কর্মক্ষেত্রে লিডারশীপের যে গুণগুলো জন স্নো’র থেকে শেখা উচিত

লেখক : রুবাই শুভজিৎ ঘোষ

“গেম অফ থ্রোনস” এই নামটার সাথে অনেকেই পরিচিত। লেখক জর্জ আর আর মার্টিন রচিত ফ্যান্টাসি ধারাবাহিক উপন্যাস “আ সং অব আইস অ্যান্ড ফায়ার” অবলম্বনে নির্মিত একটি মার্কিন টেলিভিশন ধারাবাহিক হল গেম অফ থ্রোনস। যারা এই ধারাবাহিকের সাথে পরিচিত নয়, এই লেখাটি তাদেরও জন্য। অনুরোধ করব, এইটুকু পড়েই চলে যাবেন না। এখানে আমি আলোচনা করব গেম অফ থ্রোনস-এর একটি চরিত্র, যার নাম জন স্নো। সে একজন সাধারণ মানুষ থেকে একজন রাজা হয়ে উঠেছিল। সে ঐ পজিশানে পৌঁছেছিল এই কারণে নয় যে সে রাজা হতে চেয়েছিল। বরং মানুষ তাকে তাদের লিডার হিসাবে চেয়েছিল, মানুষ তাকে তাদের রাজা হিসাবে চেয়েছিল। এর কারণ তার মধ্যে একজন প্রকৃত লিডার হওয়ার গুণ ছিল এবং তাই বাকিরা তাকে অনুসরণ করত। সেই গুণগুলোই আমি আলোচনা করব এখানে, কিভাবে তার সেই গুণগুলো আমরা আমাদের কর্মক্ষেত্রে প্রয়োগ করতে পারি।

১. একজন উঁচু পোস্ট কাউকে প্রকৃত লিডার বানায় না, মানুষের ভালবাসা এবং শ্রদ্ধা তাকে সেটা বানায়

এই ধারাবাহিকের শুরুর দিকে জন স্নো’র কিছু ছিল না। সে নেড স্টার্ক এবং তাঁর বিবাহিত স্ত্রীর সন্তান না হওয়ায় বাবার সম্পত্তি তো দূর, বাবার পদবীও পায়নি। বাড়িতে পায়নি মায়ের ভালবাসা। তাই তার পছন্দ ছিল নাইটস ওয়াচে যাওয়া। এটা হল ঘরত্যাগী সৈনিকদের জায়গা। যেখানে আসতে হলে পরিবার ত্যাগ করে আসতে হয়। অনেকে ভালবেসেও আসে, আবার যাদের পরিবার নেই তারাও মাথা গোঁজার ঠাঁই পায়। যাই হোক, জন স্নো এখানে এল একজন সাধারণ সৈনিক হিসাবে। সেখানেও অনেকে তাকে পছন্দ করত না। অনেক প্রতিকূলতার মধ্যেই তাকে দিন কাটাতে হত। কিন্তু নিজের প্রতিভার দ্বারা ধীরে ধীরে মানুষের মন জয় করে নিল সে। শুধু তাই নয়, একটা সময় সকলে তাকে ভোট দিয়ে করে তুলল লর্ড কম্যান্ডার অর্থাৎ নাইটস ওয়াচের প্রধান। সে কখনও সেখানের প্রধান হতে চায়নি। কিন্তু মানুষ তার মত লিডার চেয়েছে। এরপর তার উত্থানের শুরু। একসময় মানুষেরই পছন্দে সে হয়ে উঠল “কিং ইন দ্য নর্থ”, সাত রাজ্যের একটি রাজ্যের রাজা। কিন্তু নিয়মমত একজন রাজার ছেলেই পারত রাজা হতে। জনের ক্ষেত্রে মানুষ নিয়মের তোয়াক্কাই করেনি। সব নিয়ম ভেঙে নতুন করে নিয়ম লিখল তারা, জনকে বানাল তাদের রাজা।

কর্মক্ষেত্রেও এটা প্রযোজ্য। একজনকে যত উঁচু পোস্টই দেওয়া হোক না কেন, অধস্তনদের ভালবাসা ছাড়া কখনই প্রকৃত লিডার হয়ে ওঠা যায় না। যে ম্যানেজারকে তার অধস্তনেরা তার পেছনে নিয়মিত গালাগালি করে, আপনিই বলুন, সে কি সত্যিকারের লিডার হল? লিডার তো সেই, যাকে মানুষ তাদের ঊর্ধ্বতন হিসাবে দেখতে চায়, যার সাথে মানুষ কাজ করতে চায়, যার হয়ে মানুষ কথা বলে, সেই হল লিডার।

২. একজন লিডার নিজের লক্ষ্যে সবসময় স্থির থাকে

জন স্নো তার লক্ষ্যে সবসময় স্থির থাকত। লর্ড কম্যান্ডার মরমুন্টের মৃত্যুর প্রতিশোধ নেওয়া, ব্যাটেল অফ বাস্টার্ডের যুদ্ধ জয় বা হোয়াইট ওয়াকারদের বিরুদ্ধে সকলকে বুঝিয়ে একত্রিত করা, তার লক্ষ্য সবসময় স্থির ছিল। শুরুতে তার লক্ষ্যের প্রতি অন্যদের বিশ্বাস ছিল না। তার কিছু লক্ষ্য অন্যদের কাছে হাস্যকর মনে হয়েছে, আবার তার কোনও লক্ষ্য মনে হয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু সে তার লক্ষ্যের প্রতি দৃঢ় ছিল। নিজের লক্ষ্যের প্রতি তার অটুট বিশ্বাস দেখে একে একে সকলে তার পাশে এসে দাঁড়ায়।

কর্মক্ষেত্রেও একজন লিডারকে তার লক্ষ্য বা ভিসন স্থির রাখতে হয়। কারণ বাকিরা পথভ্রষ্ট হয়। লিডার হয় সে ,যে লক্ষ্য স্থির রেখে এগিয়ে চলে এবং বাকিদের পথ দেখায়, তার সহকর্মী বা অধস্তনেদেরও সেই লক্ষ্যে বিশ্বাসী করে তোলে। তারপর সকলে মিলে সেই লক্ষ্যপূরণ করে।

৩. সঠিক সিদ্ধান্ত দৃঢ়ভাবে নেওয়া একজন লিডারের কাজ, তা যতই অপ্রিয় বা সাহসী হোক না কেন

জন বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যার জন্য তার প্রিয়জনেরা তার থেকে আলাদা হয়েছিল, সে অনেকজনের শত্রু হয়ে গেছিল। এর জন্য তার দুঃখ কম ছিল না। কিন্তু সে বৃহত্তর স্বার্থের কথা ভাবত। সেই জন্যই সে নাইটস ওয়াচের সকলের বিরুদ্ধে গিয়ে তাদের চিরশত্রু ওয়াইল্ডলিংদের জন্য দরজা খুলে দিল। তার জন্য নিজের লোকের হাতেই তাকে প্রাণ পর্যন্ত দিতে হল। যখন তার মনে হয়েছিল হোয়াইট ওয়াকারদের দমন করতে রানী ড্যানিরিসের সাহায্য তার লাগবে, সকল উপদেষ্টাদের বাধা উপেক্ষা করে সে একাই গেল রানীর কাছে। যখন আবার একইভাবে যখন তার মনে হল রানী ড্যানিরিস সিংহাসনে বসলে সাত রাজ্যের জন্য ক্ষতিকর, মানুষের স্বার্থে তাকে সে হত্যা করল। যখন ব্যাটল অফ বাস্টার্ডের পর র‍্যামসের সাথে থাকা আম্বার বা কারস্টারকদের সন্তানদের তাদের প্রাসাদ ফিরিয়ে দিচ্ছিল জন, সানসা এবং তার পক্ষের সৈনিকরা তার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলে, তখন জন বলে, “এটাই আমার সিদ্ধান্ত এবং এটাই চূড়ান্ত।” যখন ম্যানস রেডারকে কথা না শোনার জন্য যখন রাজা স্ট্যানিস যখন শাস্তি হিসাবে খুঁটিতে বেঁধে পুড়িয়ে মারছিল, তখন অনেকেই এই নির্মমতা সহ্য করতে পারেনি, কিন্তু রাজ আজ্ঞা অবজ্ঞা করার সাহস কারও ছিল না। কারণ তাতে মৃত্যুদণ্ড হতে পারে। জন স্নো সেসব ভাবেনি। রাজার শাস্তি তার কাছে নির্মম মনে হয়েছে, সে তাই খুঁটিতে বাঁধা ম্যানস রেডারকে তীর ছুঁড়ে মেরে ফেলে।

কর্মক্ষেত্রেও প্রকৃত লিডার শুধু নিজের ক্ষুদ্র স্বার্থ দেখে না, প্রতিষ্ঠানের এবং তার কর্মীদের প্রকৃত স্বার্থ দেখে। তার জন্য যা সিদ্ধান্ত সঠিক মনে হয় সেটাই তারা নেয়। হয়ত সেই সময় অন্যান্য কর্মীরা তাকে বুঝতে পারে না, তার বিরুদ্ধাচরণ করে, কিন্তু সে নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকে। তাকে প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করে। তখন জন স্নো-এর মতই তাদের বলতে হয়, “এটাই আমার সিদ্ধান্ত এবং এটাই চূড়ান্ত।” আবার প্রয়োজনে কথা না বলে জনের তীর মারার মত কখনও দৃঢ়ভাবেই নিজের সিদ্ধান্ত কি তা কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দিতে হয়।

৪. শুধু কথা না, একজন লিডারের কাজ পথ দেখানো বা উদাহরণ তৈরি করা

যখন জন স্নো টরমুন্ডকে মুক্ত করে বলল হার্ডহোম থেকে ওয়াইল্ডলিংদের আনতে, তখন টরমুন্ড বলেছিল জন সঙ্গে না গেলে সে যাবে না। জন নাই যেতে পারত, তার আদেশে অন্য লোকেরা যেত। কিন্তু তার যাওয়াতে টরমুন্ডদের ভরসা বাড়ল। যখন রানী সার্সিকে হোয়াইট ওয়াকারদের ভয়াবহতা বোঝানোর জন্য একটি হোয়াইট ওয়াকার আনবার কথা হচ্ছিল, তখনও জন বলল সে যাবে, তার মৃত্যু হতে পারে জেনেও সে যাবে। কারণ সে শুধু কথা বলত না বা কাউকে কাজ করার আদেশ দিত না, সে নিজে করে দেখাত এবং উদাহরণ তৈরি করত।

প্রকৃত লিডারদের এটাই তো করা উচিত। একটা কাজ আমার অধস্তনদের করতে বলে তাদের ধমক দেওয়াই যায়। তারা সেই কাজ করতে গিয়ে কোন সমস্যায় পড়লে বলাই যায় “আমি জানি না কি করে করবে, কিন্তু এটা তোমার কাজ। তোমায় এত তারিখের মধ্যে করতে হবে” কিন্তু লিডার হতে গেলে শুধু আদেশ করলে হয় না। কোনও কাজে যদি অধস্তনেরা অসুবিধায় ভোগে, তাহলে তাদের পথ দেখাতে হয়, যদি কাজটা নতুন হয় তাহলে নিজের ভিসনটা তাদের বোঝানোর জন্য তাদের সাথে থেকে সেই কাজ সম্পূর্ণ করতে হয়, তারা একবার উদাহরণ পেয়ে গেলেই আরও উৎসাহের সাথে কাজ করতে পারে। যদি কাজ করতে করতে রাত হয়ে যায়, তাদের সাথে রাত জাগতে হয়। এগুলোই একজন প্রকৃত লিডার করে থাকে।

৫. সব কাজ একা করা যায় না, তাই সবার সাথে প্রতিযোগিতা না করে লিডাররা যথাসম্ভব সহযোগিতা করে

জন স্নো জানত সব কাজ একা করা সম্ভব না। দল লাগে, সঙ্গী লাগে। সে যদি লক্ষ্য এক হয়, তাহলে আলাদা মতাদর্শ থাকলেও একসাথে কাজ করা উচিত বলে জন বিশ্বাস করত। তাই হোয়াইট ওয়াকারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করার জন্য সকলকে সে আহ্বান জানিয়েছিল। নিজেদের মধ্যে যুদ্ধ না করে সকলকে এক হতে বলেছিল। সে প্রথমে নাইটস ওয়াচ এবং ওয়াইল্ডলিংদের এক করেছিল। ওয়াইল্ডলিংদের সাথে যুদ্ধ করে তাদের হারিয়েও সে দলে আনার কথা ভাবতে পারত। কিন্তু তাতে দুপক্ষের ক্ষয়ক্ষতি।সেটা তার কাছে বোকামি মনে হয়েছিল। পরে একই উদ্দেশ্যের জন্য রানী ড্যানিরিসের সাহায্য চেয়ে তার কাছে উপস্থিত হয়েছিল। সে জানত সকলের সাথে প্রতিযোগিতা না করে সহযোগিতার হাত বাড়ালে নিজের লক্ষ্যে পৌঁছনো সহজ হয়।

একই কাজ লিডার হিসাবে আমাদেরও করা উচিত। আমরা বেশিরভাগ সময়েই এত বেশি প্রতিযোগিতায় বিশ্বাসী হয়ে যাই যে এটা ভুলে যাই যদি নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা না করে সহযোগিতা করি, তাহলে আমাদের কাজ সহজ হবে। হতেই পারে আমি বা আমার প্রতিষ্ঠান একটা বিষয় জানি না, অন্য একজন বা আরেকটি প্রতিষ্ঠান সেটি জানে। আবার সে বা তারা আরেকটি বিষয় জানে না যা আমরা জানি। দুজন যদি দুজনের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিই তাহলে কত সুবিধা হয়। একজন লিডার তাই করে থাকে। সে এমন এক পরিস্থিতি তৈরি করে যাতে দুপক্ষেরই লাভ।

৬. একজন লিডার তার কথার দাম রাখে

যখন রানী সার্সি এবং রানী ড্যানিরিস দেখা করেছিল, তখন জন স্নোকে সার্সি জিজ্ঞেস করেছিল সে যদি নর্থ (সাত রাজ্যের একটি রাজ্য)-এ থাকে এবং কোন পক্ষ না নেয় তাহলে সার্সি হোয়াইট ওয়াকারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে তাদের সাহায্য করবে। কিন্তু জন বলেছিল সে ইতিমধ্যেই রানী ড্যানিরিসের পক্ষ নিয়েছে তাই সে এরম কথা দিতে পারবে না। এর জন্য জনকে অনেকে বোকা বলেছিল। তাদের মতে মিথ্যে কথা বলে সার্সির থেকে সাহায্য নিলেই তো হত।। জন তখন বলেছিল, যদি সকলে এরম মিথ্যেই বলতে থাকে, তাহলে তো প্রতিশ্রুতির কোনও দাম থাকবে না। আর তাকে যারা মানে তারাই বা তাকে মানবে কেন!

কর্মক্ষেত্রেও অনেকেই মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে সাময়িক লাভ করার চেষ্টা করে। এইভাবে বেশ কিছু বাহবা এবং অর্থনৈতিক সুবিধা হয়ত সে পায়। কিন্তু এই মিথ্যাচারে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী হয়ে পরে সে নিজের বিশ্বাসযোগ্যতা হারায়। কিন্তু একজন লিডার সাময়িক লাভের জন্য কোনও মিথ্যাচার করে না। সে তার কথার দাম রাখতে জানে বলেই মানুষ তাকে অনুসরণ করে।

৭. নিজের সঙ্গীদের দোষগুণ একজন লিডার জানে, কাকে দলে রাখতে হবে বা কাকে বাদ দিতে হবে সেটাও সে জানে

স্যামের সঙ্গে নাইটস ওয়াচে জনের বন্ধুত্ব হয়। জন তাকে যতটা সম্ভব আগলে রাখত। সে জানত স্যামের পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ, লড়াইয়ের প্রতি না। যখন জনের হাতে ক্ষমতা আসে, সে স্যামকে সিটাডেলে পড়তে পাঠায়। আবার অবাধ্য, ভীতু, অকাজের লোক জ্যানস স্লিন্ট যখন অবাধ্য হয়ে যায়, তখন তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয় জন।

একজন লিডার নিজের সঙ্গীদের দোষগুণ সম্বন্ধে জানে। যাকে দিয়ে যে কাজ খুব ভালো হবে, যে কাজ তার সহকর্মী বা অধস্তন মন দিয়ে করবে, তাকে সে সেই কাজ করতে উৎসাহিত করে। দরকারে আলাদা ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থাও করে দেয়। একইসাথে সে এটাও জানে কাকে দিয়ে কাজ একেবারেই হবে না, তাকে বার করে দিতেও পিছপা হয় না সে।

৮. একজন লিডার পারফেক্ট হয় না, সে সবকিছু জানে না, কিন্তু সেটা সে স্বীকার করতে লজ্জা পায় না

জন স্নোকে নিয়ে একটা বিখ্যাত ডায়লগ এই ধারাবাহিকে আছে, “তুমি কিছুই জানো না জন স্নো!”
জন নিজেও জানত সে অনেক কিছু জানে না। যা সে জানত না, বাকিদের থেকে শিখত। ম্যানস রেডারের থেকেই যেমন সে শিখেছিল ওয়াইল্ডলিং দের আশ্রয় দেওয়া উচিত, সে করেওছিল। এমনকি অনেক ভুল সে অতীতে করেছে, যেগুলো পরে সে শুধরে নেয়। যেমন টিরিওনের থেকে যখন নাইট ওয়াচের গ্রেন এবং পিপের ব্যাপারে সে জানতে পারে,তাদের প্রতি সে শত্রুতা ত্যাগ করে বন্ধুত্ব করে। সে স্বীকারও করেছিল একথা। ম্যানসের কাছ থেকে ফিরে আসার পর যখন তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়, তখন স্যাম তাকে বলে সে কিছু ভুল করেনি। জন উত্তরে জানায়, “আমি প্রচুর ভুল করেছি”

কর্মক্ষেত্রেও একজন লিডার অনেক কিছুই জানে না। সেটা সে স্বীকার করতে লজ্জা পায় না। কোনও মানুষই পারফেক্ট হয় না। সে আগের ভুল থেকে শিক্ষা নেয়, অন্যকেও শেখায়। আবার একইসাথে একজন লিডার যেগুলো জানে না, সেগুলো শিখে নেয় বা যারা জানে তাদের দিয়ে করিয়ে নেয়। এটাই তো তার কৃতিত্ব।

এভাবেই আমরা জন স্নো-এর মধ্যে দেখি একজন প্রকৃত লিডার। তার এই গুণগুলো আমরাও চাইলে অনুসরণ করতে পারি এবং কর্মক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করতে পারি। আমার এই বিশ্লেষণ আপনাদের কেমন লাগল, কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন।

লেখাটি লেখকের কণ্ঠে শুনুন এখানে

লেখক পরিচিতি : রুবাই শুভজিৎ ঘোষ
লেখকের জন্ম পশ্চিমবাংলায়। পেশায় একটি বহুজাতিক সংস্থার তথ্যপ্রযুক্তিবিদ। নেশায় লেখক এবং পরিচালক। বাঙালির জনপ্রিয় ওয়েবসাইট সববাংলায় এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা তিনি। কবিতা থেকে শুরু করে গল্প, প্রবন্ধ, উপন্যাস, চিত্রনাট্য সবকিছুই লিখতে ভালবাসেন। লিটিল ম্যাগাজিন থেকে শুরু করে বাণিজ্যিক বিভিন্ন ম্যাগাজিনে নিয়মিত লিখেছেন। স্রোত থেকে প্রকাশিত তাঁর কবিতার সংকলন দৃষ্টি এবং বালিঘড়ি। এছাড়া তথ্যচিত্র, শর্ট ফিল্ম বা অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের ভিডিও পরিচালনা করেন। ধর্ম এবং বিজ্ঞান তাঁর প্রিয় বিষয়। ভ্রমণ তাঁর অন্যতম শখ। অন্যান্য শখের মধ্যে রয়েছে স্কেচ, ফটোগ্রাফি, ছবি ডিজাইন করা।

শেয়ার করে বন্ধুদেরও পড়ার সুযোগ করে দিন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to Top
error: লেখা নয়, লিঙ্কটি কপি করে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।