রাস্তাপার
লেখক : ইচ্ছেমৃত্যু
রাস্তাটা পার হতেই হবে এই পঁয়তাল্লিশ সেকেন্ডের মধ্যে, না হলে আবার তিন মিনিট দাঁড়িয়ে থাকা। অবশ্য এই পঁয়তাল্লিশ সেকেন্ডটা নামেই – সিগ্ন্যাল হওয়ার দশ সেকেন্ড পরও গাড়ি চলবে আর ওদিকে সিগ্ন্যাল চেঞ্জ হতে না হতেই ছুটতে শুরু …
রাস্তাটা পার হতেই হবে এই পঁয়তাল্লিশ সেকেন্ডের মধ্যে, না হলে আবার তিন মিনিট দাঁড়িয়ে থাকা। অবশ্য এই পঁয়তাল্লিশ সেকেন্ডটা নামেই – সিগ্ন্যাল হওয়ার দশ সেকেন্ড পরও গাড়ি চলবে আর ওদিকে সিগ্ন্যাল চেঞ্জ হতে না হতেই ছুটতে শুরু …
লাটিমে এখনো লেপ্টি জড়ায় ছেলে
পড়ার বাইরে অবসর খুঁজে নেয়
এখনো উদাস শৈশব ছুঁতে পেলে
মন কেমনের দিন অবসান হয়।
অলীক বিকেল গোধূলি রাঙানো পথ
ধুলো মাখা আজো হাত পা সারা গা’য়
এমন দিনেও কিশোরীর চোখে চোখ…
ঘরের সামনে মাধবীলতা গাছ
ঘরের ছাদের কার্ণিশ কানা ভাঙ্গা
ঘরের ভিতরে স্মৃতিরা পোহায় আঁচ
কাঁদতে কাঁদতে মাধবীর চোখ রাঙ্গা।
একটু আগেই মা বলে গেছে তার –
“কাল সন্ধ্যায় প্রোমোটার এসেছিল
ক’দিন পরেই বাড়ি ভাঙ্গা হবে শুরু
আর …
‘পিঠে সেই চাপ্পড়ের ব্যথাটা এখনও আছে… জানিস!’
‘কোন ব্যথাটা?’
‘সেই আট বছর আগে আজকের দিনে যে চাপ্পড়টা মেরেছিলি…’
‘কই দেখি কোনখানটা?’
‘এই তো এইখানে’ বলে ডান কাঁধের নিচের জায়গাটা দেখায় ঋতম।
হৃতিতা একটা দুম করে কিল বসিয়ে …
মাননীয় শুভব্রতবাবু,
কালকের কাগজে আপনার লেখা ‘শাকিলা’ গল্পটি বেরিয়েছে। আপনার সাবলীল লেখনী পাঠকচিত্ত হরণ করে রেখেছে বিগত কয়েক বছর। এই লেখাও সমস্ত পাঠকের, বিশেষ করে নারীদের মন জয় করে নেবে নিঃসন্দেহে বলা যায়। আপনি এখনও শাকিলাকে মনে …
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় অফিস থেকে বেরোবার মুখে দাশুর সঙ্গে দেখা। দাশুকে এইখানে এইভাবে দেখব কল্পনাই করতে পারিনি। সেই কত যুগ আগে স্কুল লাইফে ওর সঙ্গে শেষ দেখা, তারপরেও যে ওকে চিনতে পেরেছি সেটা ওর বিশেষ চেহারার জন্য, …
দুর্গাপুজোয় কোনোদিনই টান ছিল নাকো
বলা ভুল, শৈশবে মন্ডপে ছোটাছুটি কতো
সে সব প্রাচীনকাল, কৈশোরে সবকিছু ছাড়ি
মন্ডপে কদাচিৎ, তবু অকস্মাৎ যদি কোনো শাড়ি –
চোখে চোখ, মনে মনে অকিঞ্চিৎ কল্পনা
আসছে বছর আবার হোক্, আপাতত একক …
বিপ্লব এভাবে আসে না…
যে একদিন তোমার দরজার কড়া নেড়ে বলবে
“আমি বিপ্লব এলোম গো হে
পথে এহ্ট্টু দেরি হয়ে গেলোন বটেহ্
তা এহেই যহন পড়েছি
মা জননী, দুটো চা জল খাবার দাও” –
বিপ্লব এমন ভাবে আসে …
“সকল লোকের মাঝে বসে/ আমার নিজের মুদ্রাদোষে/ আমি একা হতেছি আলাদা?” উত্তরটা জানা নেই। তবে আমার বয়সী বন্ধুরা বিয়ে-থা করে দু-এক পিস বাচ্চা সমেত ঘোরতর সংসারী। আর আমি আমার এক কামরার একলা ঘরে …
‘কিরে গুইরাম বাড়িতে আছিস?’
প্রায় ভেঙ্গে পড়বার মত ঘরের ভাঙ্গা দরজা খুলে বাইরে আসে গুইরাম, হাত কচলাতে কচলাতে বলে, ‘আজ্ঞে বলেন কত্তা বাবু’…
‘এই যে এলাম তোদের খবর নিতে। কেমন আছিস বল’
‘ওই আছি বাবু, আপনাদের দয়ায় কেটে …
ভ্যাবাচ্যাকা এলোমেলো… হাসি
লেনদেন উপহার… প্রত্যাশী
নতজানু, কাঁপা হাত… গোলাপ
টানে প্রাণ আনচান… আলাপ
ইতস্তত: অবশেষ… মিলন
নবরূপে আশ্লেষ… দহন
সম্মিলিত প্রয়াস… আশ্বাস
ডেরা বাঁধে হৃদিজুড়ে… বিশ্বাস
লেখকের কথা: ইচ্ছেমৃত্যু…
।। ১।।
সকাল থেকে নাম না জানা সে পাখি, কাদা-খোঁচা নাকি কাঠঠোকরা, ফিঙে নাকি টুনটুনি জানি না, একটা একটা করে ছোট ডাল, পাতা, কাগজ বয়ে নিয়ে গিয়ে রাখছে সামনের নিমডালে। সকালের কিছুটা সময় এবং দুপুরের আলসেমি কেটে গেল …
বাবার কোলে ওঠার কথা মনে পড়ে না। তার মানে এই নয় যে, বাবা আমাকে কোনদিন কোলে নেয়নি! নিয়েছিল নিশ্চয় – ছোট মানুষের মন, কী মনে রাখার, কী নয় ঠিক করে উঠতে পারেনি। ফলত বাবার কোলে ওঠার স্মৃতির ভাঁড়ার …
রুচিশীল ও বিষয়ভিত্তিক আলোচনার জন্য ক্লিক করুন এখানে