স্বাধীনতার মূল্য

কবি: রেশমিন খাতুন

যদি দু -মুঠো অন্নের জন্য প্রতিনিয়ত রক্তাক্ত হতে হয়,
পথে পড়ে কাঁদতে হয়
শেষ করে দিতে হয় নিজেকে
তবে এ স্বাধীনতার মূল্য কোথায়?
যদি ব্যানার হাতে মিছিল করতে হয়
পথে ঘাটে লাশ হয়ে ফিরতে হয় ঘরে,
তবে এ স্বাধীনতার মূল্য কোথায়?
যদি মাথা উঁচু করে বাঁচতে হলে সহ্য করতে হয় জালিমদের অত্যাচার,
সব দোষ মাথা পেতে নিতে হয়
তবে এ স্বাধীনতার মূল্য কোথায়?
যদি প্রিয়জন হারানোর বেদনা ভুলে থাকতে হয়
সত্যটাকে মিথ্যা বলতে হয়,
তবে এ স্বাধীনতার মূল্য কোথায়?
যদি বলতে হয় লাল সবুজের পতাকা আমার
এ দেশ আমার
ধর্মের কোন্দলে হারাতে হয় তাজা প্রাণ,
তবে এ স্বাধীনতার মূল্য কোথায়???

স্বাধীনতা শব্দটা চাইনি
চেয়েছিলাম মাথা উঁচু
করে দাঁড়াবার,
পায়ের তলার মাটি আমার এ’কথা বলার অধিকার,
এ শুধু আজ ঘুমের ঘোরে দেখা মাতালের স্বপ্ন,
নেশা কেটে গেলেই একদম নিশ্চুপ।
স্বাধীনতার ৭০ বছর পেরিয়ে গেল কী পেয়েছি আমরা?
শুধু বেঁচে আছি স্বাধীনতা শব্দটাকে আঁকড়ে ধরে,
যেমন করে পরগাছা বেঁচে থাকে…..


ছবি: কুন্তল


লেখকের কথা: রেশমিন খাতুন
আমি রেশমিন খাতুন, বি.এড. কমপ্লিট করার পরে এখন আমি  প্রাইভেট স্কুলে পড়াই। আর লেখালেখির সঙ্গে যুক্ত। বই আমার নেশা; গল্পের বই পেলে সব ভুলে যাই। ক্লাশ ফাইভ থেকে লাইব্রেরী যাই। প্রিয় লেখিকা – সুচিত্রা ভট্টাচার্য। লেখক অনেক জন আছেন । বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়,নারায়ন স্যানাল। যখন ক্লাস ইলেভেনে পড়তাম তখন স্বরচিত গল্প লিখে একবার প্রাইজ পেয়েছিলাম, সেকেন্ড হয়ে “পথের পাঁচালি” বইটা পুরষ্কার পাই। ভীষণ আনন্দ হয়েছিল। মনে অনেকদিন রেশ ছিল, প্রথম প্রাইজ তো। এখন ফেসবুকে নিজস্ব একটা পেজ আছে “আলেয়ার আলো” নামে। আর “শুকতারা” – ওখানে আমি একটা গল্প লিখেছিলাম, “ভূত দাদু” নামে। তো ওখানেও আমি সেকেন্ড হয়েছিলাম, তো ওরা আমাকে বাইপোস্ট  তিনশত টাকা আর কিছু বই গিফ্ট করেছিল। ভীষন আনন্দ হয়েছিল। আর এখন ফেসবুকে অনেক পেজে  লিখি যেমন  ‘মলাট’, ‘ইচ্ছে ডানা’, ‘অক্ষর’, ‘গল্পগুচ্ছ’, ‘বইপোকা’, ‘লতা’, ‘জনতার কণ্ঠ’, ‘সায়র পত্রিকা’ ইত্যাদি পেজগুলোতে।

শেয়ার করে বন্ধুদেরও পড়ার সুযোগ করে দিন

One comment

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to Top
error: লেখা নয়, লিঙ্কটি কপি করে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।