভিলিয়া গাছটা সমানে দুলতে থাকে। যেন কোনও এক অচেনা টাইম-জোন থেকে ভবিষ্যতের সংকেত আসতে থাকে।


লেখক পরিচিতি: ইন্দ্রনীল চক্রবর্তী

লেখক পরিচিতিঃ ইন্দ্রনীল চক্রবর্তীর জন্ম ১৯৭৮। লেখালেখির শুরু একুশ-দশকের গোড়ায়। পেশায় ইইইট-হায়দ্রাবাদে কর্মরত বিজ্ঞানী ও সহযোগী অধ্যাপক। গবেষণার বিষয় কোয়ান্টাম ইনফরমেশন। এখন ৪৬টি গবেষণা প্ত্র প্রকাশিত। সাহিত্য জগতে কবিতা, অনুগল্প, অনুবাদের মাধ্যমে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় লেখা লেখির শুরু। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার মধ্যে রয়েছে, কৌরব, ক্ষেপচুরিয়ান্স,আবহমান, কালিমাটি অনলাইন, দলছুট, বুকপকেট, অন্যনিষাধ,অপরজন ইত্যাদি নামী পত্রিকা। প্রথম বই মন খারাপের পর। দ্বিতীয় বই “গেট নাম্বার-২২ এর কবিতা”। কবিতার লেখার পাশাপাশি রয়েছে চলচ্চিত্রের প্রতি অনুরাগ। বিভিন্ন দেশের চলচিত্র দেখা ইন্দ্রনীলের অন্যতম শখ। নিজের কবিতা প্রসঙ্গে ইন্দ্রনীল উবাচ — “যেটুকু বলা হল কবিতায় তার বাইরে আসল কবিতাটুকু রয়ে গেল।”

শেয়ার করে বন্ধুদেরও পড়ার সুযোগ করে দিন

2 Comments

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to Top
error: লেখা নয়, লিঙ্কটি কপি করে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।